১ সাত মাস পলেষ্টীয়রা তাদের দেশে পবিত্র সিন্দুকটিকে রেখে দিয়েছিল।
২ তারা যাজক আর যাদুকরদের ডাকল। তাদের জিজ্ঞাসা করল, “প্রভুর এই সিন্দুক নিয়ে আমাদের কি করা উচিত্? কি করে আমরা সেটা যথাস্থানে ফিরিযে দিতে পারি?”
৩ যাজক আর যাদুকররা বলল, “যদি তোমরা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক ফিরিযে দাও তাহলে কখনও তা খালি পাঠাবে না। অবশ্যই তোমরা নৈবেদ্য সাজিযে দেবে। তাহলেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদের পাপ মুক্ত করবেন। তোমরা সুস্থ হবে। যা বললাম তাই করো, তাহলে ঈশ্বর তোমাদের আর শাস্তি দেবেন না।”
৪ পলেষ্টীয়রা জিজ্ঞেস করল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মার্জনা পেতে হলে কি ধরণের উপহার দিতে হবে?”যাজক আর যাদুকররা বলল, “পাঁচজন পলেষ্টীয় শাসক রযেছে। এরা প্রত্যেকে এক একটি শহরের নেতা। তোমাদের সমস্ত লোকের ও নেতাদের সমস্যা একই রকম। তাই এক কাজ করো, পাঁচটা সোনার ইঁদুর আর পাঁচটা টিউমার তৈরী করো।
৫ টিউমারগুলির এবং ইঁদুরের সোনার মূর্ত্তি তৈরী কর যা তোমাদের দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করো। তাহলে হয়তো তিনি তোমাদের আর তোমাদের দেবতাদের আর সেই সঙ্গে তোমাদের দেশের ওপর সমস্ত শাস্তি রদ করতে পারেন।
৬ ফরৌণ আর মিশরীয়দের মতো কখনও হৃদয় অনমনীয করো না। ঈশ্বর মিশরীয়দের শাস্তি দিয়েছিলেন, আর সেই জন্যই মিশরীয়রা ইস্রায়েলীয়দের মিশর ছেড়ে চলে যেতে দিয়েছিল।
৭ “তোমরা অবশ্যই একটা নতুন টানাগাড়ি তৈরী করো আর সদ্য বিযোনো দুটো গাভী জোগাড় করো। গাভী দুটো যেন মাঠে কখনও কাজ না করে থাকে। ওদের গাড়ীর সঙ্গে জুড়ে দাও। তারপর বাছুরগুলোকে গোযালে পুরে দাও। কিছুতেই যেন তারা মাযেদের পিছু না নেয।
৮ গাড়ীর মধ্যে এবার প্রভুর পবিত্র সিন্দুকটি রাখো। আর সিন্দুকের পাশে থলিতে সোনার ছাঁচগুলো রাখবে। সোনার ছাঁচগুলো ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের উপহার, যাতে তিনি তোমাদের ক্ষমা করেন। তারপর গাড়ীটা ছেড়ে দাও।
৯ গাড়ীটার দিকে লক্ষ্য রাখবে। যদি সেটা ইস্রায়েলের বৈত্-শেমশের দিকে যায় তাহলেই বুঝবে প্রভু আমাদের এই ভযানক রোগ দিয়েছেন। আর যদি সোজাসুজি বৈত্-শেমশের দিকে না যায় তবে জানবে যে ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাদের শাস্তি দেন নি। তাহলে আমরা জানব আমাদের এমন রোগ এমনিই হয়েছে।”
১০ পলেষ্টীয়রা যাজক ও যাদুকরদের কথামত কাজ করল। সদ্য বিযোনো গাভী তারা পেয়ে গেল। গাভী দুটো গাড়ীর সঙ্গে জুড়ে দিল আর বাছুরদের গোযালে ঢুকিয়ে দিল।
