সানঘাগরার আতঙ্ক – ৪

চার

তবে কি বাথরুমে গেছে? হয়তো। সৌরভ আর শুয়ে না থেকে উঠে পড়ল। দু’দিকের বাথরুমে গিয়ে উকি মেরে দেখল, না কোথাও নেই। তা হলে গেল কোথায় মেয়েটা?

ও নিজেই তখন কলে গিয়ে মুখচোখ ধুয়ে এসে এক কাপ বিস্বাদ চা কিনে খেল।

মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল ওর।

একটু পরেই নড়ে উঠল ট্রেন।

আর অমনি দেখা গেল একটি বড়সড় সুটকেস টানতে টানতে এগিয়ে আসছে খেয়ালি।

খানিক এসেই হাঁক দিল সে, সৌরভ! সৌরভ! একবার এদিকে এসো। সৌরভ ছুটে গেল ওর দিকে। বলল, এ কী! এটা কোত্থেকে পেলে? কার এটা?

আমার সাইডের বার্থে যিনি শুয়ে আছেন তাঁর।

কিন্তু এটা তোমার কাছে কী করে এল?

চলো না বলছি।

ওরা দু’জনে মিলে ধরাধরি করে সুটকেসটা নিয়ে এসে ওদের বার্থের কাছে ডেকে তুলল।

রেখে সাইড আপারে যে ভদ্রলোক শুয়েছিলেন তাঁকে

সৌরভ বলল, দেখুন তো এটা আপনার কি না? ভদ্রলোক লাফিয়ে উঠলেন, হ্যাঁ, এটা তো আমারই। কোথায় ছিল এটা?

কেন আমার পায়ের কাছে!

ওখানেই রাখুন। আর ভেতরটা দেখে নিন জিনিসপত্তর সব ঠিকঠাক আছে কি না।

ভদ্রলোক চাবি লাগিয়ে লক খুলে ভেতরে একবার চোখ বুলিয়েই বললেন,

হ্যা। সবই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু এটা তোমাদের হাতে গেল কী করে? খেয়ালি বলল, হঠাৎ ভোরবেলা মাকে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখে আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। আমার পাশের এই ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দেখি সেও বেশ নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছে। আমি তখন ঘুরে শুই আর চোখ পিটপিটিয়ে সবকিছু দেখতে থাকি। হঠাৎ দেখি আপনার বার্থের নীচে যে টাকলুবাবু শুয়েছিলেন তিনি উঠে বসেছেন। টাক আর ভুঁড়ি আমি দু’চোক্ষে দেখতে পারি না। দেখলে আমার হাসিও পায়, আবার রাগও ধরে। তা আমি দেখি না সেই টাকলুবাবু উঠেই চটপট সবকিছু গুছিয়ে নিলেন। আমি ভাবলাম উনি নেমে গেলেই আমি জানালার ধারটায় গিয়ে বসব। তারপরই দেখি না, উনি এদিক ওদিক তাকিয়ে আপনার সুটকেসটি নিয়ে হাওয়া। আমি প্রথমটায় ভাবলাম হয়তো এটা ওনারই। তারপরই মনে হল, না তা তো নয়। ওনার সুটকেস হলে সেটা ওনার কাছেই থাকত। অন্যের বার্থে থাকবে কেন? তাই সঙ্গে সঙ্গে লোকটিকে ধাওয়া করলাম আমি। প্ল্যাটফর্মে নেমে লোকটি যখন একটা কুলি ডেকে সেটা তার মাথায় চাপাবার চেষ্টা করছেন আমি তখন শুধুই কাছে গিয়ে বলেছি, এই যে মিস্টার… আর কিছু বলবার আগেই টাকলুবাবু সেই কুলিটাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েই কোথায় যে গা ঢাকা দিলেন, তাঁর টিকিটিও দেখা গেল না আর।

সৌরভ হেসে বলল, টাকলুবাবু যদি হয় তো টিকি থাকবে কী করে তাঁর, যে তুমি দেখবে?

খেয়ালি বলল, থাক। খুব হয়েছে। আর ফুট কেটো না তুমি। যেমন ঘুমোচ্ছিলে তেমনি ঘুমোও। কী ঘুম রে বাবা। গাড়িতে এত কেউ ঘুমোয়?

