দুই
প্যারিস। বারো তারিখ। রাত ন’টা
ফ্রেঞ্চ এসপিওনাজের উপপ্রধান রিপোর্ট করছে ইউনিয়ন কর্সের কাপু উ সেনের কাছে।
রিপোর্টের সারমর্ম: গার দু নর্দের কাছাকাছি একটা পোস্টাফিস থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটা হোটেলের নাম্বারে টেলিফোন মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কাপু উ সেনের নির্দেশে প্যারিস থেকে ঢাকায় করা সমস্ত টেলিফোন কল টেপ করার ব্যবস্থা থাকায় এই মেসেজ ধরা পড়েছে। কিন্তু টেপের কাছে যে লোকটা হাজির ছিল তার উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে সমস্ত আয়োজন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ঢাকায় যে মেসেজটা পাঠানো হয়েছে তা হলো: ‘আমি পার। শোনো, হাতে সময় কম। যা বলছি কাগজে টুকে নাও। শুরু করছি। নারার অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়ে গেছে। রিপিট। নারার অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়ে গেছে। একজনকে কথা বলানো হয়েছে। মরার আগে বলে গেছে সব। শেষ।’ মেসেজটা রিসিভ করেছে নাহাসো।
‘পার মানে রূপা, ফ্রেঞ্চ এসপিওনাজের উপপ্রধানকে জানাল উ সেন। ‘বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে বাস্তববাদী স্পেশাল এজেন্ট। নাহাসো মানে সোহানা,’ চিন্তা করার অবকাশ না নিয়ে গড় গড় করে মুখস্থ বুলির মত বলে যাচ্ছে সে, ‘বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের আরেক গর্ব।’ অকস্মাৎ ধারাল ছুরির মত নিক্ষিপ্ত হলো একটা প্রশ্ন, ‘রূপা ব্যাপারটা জানল কিভাবে?’
মশিয়ে, এর উত্তর কর্নেল বোল্যান্ড আমার চেয়ে ভাল দিতে পারবেন, ফ্রেঞ্চ এসপিওনার্জের উপপ্রধান ম্লান মুখে বলল। ‘তবে আমার ধারণা, ম্যাটাপ্যানকে প্যারিসে নিয়ে আসার জন্যে যাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই ভিক্টর কাউলাস্কির কাজ এটা। ম্যাটাপ্যানকে আমরা হাতে পাবার পর তাকে তার বাড়িতে ফিরে যেতে দেয়া হয়েছিল। সে-সময় রানার প্লট সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। ম্যাটাপ্যানকে আমরা ধরেছি, এই ব্যাপারটা ধামাচাপা দেবার তখন কোন দরকার ছিল না। পরে অবশ্য পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে। বোঝা যাচ্ছে, সময় মত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। যাই হোক, আমার ধারণা স্পেশাল এজেন্ট রূপাকে খবরটা দিয়েছে এই ভিক্টর কাউলাঙ্কিই।
‘তোমার লোক পোস্টাফিসে পাকড়াও করেছে রূপাকে?’
দুঃখিত, মশিয়ে। ওখানে পৌঁছুতে এক মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছিল। টেপের কাছে যে লোকটা ছিল তার গাফলতির দরুন ….
নির্মম রায় ঘোষণার ভঙ্গিতে উচ্চারণ করল উ সেন তিনটে শব্দ: ‘আমি রূপাকে চাই!’
‘জী, মশিয়ে,’ প্ৰতিশ্ৰুতি দিল ফ্রেঞ্চ এসপিওনাজের উপপ্রধান, ‘একটু সময় দিন, তাকে আপনার সামনে এনে হাজির করছি।’
.
