সিঁড়ির ওপরে
কোনো ঘরে জায়গা নেই, তুমি আমাকে
বসতে বললে সিঁড়িতে
আঁচল দিয়ে ধুলো মুছতে যাচ্ছিলে, আমি বললাম, থাক!
আমার মুখের ঘাম মোছার ইচ্ছে ছিল ওই আঁচলে
কিন্তু সেটা ছড়িয়ে রইলো মাঝখানে
প্রবাদের খড়্গের মতন
তার ওপর দিয়ে উড়ে যায়
স্পর্শকাতর বাতাস।
সিঁড়ির নিস্তব্ধতা ভেঙে যখন-তখন জেগে ওঠে পদশব্দ
আমি সঙ্কুচিত হয়ে বসি, ইচ্ছাশক্তিতে কেন মানুষ
অদৃশ্য হতে পারে না!
অচেনা দৃষ্টিগুলি আমার শরীরে বেঁধে, নীরা তুমি হেসে ওঠো
তোমার বিমূর্ত হাসিতে সিঁড়ি হয়ে যায় জলপ্রপাতের কিনারা
সেখানে ঝুঁকে আছে স্নেহময় বৃক্ষ,
জলে খেলা করে পাতার ছায়া
নব ভ্রূপল্লব, নব বেদনাময় আহ্বান!
তোমার নরম স্থিতি থেকে আমার বাসনা অনেক দূরে
তবু সিঁড়ির ওপরে বহুদিনের বিচ্ছেদ বেদনা ধুলো হয়ে গেল।