কতিপয় কুঁদুলে লোক সে
এক ধোঁয়াশায় ঘোঁট পাকায়
বনগ্রামে, হাঁকায় বেঢপ গাড়ি,
যার জঠর থেকে বেরোয়া
গাদা গাদা ছাই, কাদা এবং
নিষ্ঠীবন, কখনো
পুরোনো বিষ্ঠা। ঘন ঘন ওরা
বুক চাপড়ায় হিংস্রতায়।
আকাশে চাঁদ দেখলে,
গোলাপের উন্মীলন দেখলে
মুখ বেঁকে যায় ওদের।
হাওয়ার ফোয়ারায়
করছে স্নান, নিজের খুব কাছে
ডেকে আনছে
নক্ষত্র, পাখি, অচিন পাথর,
সুস্নিগ্ধ জলধারা,
তার তিন কুড়ি চার বছরকে
ফুঁয়ের তোড়ে উড়িয়ে দিতে
ওরা
কানাঘুষো করে, চেঁচায়,
কটমট তাকায়, দাঁত ঘষতে
থাকে।
এতগুলো বছর শুভঙ্করের
ফাঁকি নয়,
নয় শূন্যের গুণক কিংবা
পাতলা ছেঁড়া কাগজ, শুষ্ক
অঙ্কের
আড়ালে আছে পায়ে চলা
পথের ধুলো, বহু সূর্যোদয়,
বহু সূর্যাআস্ত,
অসংখ্যা রাত্রির জাগরণ,
শিশুর আলিঙ্গন, নারীর চুম্বন,
নিসর্গের শুশ্রূষা, খোলা পথের
ধারে
কবিতার আসা-যাওয়া, গ্রন্থের
সাহচর্য, খন্ড খন্ড লড়াইয়ের
স্বাক্ষর, নানা পল্লীর মানুষের
ভালোবাসা,
বিশ্বাসের নিশ্বাস, ধ্যান আর
নান্দনিক আরাধনার দীর্ঘ
ইতিহাস।
এসব নিমেষে নিশ্চিহ্ন করা
যায় এক ফুঁয়ে,
সঙ্ঘের ঝাপ্টায় কিংবা
জটলার মাটি-কাঁপানো
হুঙ্কারে?
সেই লোকটা-যার দিকে
ধাবমান ছাইয়ের গাদা
ডাঁই ডাঁই কাদা, পুরনো বিষ্ঠা
আর নিষ্ঠীবন,-
সন্ত্রাসের উন্মত্ত থাবা থেকে
হাড় পাঁজরাগুলো বাঁচিয়ে
এখনো খাড়া আছে
পাগলা ঘন্টির চিৎকারে
অন্তর্গত উদাসীনতাকে দর্লভ
প্রতিমা বানিয়ে।
৪.৩.৯৪