মিলান। বারো তারিখ। রাত দশটা।
রাজকীয় ডিনার শেষ করে নিজের কামরায় ফিরল রানা। হুইস্কির বোতল, গ্লাস, বরফ এবং এক প্যাকেট সিগারেট একটা ট্রেতে করে নিয়ে এল রুম সার্ভিস সে চলে যেতে কামরার দরজা বন্ধ করে দিল রানা। গ্লাসে এক আউন্সের মত হুইস্কি ঢালল। প্যাকেট থেকে নিয়ে সিগারেট ধরাল একটা।
পাঁচ মিনিট পর শুয়ে পড়ল ও। আরেক জগতে নিয়ে গেল ওকে ঘুম। দুঃস্বপ্ন দেখছে রানা।
.
লন্ডন। বারো তারিখ। রাত দশটা।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট ম্যালকম লয়েড তার সহকারীদের রিপোর্ট পড়ছে।
প্রথম ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর তার রিপোর্টে লিখেছে: এয়ারপোর্টের অ্যারাইভাল এন্ট্রি বুক চেক করে জানা গেছে সান্তিনো ভ্যালেন্টি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম হপ্তায় লন্ডনে পৌঁচেছে। শহরের ছোট বড় প্রায় সব হোটেলের রেজিস্ট্রেশন বুক চেক করার কাজও শেষ। সান্তিনো ভ্যালেন্টি নামে কোন লোক লন্ডনের কোন হোটেলে ওঠেনি। এই নামের কোন লোক রোম থেকে টেলিফোন করেও কোন রূম রিজার্ভ করেনি। সেপ্টেম্বর মাসের এক তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত আকাশ পথে সান্তিনো ভ্যালেন্টি নামে কোন লোক লন্ডন ত্যাগ করেনি।
দ্বিতীয় ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টরের রিপোর্টটা পড়ে উৎসাহ বোধ করল ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট ম্যালকম লয়েড। সেটা এই রকম:
অনুরোধ করা হলে ভাড়াটে বাড়ি যোগাড় করে দেয় লন্ডনের এমন সমস্ত সংস্থায় লোক পাঠিয়ে পাঁচজন সান্তিনো ভ্যালেন্টির খোঁজ পাওয়া গেছে যারা আগস্ট মাসের পনেরো তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের পনেরো তারিখের মধ্যে কোন না কোন এজেন্সীর মাধ্যমে লন্ডন শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছে। এদের মধ্যে একজন সরাসরি রোম থেকে টেলিফোনে একটি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছিল। সংস্থা তাকে একটি একতলা বাড়ি যোগাড় করে দিয়েছে। বাড়িটা প্যাডিংটন এলাকার প্যারেড স্ট্রীটে। ইতোমধ্যে ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর নিজে বাড়িটা দেখে এসেছে, সেটা খালি, তালা ঝুলছে বাইরের দরজায়। সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকায় তল্লাশী চালাবার ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
সার্চ ওয়ারেন্ট সংগ্রহের জন্যে লোক পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যাকে আমরা খুঁজছি তার চেহারার বর্ণনার সাথে এই সান্তিনো ভ্যালেন্টির চেহারার মিল আছে। আরও জানা গেছে, লোকটা নাকি মাছ ধরার জন্যে আইসল্যান্ডে চলে গেছে।
কাজের মানুষ ম্যালকম লয়েড অনুসন্ধানের এই অগ্রগতিতে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারছে না। বাড়িটায় তালা ঝুলছে, তারমানে চিড়িয়া ভেগেছে নাকি? কোথায়? আইসল্যান্ডে?
