মধ্যরাত্রির খটখটে জেগে ওঠার মধ্যে তোমার স্বপ্ন দেখি
হে গাঢ় নীল জ্যোৎস্নার মতন বিচ্ছেদ-বেদনা
হে বরাকর বাংলোর মতন ঝুকে পড়া অপরাহ্ন
হে প্রচ্ছন্ন অভিমান!
মনে পড়ে ওভার ব্রীজের ওপরে দাঁড়িয়ে হলুদ হাতছানি
দেবী সরস্বতীর স্তনের মতন রাঙা রাঙা চাঁদ
একটি টিট্টিভের ডাক
দেবদারু পাতার সরসর শব্দে জেগে ওঠে যৌবনের একটি দিন
একটি বৃন্তচ্যুত অনিত্য
কলেজ-পালানো কিছু ভালো-না-লাগা রাস্তা
আমায় নিয়ে যায় ছন্নছাড়া দেশে
যেখানে হঠাৎ ঝলসে ওঠে অলৌকিক বাস্তব
দিগন্তের পাহাড় মেলে দিয়েছে তার ঐশ্বর্যময়ী ঊরু
বুক জ্বলা নেশা নয়, এমনই একাকিত্ব
লণ্ঠন দুলিয়ে দুলিয়ে একজন কেউ চলে যায়, সে আর ফিরবে না
কালোর হৃদয় চেরা কালো, তারও ভেতরের নিবিড় সরল কালো
অবিকল একটি শিশুর মতন
লাফিয়ে পড়ে নদীর জলে
সে আমার বাতাসে উদাস করা মন-খারাপ!
সমস্ত নিস্তব্ধতার ভেতর থেকে ঐরাবতের মতন উঠে আসে
আমার পরাজয়
হে আমার দিগন্ত কুন্তলা মৃত্যু, হে ভোগবতী
সেই টিলার শিয়রে সন্ধ্যায় সর্বাঙ্গে বৃষ্টির মতন শিহরন
বড় প্রিয়, যেন শুধু চোখে চোখ রাখা
জেগে উঠি মধ্যরাত্রে, যাকে না-দেখার
তাকে স্বপ্নে দেখি।