স্মৃতি
শপিংমল থেকে বের হয়েই রুমানা দেখল অনেক মানুষের ভিড়। মানুষগুলো কেন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে বোঝার জন্য সে একটু মাথা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করল। মানুষের ভিড়ে কিছু দেখা যায় না। মনে হল সামনে কয়েকটা পুলিশের গাড়ি। শুধু পুলিশ নয় মিলিটারিও আছে–তারা সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে তারা মানুষগুলোকে সার্চ করছে।
রুমানার একটু তাড়াহুড়ো ছিল, এখন এই ঝামেলা থেকে কখন বের হতে পারবে কে জানে। পুলিশ আর মিলিটারি মিলে কী খুঁজছে সেটাই বা কে বলতে পারবে?
আসলে পুলিশ আর মিলিটারি আমাকে খুঁজছে। রুমানা কানের কাছে ফিসফিস করে বলা কথাগুলো শুনে প্রায় লাফিয়ে উঠে মানুষটার দিকে তাকাল। ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছরের হাসিখুশি চেহারার একজন মানুষ। মাথায় এলোমেলো চুল, চোখে কালো একটা সানগ্লাস। মানুষটা দীর্ঘদেহী এবং সুদর্শন, দুএকদিন শেভ করে নি বলে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি কিন্তু সেজন্যে তাকে খারাপ লাগছে না। একটা নীল শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট পরে আছে, ফর্সা রঙে তাকে খুব মানিয়ে গেছে।
মানুষটা ঠাট্টা করছে কি না রুমানা বুঝতে পারল না, আমতা-আমতা করে বলল, আপনাকে খুঁজছে?
হ্যাঁ।
আপনি কী করেছেন?
মানুষটা একটু হেসে চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলল, চোখগুলো খুব সুন্দর, কেমন জানি ঝকঝক করছে। সেটা ছাড়াও চোখের মাঝে অন্য কিছু একটা আছে যেটা রুমানা চট করে ধরতে পারল না। মানুষটা বলল, আমি আসলে কিছুই করি নি।
আপনি যদি কিছুই না করবেন তা হলে পুলিশ মিলিটারি খামোখা আপনাকে খুঁজছে কেন?
মানুষটা এদিক-সেদিক তাকাল। তারপর নিচু গলায় বলল, আমি আসলে একজন এলিয়েন।
রুমানা কথাটা স্পষ্ট করে ধরতে পারল না, বলল, আপনি কী?
এলিয়েন। মানুষটা ব্যাখ্যা করে, মহাজাগতিক প্রাণী।
রুমানা কিছুক্ষণ মানুষটার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কী হেসে ফেলবে নাকি গম্ভীর হয়ে মাথা নাড়বে, বুঝতে পারল না। কিছুক্ষণ মানুষটার দিকে তাকিয়ে বলল, এলিয়েন?
হ্যাঁ।
পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছেন?
মানুষটা মাথা চুলকে বলল, অনেকটা সেরকম।
কেমন লাগছে পৃথিবীতে?
মানুষটা হেসে ফেলল, বলল, আপনি আসলে আমার কথা বিশ্বাস করেন নি, তাই না? ভাবছেন ঠাট্টা করছি।
খুব ভুল হয়েছে?
না ভুল হয় নাই। আসলে এটা তো বিশ্বাস করার ব্যাপার না। আমি নিজেই প্রথমে বিশ্বাস করি নি।
রুমানা ভুরু কুঁচকে বলল, আপনি নিজে? একটু আগে না আপনি বলেছিলেন আপনি এলিয়েন?
হ্যাঁ, সেটাও সত্যি। আমি আসলে সাজ্জাদ। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু একই সাথে একজন এলিয়েন।
রুমানা বলল, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কোথা থেকে নিয়েছেন? মঙ্গল গ্রহে? মঙ্গল গ্রহের ডিগ্রি পৃথিবীতে একসেন্ট করে?
সাজ্জাদ নামের মানুষটা, কিংবা এলিয়েনটা শব্দ করে হাসল, বলল, আপনার গুড সেন্স অফ হিউমার।
কেন? এলিয়েনদের সেন্স অফ হিউমার থাকে না?
