স্যার ডেভিড লিন্ডসে ও জন ওয়েলস
১৯৩০ সালে এক ভোজসভায় স্কটল্যান্ডের নাইট স্যার ডেভিড লিন্ডসে এবং ইংল্যান্ডের লর্ড জন ওয়েলস নামে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ক্রুদ্ধ বাদানুবাদ শুরু হয়। ইংরেজ ও স্কচদের মধ্যে কারা অধিকতর বীরত্ব ও সাহসের অধিকারী এই ছিল তাদের তর্কের বস্তু।
হাত থাকতে মুখ কেন? এই নীতি অবলম্বন করলেন ইংরেজ জন ওয়েলস; প্রতিপক্ষকে তিনি দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান জানালেন।
লন্ডন ব্রিজ নামে সেতুর ওপর রাজা দ্বিতীয় চার্লসের সামনে দুই যোদ্ধা দ্বৈরথরণে ব্যাপৃত হলেন অশ্বপৃষ্ঠে।
কিছুক্ষণ লড়াই চলার পর ইংল্যান্ডের লর্ড জন ওয়েলস প্রতিদ্বন্দ্বীর শূলের আঘাতে আহত হয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে ছিটকে পড়লেন মাটির উপর। স্কটল্যান্ডের নাইট তখন ঘোড়া থেকে নেমে পদব্রজে অগ্রসর হলেন ভূপতিত শত্রুর দিকে।
জনতা উৎকণ্ঠিতভাবে অপেক্ষা করতে লাগল। এখনই প্রচণ্ড আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন জন ওয়েলস। কিন্তু না, চরম আঘাত পড়ল না। স্কচ নাইট স্যার ডেভিড লিন্ডসে শত্রুর শিরস্ত্রাণ খুলে শুশ্রূষা শুরু করলেন। অকুস্থলে চিকিৎসকের আগমন না হওয়া পর্যন্ত তিনি শত্রুর পরিচরর্যা থেকে বিরত হননি।
পূর্বোক্ত ঘটনার পরে ইংল্যান্ডের লর্ড জন ওয়েলস ও স্কচ নাইট স্যার ডেভিড লিন্ডসের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বের বন্ধন স্থাপিত হয়। পরবর্তী জীবনে তারা কখনো ইংরেজ ও স্কচদের সাহস কিংবা বীরত্ব নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেননি।