সারস

মাঝে মাঝে দেখতাম তাকে দূরবর্তী
বাড়ির চূড়ায় কিংবা সাদা মেঘভর্তি
আকাশের মাঠে, যেন স্বপ্নের নিঝুম বিল থেকে
এসেছে সে কী প্রকার গোপনতা নিয়ে। ওকে দেখে
সারস হওয়ার বড় সাধ
হতো কোনো কোনো দিন। রেশমি অবাধ
ডানা মেলে সাধ হতো চঞ্চুর ডগায় আনি ছেঁকে
অনন্তের ক্ষীর, যা অনেকে
চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত হয়। অনেক সময়
কোনো কোনো সাধ বড় দীর্ঘস্থায়ী হয়।

কখনো আঁতুড় ঘরে, কখনোবা সমাধি ফলকে
পাখার ঝলকে
নেচে ওঠে রাঙা তালে কেমন ভুবন। পক্ষী গূঢ় প্রত্যাশায়
আমার ছায়ায় ঘোরে, কখনো ঘুমায়।
ছড়ায় পাণ্ডুর জ্যোৎস্না মাথার ভিতর
পাখার বিস্তারে আর হঠাৎ ইতর
বাসনার রোখে অগোচরে
নাৎসি গোয়েন্দার মতো পথচারী হৃৎপিণ্ডের চরে।

এখন সে ছেঁড়া কাগজের মতো রুক্ষতায়
বিদ্ধ কালো, অন্ধ কাঁটাতারে নিরুপায়।