আসলে এলিয়েন নিয়ে মানুষের অনেক রকম মিস-কনসেপশন আছে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এলিয়েন হলেই সেটা দেখতে ভয়ংকর কিছু হবে।
রুমানা মাথা নাড়ল, বলল, ভয়ংকর না হলেও অন্য রকম হবে। এক্স ফাইলে দেখেছি। সাইজে ছোট, মাথাটা বড়, চোখগুলো এরকম টানা টানা। সবুজ রঙের_
সাজ্জাদ বলল, আমিও দেখেছি। ভেরি ইন্টারেস্টিং লুকিং।
কিন্তু আপনি বলছেন সেটা সত্যি না?
আসলে আমরা তো সব সময়েই কিছু একটা দেখি যেটা ধরা যায়, হেঁয়া যায়। তাই যেটা ধরা-ছোঁয়া যায় না-যেটা হয়তো এক ধরনের প্যাটার্ন, এক ধরনের ইনফরমেশান, সেটা আমরা কল্পনা করতে পারি না।
তার মানে এলিয়েনটা একটা প্যাটার্ন?
জিনিসটা আরো জটিল কিন্তু ধরে নেন অনেকটা সত্যি।
রুমানা ভুরু কুঁচকে বলল, কীসের প্যাটার্ন?
সাজ্জাদ বলল, কেউ যদি আপনাকে কয়েকটা তেঁতুলের বিচি দেয় আপনি সেটা দিয়ে একটা প্যাটার্ন বানাতে পারবেন না? কোনো একটা তারার মতো সাজালেন, কিংবা বৃত্তের মতো সাজালেন-
রুমানা মাথা নাড়ল, বলল, সেটা এলিয়েন হয়ে গেল?
উঁহু। সেটা হল না। আরেকটু শুনুন তা হলে বুঝবেন। তেঁতুলের বিচি তো আর বেশি দেয়া সম্ভব না তাই প্যাটার্নটা হবে খুব সিম্পল। খুব সহজ সরল। এখন যদি কেউ আপনাকে একটা মানুষের মস্তিষ্ক দেয়, দিয়ে বলে এটার সব নিউরন, তার সকল সম্ভাব্য সিনান্স কানেকশন দিয়ে তুমি একটা প্যাটার্ন সাজাও-তা হলে আপনি চিন্তা করতে পারবেন আপনি কী অসাধারণ প্যাটার্ন বানাতে পারবেন?
রুমানা বলল, শুনেই আমার গা ঘিনঘিন করছে। মানুষের মগজ ছিঃ!
সাজ্জাদ আবার হা হা করে হাসল, হেসে বলল, আসলে আমি মাথা কেটে মগজ বের করে হাত দিয়ে তার নিউরন ঘাঁটাঘাঁটি করার কথা বলছিলাম না! আমি অন্যভাবে বলছিলাম। যেমন-এখন আমি আপনার সাথে কথা বলছি, আপনার মস্তিষ্কে নূতন নূতন সিনান্স কানেকশন হচ্ছে। যখন আপনি একটা বই পড়েন তখন আপনার মস্তিষ্কে নূতন সিনান্স কানেকশন তৈরি করে। যখন আপনি সুন্দর একটা গান শোনেন সেটা আপনার মস্তিষ্কে নূতন সিনান্স কানেকশন তৈরি করে। বলা যায় একটা নূতন প্যাটার্ন তৈরি করে।
রুমানা ভুরু কুঁচকে বলল, তার মানে একটা গান আসলে একটা এলিয়েন?
উঁহু আমি ঠিক তা বলি নি। একটা গানের স্মৃতি কিংবা শৈশবের কোনো একটা ঘটনার স্মৃতি যেরকম মস্তিষ্কে থাকতে পারে সেরকম একটা এলিয়েনও মানুষের মস্তিষ্কে থাকতে পারে।
রুমানা কোনো কথা না বলে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে রইল।
সাজ্জাদ বলল, এলিয়েনের সুবিধেটুকু বুঝতে পারছেন? তার নিজের হাত পা নাক মুখের দরকার নেই। সে আমার হাত পা নাক মুখ ব্যবহার করতে পারে।
রুমানা মাথা নাড়ল, মানুষকে যখন জিনে ধরে তখন যেরকম হয়
সাজ্জাদ হাসল, জিনে ধরায় কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে কি না আমি জানি না।
আপনার থিওরিটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে?
আছে। সাজ্জাদ হঠাৎ একটু গম্ভীর হয়ে বলল, ঋদি না থাকত তা হলে এইভাবে পুলিশ মিলিটারি ঘেরাও করে আমাকে খুঁজত?
তারা খবর পেল কেমন করে?
