স্মৃতির প্রতি
বড় ঠাণ্ডা লাগে স্মৃতি, এ যেন কেমন এক চতুষ্কোণ দ্বীপে শুয়ে থাকা
চতুর্দিকে এক সুবাতাস,
এত প্রজাপতি দেখলে দুদিনের জন্য ভয় হয়।
আলো টলমল করে অস্তিম শিয়রে, আরও একটু কম আলো
গোলাপবাগানে কুঁকলে সহনীয় হতো।
কত রাত ঘুম আসেনি, কত রাত ডুবে গেছি। বিষম কঠিনতম ঘুমে
কি জানি কেমন তন্দ্ৰাঘোরে!
জানলার ঝিলমিলিতে অথবা কার্নিসে কত স্বপ্ন গুটি মেরে
প্ৰতীক্ষায় ছিল, তারা পাল্লাবে আসন পায়নি, ফিরে গেছে,-আজ
সেই সব না দেখা স্বপ্ন ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নিতে চায়; আঃ!
চতুর্দিকে এত সুবাতাস–
এত প্ৰজাপতি দেখলে দুদিনের জন্য ভয় হয়!
বড় ভয় লাগে ওই ওষ্ঠ ধরে অসহ অমিয়
গ্ৰীবার একটু নিচে নখের আঁচড় দেখলে বজ্রপাত,রক্তবৃষ্টি হয়
হঠাৎ এগারোটায় চকিতের জন্য কেন নীরা তুমি, ফিরে এলে সার্কুলার
রোডে?
আজ আমি জনতার, আজ আমি পলাতক চতুষ্কোণ দ্বীপে।
তিনজন একসঙ্গে লাইব্রেরির মাঠে বসেছি, তিনজন উনিশ,
এখন সজ্জিত মঞ্চ ঢের ভালো তিন দৃশ্যে তিন হত্যাকারী,
সামান্য পিঁপড়েও আজ রক্ত চেনে, চোখের মণিকে খুব সুখাদ্য জেনেছে,
আমার বোতাম নেই, সেফটিপিন কিনতে গিয়ে হঠাৎ ফুটপাথে হিরন্ময়
কাঠ হয়ে মরে রইলো, আমি তার আততায়ী,–আমি নয়, আমি?
আমি নয়, আমি নয়, মুক্তি দাও হিরন্ময়, জানো, আমি নয়!
যাকে হত্যা করতে চাই,…তারা সব আগে থেকে হঠাৎ ফুটপাথে
এখন আমার ভয় প্রজাপতি ফুলের বাগানে
যারা তার থেকে আরও দূরে আছে তাদের ডাক-নাম ভুলে গেছি।