আমার ক’জন নিত্য জুটে যাই নিঃসঙ্গে প্রাণের
হু হু টানে কোথাও না কোথাও, যেমন ক’টি নদী
মেশে মোহনায়। কথা বলা, খুব রাত্তির অবধি
চাঁদার চায়ের পাট চলে যথারীতি, কখনোবা
নৈঃশব্দ ফলের মতো পেকে ওঠে, কখনো গানের
গুঞ্জনে রূপান্তরিত ঘর, কী রহস্যময় শোভা।
নিপুণ গায়ক নয় বন্ধু, তবু মাঝে মাঝে তার
হৃদয়ের অত্যন্ত নির্জন কূপ থেকে উঠে আসে
সুর, হাঁস-শাবকের অপটু ওড়ার মতো, আর
আমরা প্রবেশ করি যে যার ভেতরে অগোচরে।
বন্ধুর গলায় সুর নর্তকীর ভঙ্গিমায় ভাসে
যেন, কখনোবা তালভঙ্গ হয়, কিন্তু সেই ঘ এ
সুরের আড়ালে জেগে ওঠে সুদূরতা, দুঃখ শোক-
ছাওয়া দৃশ্যাবলি, কারো চুলে, একা-বসে-থাকা, চোখ।