এমন এক সময় ছিল যখন আমি বাড়িতে,
বলতে গেলে, থাকতামই না। সদর
রাস্তা, অলি-গলি পেরিয়ে যেতাম ঝাঁ ঝাঁ
দুপুর চাষ করতে করতে। প্রতিবার
নতুন রাস্তার সন্ধানে
চোখ চকচক করতো। স্বপ্নগুলোকে
গচ্ছিত রাখতাম পার্কের ঘাসে,
পথের কুকুরের কুণ্ডলী পাকানো নিদ্রায়।
এখন ঘরেই কাটে সময়। তন্দ্রা
চোখের পাতায় নেমে এলে হঠাৎ দেখি
চান্দ বিনোদ শিকার-করা কুড়াপাখি
আমার কাছে বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
আমি ধমকের স্বরে ওকে বলি, স্টুপিড,
এক্ষুণি পালার নায়ক
কুড়াপাখির বোঝা বয়ে জলের ঘাটের দিকে এগোয়।
বিকেলবেলা চায়ের পেয়ালায়-চুমুক দেয়ার সময়
এক বিদ্যার জাহাজ অধ্যাপকের একটি প্রবন্ধের
কথা মনে পড়তেই হো হো করে হেসে উঠি।
গোধূলিতে লক্ষ করি, একটি কর্দমাক্ত
শজারু একজন হরিণকে খুব উত্যক্ত ক’রে
কাদায় টেনে নিতে চাইছে। অজস্র তারা
হরিণের চারপাশে ঝরতে থাকে এবং
শজারু থকথকে কাদায় মুখ ঢাকে।
২৪.৪.৯৬