মাঠের ভিতরে এত পরিশুদ্ধ ঘর বাড়ি, এ সব কাদের?
কাঠবিড়ালি ও ভোমরা, সদ্য বিবাহিত পাখিদের!
মাঠের কি স্মৃতি নেই, মনে নেই তার বাল্যকাল
এইখানে শুয়ে ছিল বাপ-মা খেদানো এক
উদাসী রাখাল
কিছুটা জঙ্গলও ছিল, পাতাঝরা গান হতো শীতে
একটি জারুল সব লিখে গেছে আত্মজীবনীতে।
পাথর-পূজারী এক সন্ন্যাসীর স্বপ্ন ছিল, ঘুম ছিল,
দুঃখ ছিল বেশি
জ্যোৎস্নার মতন হাসি সঙ্গিনীটি বিশ্বাসঘাতিনী এলোকেশী!
সেই পাথরেরও ছিল অনেক জমানো গুপ্ত কথা
পিঁপড়েরা সব জানে, মাটির গভীরে আজও জমে আছে।
ওদের ভাষার নীরবতা……
এ সবই পুরোনো ইতিকথা, সেই দুঃখী সন্ন্যাসীর বংশধর
এখন তোফায় আছে, পগেয়াপট্টির এক নিত্য
সওদাগর
রাখালেরও উত্তরাধিকার আছে, রাজমিস্ত্রি,
মজুর জোগাড়ে
লালনীল-সোনালি হর্ম্যেরা জাগে কয়েকটি
মহিষরুক্ষ ঘাড়ে
প্রতিটি জানলায় পর্দা, আজও বারান্দার টবে রয়েছে প্রকৃতি
কাঠবিড়ালিরা ঘোরে সাইকেলে, ভোমরার গুঞ্জনে রাষ্ট্রনীতি
পাহাড়ের পাঁজরা ভাজা মোরামের রাজপথ, আর কিছু
খুনসুটি গলি
সংসারী পাখিরা ছোটে ভোর বেলা, ঠোঁটে ঝোলে
বাজারের থলি!