১১ তারপর পলেষ্টীয়রা ভেতরে রেখে দিল প্রভুর পবিত্র সিন্দুক। সোনার টিউমার আর ইঁদুরের ছাঁচগুলোর থলিটাও রেখে দিল।
১২ গাভীদুটো সোজা বৈত্-শেমশের দিকে গেল, সমস্ত রাস্তা তারা হাম্বা হাম্বা শব্দ করে চলল। ডাইনে কি বাঁযে একবারও ঘুরল না। পলেষ্টীয় শাসকরা বৈত্-শেমশের সীমানা পর্য়ন্ত গাভী দুটোর পেছনে পেছনে গেল।
১৩ বৈত্-শেমশের লোকরা উপত্যকার ক্ষেত্র থেকে গম তুলছিল। তারা পবিত্র সিন্দুকটা দেখে খুব খুশী হয়ে সিন্দুকটা পাবার জন্য ছুটে গেল।
১৪ মাঠটা ছিল বৈত্-শেমশের বাসিন্দা য়িহোশূযের। সেই মাঠের ওপর একটা বড় পাথরের কাছে এসে গাড়ীটা থামল। বৈত্-শেমশের লোকরা গরুর গাড়ী থেকে গাড়ীটা আলাদা করে গাভী দুটোকে মেরে ফেলল এবং সেগুলো তারা প্রভুর কাছে নিবেদন করল।লেবীয়রা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক আর সোনার ছাঁচের থলেটা নামিযে আনল। তারা প্রভুর সিন্দুক আর থলেটা পাথরের ওপর রাখল। সেদিন বৈত্-শেমশের লোকরা প্রভুকে হোমবলি নিবেদন করল।
১৫
১৬ পাঁচজন পলেষ্টীয় শাসক বৈত্-শেমশে এই সমস্ত ক্রিযাকাণ্ড দেখে সেদিনই ইক্রোণে ফিরে গেল।
১৭ এভাবেই পলেষ্টীয়রা প্রভুর কাছে যে পাপ করেছিল তা স্খালনের জন্য টিউমারের সোনার ছাঁচগুলো উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তারা প্রত্যেক পলেষ্টীয় শহরে একটি করে টিউমারের সোনার ছাঁচ পাঠিয়ে দিয়েছিল। পলেষ্টীয়দের এই শহরগুলি হচ্ছে: অস্দোদ, ঘসা, অস্কিলোন, গাত্ এবং ইক্রোণ।
১৮ পলেষ্টীয়রা সোনার ইঁদুরের ছাঁচ পাঠিয়েছিল। পলেষ্টীয় শাসকদের যতগুলো শহর ছিল, সোনার তৈরী ইঁদুরও ছিল ততগুলো। শহরগুলো ছিল পাঁচিলে ঘেরা। আবার প্রত্যেক শহর ছিল গ্রাম দিয়ে ঘেরা।বৈত্-শেমশের লোকরা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক পাথর খণ্ডের ওপর রেখে দিল। বৈত্-শেমশের য়িহোশূযের মাঠে আজও সেই পাথর দেখা যাবে।
১৯ কিন্তু বৈত্-শেমশের লোকরা যখন প্রভুর পবিত্র সিন্দুক দেখতে পেল তখন সেখানে কোন যাজক ছিল না। তাই ঈশ্বর বৈত্-শেমশের ৭০ জন লোককে হত্যা করলেন। প্রভুর এই কঠোর শাস্তির জন্য বৈত্-শেমশের লোকরা খুব কাঁদল।
২০ লোকরা বলল, “এই পবিত্র সিন্দুকটির দেখাশোনা করবার যাজক কোথায়? এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আমরা এটাকে কোথায় পাঠাবো?”
২১ কিরিযত্-য়িযারীমে একজন যাজক ছিল। বৈত্-শেমশের লোকরা সেখানে দূত পাঠাল। দূতরা বলল, “পলেষ্টীয়রা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক ফিরিযে দিয়েছে। এবার তোমরা নেমে এসো। সিন্দুকটি তোমাদের শহরে নিয়ে যাও।”