কাগজ কলম নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের ছক কাটতে শুরু করল সে। প্রথম কাজ: বাড়িটা সার্চ করা। নিশ্চয়ই ওখানে কোন সূত্র পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় কাজ : নতুন পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করেছে যারা তাদের চেহারার বর্ণনার সাথে সান্তিনোর চেহারা মেলে কিনা চেক করা। ইংল্যান্ড ত্যাগ করে থাকলে নিশ্চয়ই সে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেছে।
তার সহকারীদেরকে নতুন আদেশ দেয়ার জন্যে টেলিফোনের দিকে হাত বাড়াল ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট ম্যানকম লয়েড।
প্যারিস। বারো তারিখ। রাত দশটা। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কনফারেন্স রূমে বৈঠক বসেছে। ফ্রেঞ্চ হোমিসাইড চীফ ক্লড ব্যাবো তাঁর প্রথম প্রোগ্রেস রিপোর্ট প্রকাশ করছেন। সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
এর আগের বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, বিভাগীয় প্রধান এবং উপপ্রধানরা, তারা সবাই উপস্থিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রথমে তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দান করলেন ক্লড র্যাঁবো। এতে একঘণ্টার উপর সময় লেগে গেল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো: লন্ডনে সান্তিনো ভ্যালেন্টির বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেটা খালি। প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের জন্যে ধর্মঘট পালন করছে বলে সার্চ ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি স্পেশাল ব্রাঞ্চ। আশা করা যায় আগামীকাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
‘বাড়ি খালি?’ অধৈর্যের সাথে বলল ফ্রেঞ্চ সুরেতের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কর্নেল প্যাপন। চর্বিভরা প্রকাণ্ড মুখটা উত্তেজনায় লাল হয়ে উঠেছে তার। তার মানে ইংল্যান্ড ত্যাগ করেছে সে। মশিয়ে র্যাঁবো, আমি জানতে চাই, খুনীটাকে ফ্রান্সে ঢুকতে বাধা দেবার জন্যে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন আপনি?’
ঠাণ্ডা চোখে কর্নেল প্যাপনের দিকে তাকালেন ক্লড র্যাঁবো। শান্তশিষ্ট মানুষটি কোন কারণে কখনও উত্তেজিত হন না, এবং কাউকে উত্তেজিত হতে দেখলে তার প্রতি তিনি করুণা বোধ করেন। কর্নেল প্যাপনের প্রতি শুধু করুণা নয়, সেই সাথে বিরক্তিও বোধ করলেন তিনি। নিত্যসঙ্গী জ্বলন্ত চুরুটটা ঠোঁট থেকে নামিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দিকে তাকালেন। অদ্ভুত শান্ত কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, ‘মশিয়ে, আপনাকে আমি অনুরোধ করব, এরপর থেকে কেউ যেন আমাকে জবাবদিহি চাওয়ার সুরে কোন প্রশ্ন না করে। আমাকে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়েছে বলেই একটা গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে চাপানো হয়েছে। আমার সাধ্য অনুযায়ী দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করছি। সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই আমি, ধমক নয়।’ অদ্ভুত বাঁকা একটু হাসি ফুটল তাঁর ঠোঁটে। তিনি আবার বললেন, ‘দায়িত্বটা আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না, কেউ যদি এ প্রশ্ন তুলে আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান, অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জানাচ্ছি, তাও সম্ভব নয়। আশা করি ক্লড র্যাঁবো সম্পর্কে একটা কথা উপস্থিত সবারই জানা আছে: তিনি যে-কাজে হাত দেন সে-কাজের শেষ দেখে ছাড়েন।’
