সিঁড়ির পর সিঁড়ি বেয়ে উঠছি আমি অনেক দূরে।
দিন দুপুরে রাত দুপুরে
তন্ন তন্ন করে খুঁজি ঘরের পর ঘর।
চামচিকে আর টিকটিকিরা এদিক ওদিক
এলেবেলে করছে বেবাক
গেরস্থালি।
সিঁড়ির ধাপে, কুলুঙ্গিতে নজর রাখি, সারাবেলা
খেলতে দেখি শূন্যতাকে।
হঠাৎ কখন চমকে উঠি, শ্মশান ছেড়ে
চাঁড়াল কেন এখানে এই অন্ধকারে একলা দাঁড়ায়?
কাঁচাপাকা দাঁড়ি-ঝাঁঝাঁ তাড়ির রসে সিক্ত, এবং
চক্ষুজোড়া গোধুলিময় মিনি আকাশ।
কিন্তু কোথায়? যায় না দেখা তাকে এখন,
এক নিমেষে নিরুদ্দেশে দ্রবীভূত।
নিষ্প্রদীপ এই দরদালানে খুঁজছি আমি
স্বর্ণ প্রদীপ? তা নয়, তা নয়,
এমনতো নয়। বনকবুতর ছড়িয়ে গতর বসে থাকে
ফাঁক ফোকরে। হঠাৎ কেমন বাঁশির ডাকে
চট্কা ভাঙে। পানির নিচে
শ্বতপাথরের ভাঙা সিঁড়ি কোন পাতালে
নেমে গেছে? সিঁড়ির পর সিঁড়ি ভেঙে নামছি আমি,
উঠছি আবার, ঘুরছি
শুধু বারংবার।
কাছে-পিঠে জনমনিষ্যি নেইতো কোথাও নিজের কাছেই
নিজেকে আর মানুষ বলে
হয় না মনে।
অন্বেষণে আছি মেতে; কিন্তু কী-যে
অষ্ট প্রহর খুঁজে বেড়াই চক্ষুহীনের মতো আমি-
কার কাছে তার হদিশ পাবো?
সিঁড়ির পর সিঁড়ি বেয়ে তাকিয়ে দেখি
এমন আঁধার শূন্য ক’রে
কোথায় গেল বাসিন্দারা? হাতড়ে ফিরি
একলা শুধু আশেপাশে,
যেন আমি অন্তবিহীন বন্দীদশায় পুরাণ-পুরুষ,
পায়ের কাছে মৃত ঈগল। নিজের নখে
ইতস্তত ছিঁড়ছি নিজের মাংসপেশী,