সায়েন্টিফিক কমিউনিটি তো আমাদের কথা জানে। অনেক দিন থেকে খুঁজছে। যে এলিয়েনটা আমার কাছে এসেছে তার ক্যারিয়ারটা ধরা পড়ে গিয়েছিল।
রুমানা বলল, যদি সত্যিই এটা হয়ে থাকে। তা হলে আপনি আমাকে এটা বলছেন কেন? আমি যদি আপনাকে ধরিয়ে দিই।
সাজ্জাদ হাসল, আপনি ধরিয়ে দেবেন না।
আপনি কেমন করে এত নিশ্চিত হলেন?
শুধু যে ধরিয়ে দেবেন না তা না। আপনি আসলে আমাকে সাহায্য করবেন যেন আমি ধরা না পড়ি।
রুমানা অবাক হয়ে বলল, আমি আপনাকে সাহায্য করব?
হ্যাঁ। সাজ্জাদ মাথা নাড়ল, আপনি এলিয়েটাকে আপনার মস্তিষ্কে করে নিয়ে যাবেন। পুলিশ মিলিটারি মহিলাদের ছেড়ে দিচ্ছে। আপনাকেও ছেড়ে দেবে। ওদের কাছে খবর আছে যে এলিয়েনের ক্যারিয়ার একজন পুরুষ মানুষ।
রুমানার মুখ এবারে একটু শক্ত হয়ে গেল। বলল, দেখেন আপনার এই গল্প বলার স্টাইলটা বেশ মজার। কিন্তু সেটাকে বেশি টেনে নেবার চেষ্টা করবেন না।
সাজ্জাদ বলল, একটু আমার কথা শুনুন। শেষ কথাটা
রুমানা সাজ্জাদের দিকে তাকাল, কী শেষ কথা?
সাজ্জাদ ফিসফিস করে বলল, মানুষের চোখ আসলে মস্তিষ্কের একটা অংশ। দুজন যখন একজন আরেকজনের দিকে তাকায় তখন এই চোখের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কের যোগাযোগ হতে পারে। এই মুহূর্তে আমার মস্তিষ্কের সাথে আপনার মস্তিষ্কের যোগাযোগ হয়েছে। আমি আসলে আপনার মস্তিষ্কে প্রবেশ করছি।
রুমানা বিস্ফারিত চোখে সাজ্জাদের চোখের দিকে তাকিয়ে রইল। সে অবাক হয়ে দেখল তার সামনে থেকে সবকিছু ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। সে শুধু দুটি চোখ দেখতে পাচ্ছে। ঝকঝকে ধারালো চোখ। সেই চোখ দুটো ধীরে ধীরে বিশাল এক শূন্যতায় রূপ নেয়। মনে হয় সেখানে কোনো আদি নেই কোনো অন্ত নেই যতদূর চোখ যায় এক বিশাল শূন্যতা। সেই ভয়াবহ শূন্যতায় বুকের ভেতর কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে। হঠাৎ করে সেই মহাজাগতিক শূন্যতার মাঝে বিন্দু বিন্দু আলোর ছটা দেখা যায়, লাল নীল সবুজ- পরিচিত আলোর বাইরে বিচিত্র সব রঙ, সেই রঙ কেউ কখনো দেখে নি। আলোর বিন্দুগুলো ধীরে ধীরে একটা রূপ নিতে থাকে। সেই বিচিত্র রূপ খুব ধীরে ধীরে নড়তে শুরু করে। রুমানার মনে হয় তার সামনে আদিগন্ত বিস্তৃত একটি অতিপ্রাকৃত দৃশ্য, সেটি নড়ছে। প্রথমে ধীরে তারপর তার গতি বাড়তে থাকে। পুরো দৃশ্যটি নড়তে থাকে, কাঁপতে থাকে, ঘুরতে থাকে, একসময় প্রচণ্ড বেগে পাক খেতে খেতে তার চেতনার মাঝে প্রবেশ করতে থাকে। রুমানার মনে হয় সে বুঝি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাবে। মনে হয় অতল অন্ধকারে ডুবে যাবে কিন্তু সে বুঝতে পারল কেউ একজন তাকে ধরে রেখেছে। খুব ধীরে ধীরে সেই ঘূর্ণায়মান নকশা, সেই বিচিত্র রঙের আলোর বিন্দু অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রথমে আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতা তারপর ধীরে ধীরে সেখানে তার পরিচিত জগৎ ফিরে আসে। সে দেখে সাজ্জাদ তাকে ধরে রেখেছে।
রুমানা ঝটকা মেরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এক ধরনের বিস্ময় নিয়ে সাজ্জাদের দিকে তাকাল। শুকনো মুখে বলল, আমার কী হয়েছিল?