অন্যান্য অনেক যাত্রী জেগে উঠেছেন তখন। সবাই যে যার জিনিসপত্তর হাতড়ে দেখলেন। সবার সব কিছুই ঠিক আছে। একটিই শুধু খোয়া গিয়েছিল, ভাগ্যজোরে পাওয়া গেল সেটাও।

ভদ্রলোক বললেন, তুমি যে আমার কী উপকার করলে না, তা কী বলব। এর ভেতরে অনেক দামি দামি জিনিস ছিল আমার। নগদ টাকা-পয়সাও কিছু ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, আমার ছেলের চাকরির ইন্টারভিউ লেটার, আমার বাড়ির দলিল, আর ইন্টারন্যাশন্যাল পাসপোর্টও ছিল। ওগুলো খোয়া গেলে কী ঝামেলাতেই যে পড়তাম।

সৌরভ বলল, খেয়ালি! তুমি যে কাজ করেছ, তাতে তোমাকে সত্যিই ধন্যবাদ জানানো উচিত। কিন্তু তুমি অতখানি ঝুঁকি না নিয়ে যদি চেঁচিয়ে উঠতে, তা হলে লোকটাকে ধরে আমরা সবাই মিলে আচ্ছা কষে ঘা কতক দিতে পারতাম।

খেয়ালি বলল, আসলে লোকটি আদৌ চোর কিনা বুঝে উঠতেই তো আমার সময় লাগল। তা ছাড়া আমি চেঁচিয়ে উঠলে উনি হয়তো এই সুটকেসটা সঙ্গে নিয়েই পালাতেন।

কিন্তু যদি ও আক্রমণ করত?

তা হলে? বলার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল ওর বুকের কাছে উঁচিয়ে ধরেছে ধারালো একটা ছুরি। সেটা এমনই যে, আর একটু হলেই লেগে যেত সৌরভকে। কী সাংঘাতিক মেয়ে।

শুধু যে ছুরির ফলা তা নয়। ওর দু’চোখেও তখন ঝকঝক করছে হিংসার একটা শানিত ছুরি। এই যদি ওর দেখানোর ভঙ্গি হয় তা হলে বাস্তবক্ষেত্রে এ তো ডেঞ্জারাস।

সৌরভ সভয়ে একটু পিছিয়ে যেতেই, এক মুখ হেসে ওর ঠিক পাশটিতেই বসে পড়ল খেয়ালি।

একটু পরে আবার চা এলে সেই ভদ্রলোক ওদের দু’জনকেই চা খাওয়ালেন। কী একটা স্টেশনে ট্রেন থেমে আবার চলতে শুরু করল।

খেয়ালি বলল, তুমি পাণ্ডব গোয়েন্দা পড়েছ?

সৌরভ বলল, না।

আজকের দিনে যে ছেলে বা মেয়ে পাণ্ডব গোয়েন্দা পড়েনি তার সঙ্গে আমি বন্ধুত্ব করি না। পাণ্ডব গোয়েন্দার বাবলু কী বলেছে জানো তো, এখন যা দিনকাল তাতে খুনজখম করবার জন্য নয়, আত্মরক্ষার জন্যই প্রত্যেকের সঙ্গে একটা-না-একটা অস্ত্র রাখা উচিত। বিশেষ করে তোমার আমার বয়সি ছেলেমেয়েদের। এ যা দিনকাল, এ যা অরাজকতা, তাতে কখন কী হয় কে জানে?

সেইজন্যেই বুঝি তুমি ছুরির খেলা দেখাবে বলে ঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসেছ? আরে না না। এটা কালই সন্ধেবেলা আমি হাওড়া স্টেশনে কিনেছি। তবে যাই হোক, তুমি যে আর পাঁচটা মেয়ের মতো নও, তা কিন্তু বোঝাই গেছে।

এ সবই পাণ্ডব গোয়েন্দা থেকে শিখেছি।

কিন্তু তুমি চুপি চুপি যে কীর্তিটা করলে, ওটা যে পঞ্চই করে থাকে সাধারণত। কী বললে? আমি পঞ্চুর কাজটা করেছি? তার মানে আমি বাচ্চু-বিচ্ছুর মতো

না হয়ে পঞ্চর মতো হয়েছি? এ তুমি বলতে পারলে? বলেই মুখ গোমড়া করে সৌরভের পাশ থেকে একটু সরে গিয়ে বসল এবং ফুলতে লাগল রাগে।

সৌরভ বলল, তুমি রাগ করলে?

খেয়ালি প্রথমে ওর কথায় উত্তর দিল না। তারপর এক সময় বলল, তুমি ভীষণ মিথ্যেবাদী।

কেন?

একটু আগে না তুমি বললে পাণ্ডব গোয়েন্দা তুমি পড়নি। তোমার কথা যদি সত্যি হয় তা হলে পঞ্চুর কীর্তিকলাপ তুমি জানলে কী করে?

সৌরভ বলল, যাঃ। তোমার কাছে আমি হেরে গেলাম?