‘মশিয়ে ক্লড র্যাঁবো,’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অত্যন্ত সমীহের সাথে বললেন, ‘আপনার সামনে সবাইকে আমি অনুরোধ করছি, কেউ যেন দয়া করে আপনাকে অনভিপ্রেত কোন প্রশ্ন না করেন।
‘ধন্যবাদ, মশিয়ে,’ ক্লড র্যাঁবো বললেন। তারপর তাকালেন কর্নেল প্যাপনের দিকে। ‘মশিয়ে প্যাপন, আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, ফ্রান্সের প্রতিটি বর্ডার পোস্টের প্রত্যেক কাস্টমস অফিসারের কাছে জরুরী নির্দেশ এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সে ঢুকছে এমন বিদেশীদের মধ্যে যারা পাঁচ ফিট এগারো ইঞ্চি বা কাছাকাছি লম্বা, চোখের মণি কালো, তাদের সবার লাগেজ চেক করবে তারা। পাসপোর্ট, ভিসা, রি-এন্ট্রি পাস, আইডেনটিটি কার্ড জাল কিনা তাও সংশ্লিষ্ট ‘এলাকার ডি-এস-ডি অফিসারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
রাগে এবং অপমানে লাল হয়ে গেছে কর্নেল প্যাপনের প্রকাণ্ড মুখটা। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে আর কথা বাড়াল না সে।
এরপর কড ব্যাবো তাঁর প্রোগ্রেস রিপোর্টের বাকি অংশ প্রকাশ করতে শুরু করলেন। প্রায় একঘণ্টা সময় নিয়ে একাই কথা বলে গেলেন তিনি। মাঝখানে তাঁকে শুধু একবার বাধা দেয়া হলো।
‘আমি মনে করি, কর্নেল প্যাপন বলল, সান্তিনো ভ্যালেন্টি পিছিয়ে যাবে। তার উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে এ-খবর নিশ্চয়ই পেয়ে গেছে সে।’
‘কিভাবে মশিয়ে?’ প্রায় চমকে উঠে প্রশ্ন করলেন ক্লড র্যাঁবো। ‘এখানে উপস্থিত আমরা এই ক’জন ছাড়া আর কেউ জানে না…’
উভয় সঙ্কটে পড়ে গেল কর্নেল প্যাপন। কাপু উ সেনের নিষেধ আছে সান্তিনো ভ্যালেন্টির আসল পরিচয় যেন ইউনিয়ন কর্মের অতি বিশ্বস্ত সদস্য ছাড়া আর কেউ মা জানে, বিশেষ করে ক্লড ব্যাবোকে তো কোনমতেই জানানো চলবে না। রানার পরিচয় গোপন রাখতে হলে ম্যাটাপ্যান এবং কাউলাস্কি প্রসঙ্গও চেপে রাখতে হয়। তা রাখতে হলে ক্লড ব্যাবোকে বলা সম্ভব নয় কিভাবে বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের স্পেশাল এজেন্ট রূপার মাধ্যমে ঢাকায়, এবং ঢাকা থেকে সম্ভবত রানার কাছে সব খবর পৌঁছে গেছে।
‘ও-এ-এস-কে আমি ছোট করে দেখি না,’ ভেবেচিন্তে, সাবধানে কথা বলছে কর্নেল প্যাপন। ‘খবর সংগ্রহের নিশ্চয়ই কোন না কোন মাধ্যম আছে তাদের:::
‘আমি আপনার সাথে একমত নই,’ দৃঢ় স্বরে বললেন ক্লড ব্যাবো। আমরা কেউ ডাবলক্রস না করলে ও-এ-এস বা তার নিযুক্ত খুনী সান্তিনো ভ্যালেন্টির এসব কিছুই জানার কথা নয়। আপনার অনুমান যদি সত্যি হয় তাহলে মনে করতে হবে আমাদের মধ্যেই কোথাও ফুটো আছে, যেখান দিয়ে খবর বেরিয়ে যাচ্ছে।
সবাই ব্যাপারটা অনুধাবন করার চেষ্টা করছে। পরিবেশটা থমথমে হয়ে উঠল।
অনেকক্ষণ পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিস্তব্ধতা ভাঙলেন, ‘আমি মশিয়ে র্যাঁবোর সাথে একমত। তবে, আমার বিশ্বাস, আমাদের মধ্যে কেউ ডাবলক্রস করছে না, কোথাও কোন ফুটোও নেই, অর্থাৎ ষড়যন্ত্রটা ধরা পড়ে গেছে এ-খবর ও-এ-এস বা সান্তিনো ভ্যালেন্টি এখনও জানে না। আমরা সাবধান থাকলে ভবিষ্যতেও জানবে না।’
তাই যেন হয়,’ ক্লড র্যাঁবো বললেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে তা একমাত্র সময়েই জানা যাবে।
এর পনেরো মিনিট পর মীটিং ভেঙে গেল। ঘড়িতে তখন রাত একটা। তেরো তারিখের প্রথম ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।