কিছু হয় নি।
হয়েছে। আপনি আমাকে হিপনোটাইজ করার চেষ্টা করেছেন।
আমি কিছু করি নি। সাজ্জাদ মাথা নাড়ল, বলল, আমি হিপনোটিজম জানি না।
আপনি কে? কী চান?
আমি কেউ না। আমি আসলে কিছু চাই না। সাজ্জাদ একটু হাসল, হেসে চোখে কালো চশমাটি পরে সে হেঁটে ভিড়ের মাঝে মিশে গেল।
রুমানা তার মাথাটা একটু ঝাঁকাল, মনে হচ্ছে মাথাটা ভার ভার হয়ে যাচ্ছে। কী বিচিত্র একটা অভিজ্ঞতা, কাউকে বললে বিশ্বাস করবে না। রুমানা এদিক-সেদিক তাকিয়ে সামনে হেঁটে যায়। কয়েকজন পুলিশ ভিড়ের মাঝে থেকে মহিলা, শিশু আর বৃদ্ধদের আলাদা করছে। তারা লাইন ধরে ধরে বের হয়ে যাচ্ছে। অন্যদের ডান পাশে একটা ছোট ঘেরা দেওয়া জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি সাজানো। বড় বড় মনিটর, সেই মনিটরের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে কয়েকজন তাকিয়ে আছে। দেখে মনে হয় কেউ কেউ বিদেশী, নিচু গলায় নিজেদের মাঝে কথা বলছে। পাশেই একটা অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলা, সেখানে নীল ওভার অন পরে কয়েকজন মানুষ অপেক্ষা করছে। তাদের ঘিরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিছু সেনাবাহিনীর মানুষ, মুখ পাথরের মতো ভাবলেশহীন। হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র।
পারল না। ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে এলাম।
রুমানা চমকে উঠল, কে কথা বলে?
অবাক হবার কিছু নেই রুমানা। আমি। আমি কথা বলছি। রুমানা এদিক-সেদিক তাকাল, কেউ নেই তার কাছে। হঠাৎ করে এক ধরনের আতঙ্ক তার মাঝে চেপে বসে।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই রুমানা। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করব না। শুধু তোমার মস্তিষ্কে থাকব। যখন সময় হবে অন্য কোথাও চলে যাব।
রুমানা ফিসফিস করে বলল, কে? তুমি কে?
আমি আর তুমি আসলে একই অস্তিত্ব। তাই না? ভেবে দেখ।
রুমানার হঠাৎ করে শৈশবের স্মৃতি ভেসে আসে। অসংখ্য স্মৃতি। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে সেখানে একটা বন্য পশু পুড়ছে। অর্ধদগ্ধ মাংসের টুকরো টেনে নিচ্ছে সবাই। তার মা টেনে আনল একটু টুকরো। সে খাচ্ছে তার মায়ের সাথে পশুর মতোই। হঠাৎ করে মনে পড়ল বরফের হিমবাহের কথা। চারদিকে সাদা বরফ, তুষার পড়ছে, বাতাসের ঝাপটা, কে একজন তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। ধারালো পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করছে। সে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে মানুষটার চোখের দিকে! ঘোড়ায় করে যাচ্ছে সে। তার চারপাশে হাজার হাজার ঘোড়সওয়ার। সবার হাতে ধারালো তরবারি। চিৎকার করছে অমানুষিক গলায়। তাকে বেঁধে রেখেছে। শীর্ণ অভূক্ত সে শুয়ে আছে মাটিতে। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করছে সে। গর্ত যন্ত্রণার চিৎকার। ছোট একটা বাচ্চার কান্না শুনতে পেল সে, জন্ম দিয়েছে একজন নবজাতকের। গুলি হচ্ছে বৃষ্টির মতো। রক্তাক্ত দেহে একজন কিশোর তার দিকে তাকিয়ে আছে। অনুনয় করে বলছে তাকে বাঁচাতে। কত স্মৃতি, কত সহস্র স্মৃতি, কত লক্ষ বছরের। স্মৃতি!
কত দিন থেকে বেঁচে আছে সে?