ট্রেন এসে যাজপুর কেওনঝোড় রোডে থামল।

সৌরভ ওর কিট ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে নামলে, খেয়ালিও নামল ওর সঙ্গে। ছিটেল মেয়েটা কি সত্যিই ওর সঙ্গ নেবে? তা যদি হয় তা হলে তো মুশকিল। মেয়েটি নিঃসন্দেহে ভাল। ওর সঙ্গে কথা বলেও সময় কাটবে। কিন্তু অরবিন্দকাকুর বাড়িতে ওকে নিয়ে উঠলে ওঁরা কী ভাবে নেবেন?

খেয়ালি বলল, কী ভাবছ? আমাকে সঙ্গে নেবে কি না? যদি আপত্তি থাকে এখনও বলো। আমি ঠিক আমার ব্যবস্থা করে নেব।

সৌরভ বলল, না। আমি ভাবছি অন্য কথা।

চলতে চলতে ওরা গেটের কাছে এসে গেল। টিকিট কালেক্টর কালো কোটের ভেতর থেকে শীর্ণ একটি হাত বার করে বললেন, টিকিট?

সৌরভ টিকিট দিল।

কিন্তু খেয়ালি কোথায়? এই তো ছিল মেয়েটা। কোথায় গেল?

খেয়ালি তখন লাইন টপকে স্টেশনের বাইরে। সেখান থেকেই হাত নাড়তে

লাগল সে, আমি এখানে। সৌরভ! এদিকে তাকাও।

সৌরভ এতক্ষণে দেখতে পেল খেয়ালিকে।

টি সি বললেন, ওর টিকিট কে দেবে?

সেটা ওকেই জিজ্ঞেস করুন। আমার টিকিট তো আমি দিয়েছি। ও তো তোমার সঙ্গেই কথা বলতে বলতে আসছিল।

তাতে কী হয়েছে। আমি তো আপনার সঙ্গেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি।

তার মানে কি আমিও রেলে চাকরি করি?

টি সি আর কিছু বললেন না।

সৌরভ গেটের বাইরে এল।

আর খেয়ালি দূর থেকে এক চোখটিপে এমন একটা ইঙ্গিত করল টি সি-কে যার অর্থ, বুঝতেই তো পারছেন দাদা, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। অর্থাৎ কিনা প্লিজ, ছোড় দিজিয়ে।

সৌরভ বুঝল, মেয়েটা সত্যিই চমৎকার। অদ্ভুতরকমের একটা ম্যানেজিং টেকনিক জানা আছে ওর। তার মানে পুরোপুরি একটি ম্যানেজ মাস্টারনী। যাই হোক, মেয়েটিকে ও সঙ্গ দেবে। না হলে ওর এই পাগলামির জন্য হয়তো কোনও বিপদও ঘটে যেতে পারে ওর। কেউ হয়তো ওকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কোথাও নিয়ে গিয়ে বিক্রিও করে দিতে পারে। তাই স্টেশন থেকে বেরিয়ে এসেই হাত ধরল ওর।

খেয়ালি বলল, কী ঠিক করলে?

কীসের কী?

আমি কি তোমার সঙ্গে থাকব? না ছাড়াছাড়ি হবে দু’জনার? সৌরভ বলল, ছাড়াছাড়ি হবে না বলেই তো হাত ধরলাম। এখন থেকে তুমি আমার কাছেই থাকবে।

তা হলে প্রমিস করো, আমাকে তোমার চেলি করে নেবে।

চেলি। সে আবার কী জিনিস।

বাঃ রে। সাধুসন্ন্যাসীদের চ্যালা থাকে না? আর তুমিও যখন অসাধু নও, তখন আমি তোমার চেলি তো বটেই। দাও তোমার কিট ব্যাগটা। এখন থেকে ওটা আমিই বইব।

তার কোনও প্রয়োজন হবে না।

হবে মশাই হবে। না হলে মানাবে কেন? তুমি হচ্ছ হিরো, আমি হচ্ছি জিরো। আর তোমাকেও যা ফার্স্ট ক্লাস দেখতে না, তাতে সত্যিই যদি কখনও আমি সিনেমায় নামতে পারি তা হলে তোমাকে আমার নায়ক আমি করবই করব।

সৌরভ হেসে বলল, তা তো করবে। কিন্তু তোমার আমার বয়সটার কথা একবারও কি চিন্তা করেছ?

করেছি বইকী। আজকাল তোমার আমার বয়সি টিন এজারদের নিয়েই ছবি খুব ভাল জমে। দেখছ না বম্বের যত বড় বড় ফিল্মস্টারেরা নিজেরা বসে গিয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েদের নিয়েই ছবি করছে। শুধু করছে যে তা নয়, দমাদ্দম হিটও করছে সেই সব ছবি। ভাল ছবি করতে গেলে তোমার আমার মতন সুন্দর মুখের ছেলেমেয়েও যেমন দরকার, তেমনি দরকার ভাল লোকেশানের। স্টুডিয়োর অন্ধকার ঘরে নয়, আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ চাই ভাল ছবির জন্য। বাংলা ছবি মার খাচ্ছে শুধু সু-রুচির অভাবে। এক ঘেয়ে প্যানপ্যানানি গান, বম্বের অনুকরণে বোকা বোকা নাচ, অনভ্যস্ত হাতের ঢিসুম ঢিসুম, আর লোকেশান? দিঘা আর পুরী ছাড়া কোনও স্পটই খুঁজে পায় না ওরা। দু’-একজন অবশ্য ভুল করে দার্জিলিং-এ গিয়ে পড়ে।

সৌরভ বলল, তুমি তা হলে সিনেমা দেখ বুঝি খুব?

ইদানীং বাংলা ছবি বাদ দিয়ে সব ছবিই দেখি।

তোমার মতে শ্রেষ্ঠ ছবি কোনটি?

আমার মতের সঙ্গে কারওর মত মেলে না। আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলব এ পর্যন্ত ভারতীয় ভাষায় যত ছবি তৈরি হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছবি হচ্ছে তেলেগু ভাষার একটি ছবি।

সেই ছবির নামটা জানতে পারি কী।

শঙ্করভরণম্। পরে অবশ্য ওই ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে হিন্দিতে আর একটি ছবি হয়েছিল। তার নায়কের ভূমিকায় ছিলেন গিরিশ কারনাড। কিন্তু ছবি বিশ্বাসের কাবুলিওলার পর বলরাজ সাহানির কাবুলিওয়ালাকে যেমন মেনে নেওয়া যায়নি, এ-ও ঠিক তেমনি ব্যাপার হয়েছিল। ,

সৌরভ অবাক হয়ে বলল, তুমি তো অনেক খবরই রাখ দেখছি। এত খবর কিন্তু আমি রাখি না।

এমন সময় পেছনদিক থেকে কে যেন কাঁই কাঁই করে বলে উঠল, বাট মঝিরে ছিড়া হইছ কাহিকি? সাড়কু যাই কথা কহু না।

খেয়ালি বিরক্তির সুরে বলল, আ মর। মুখের ছিরি দেখ। জুতিয়ে মুখ ছিঁড়ে দেব এখুনি।

আর যায় কোথায়? উৎকলমণি তো রেগে লম্ফঝম্প শুরু করে দিল সেখানে, তু কিস কহুচু? তু মতে জুতা মারিবু? তোর এত্ত সাহসঅ? হউ মুভি ছাড়িবি নাই।

কী কেলেঙ্কারি। মারামারি লাগে বুঝি।

ততক্ষণে অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেছে সেখানে। সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল, কী ব্যাপার! ব্যাপারটা কী? কঁহনঅ হেলা?

সৌরভ ওদের অবস্থার কথাটা বুঝিয়ে বলে শান্ত করল সকলকে। তারপর লোকটির কাছে ক্ষমা চাইলে সেও সরে গেল।

সৌরভ বলল, আর একটু হলেই হয়েছিল আর কী।

তুমি আবার লোকটাকে অত তেলমাখানো কথা বলতে গেলে কেন?

বাঃ রে। ওদেরই দেশে এসে ওদেরকে এইভাবে জুতো মারব বলতে আছে? না বলবে না। ধরে গাঁট্টা মারলেও রাগ যায় না। বলেই বলল, যাই হোক গে, এবার একটু ফায়ার ব্রিগেডের দিকে যাবে কী? ফায়ার ব্রিগেড!

হ্যা। আমার পেটে আগুন লেগেছে। সেটাকে নেভাতে হবে। খিদেয় জ্বলে যাচ্ছে পেট। ওই সামনেই একটা খাবারের দোকান দেখছি, চলো গিয়ে ঢোকা থাক।

ওরা পায়ে পায়ে দোকানের দিকেই এগিয়ে চলল। সৌরভ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সকাল তখন সাতটা। সূর্যের সোনালি রোদ তখন সোনার মতো গলে গলে লুটিয়ে পড়েছে শহরময়।

খাবারের দোকানের যিনি মালিক তিনি বেশ সদাহাস্যময় লোক। ওরা যেতেই নিজে এগিয়ে এসে ভাল একটা চেয়ার-টেবিল দেখিয়ে বসালেন দু’জনকে। খেয়ালি দোকানের কলে চোখেমুখে জল দিয়ে এসে সৌরভের মুখোমুখি বসল। খেয়ালি বলল, তোমার টাকা আছে? না আমি বের করব? তোমার আছে?

উইদাউট মাল্লু খেয়ালি মুখার্জি রাস্তায় বের হয় না।