দু’তিন মাইল জুড়ে সারাদিন শুধু রোদ্দুরের
তাপ আর গাছপালা, ঘাসহীন ধু-ধু
জ্বালাময় হাহাকার। সেখানে ভুলেও
আসে না গায়ক পাখি কোনো, এমন কি
হাড়গিলা, শকুনও কখনো মাড়ায় না এই পথ। জ্যোৎস্নাময়
রাতে শুধু ভিন্ন শোভা সৃষ্টি হয় ধূসর প্রান্তরের।
প্রান্তরের হৃদয়ের কিছু অঃশ জুড়ে বাতাসের
আদরে সাতটি গাছ দোলে। গাছগুলো
সাতটি কবরে নুয়ে চুমো খায়, নিবেদন করে
শ্রদ্ধা প্রতি রাতে জ্যোৎস্না আর মৃদু বাতাসের সাথে।
কাদের কবর এই সাতটি গাছের নিচে? কেন
প্রকৃতির শ্রদ্ধা ঝরে এ রকম বিয়াবানে? কারা
এই নির্জনতা প্রিয় মানব সন্তান? কী এমন
অনন্য সাধক তারা, যার গুণ গাছপালা, হাওয়া,
জ্যোৎস্না জেনে গেছে? কোথায় নিবাস ছিলো
এই সাতজন মানুষের, কী নাম তাদের কে বলবে আজ?
যতই অজানা থাক সাতটি গাছের
নিচের মাটির কবরের বাসিন্দাদের নাম ধাম,
এই সত্য রোদ, জ্যোৎস্না আর মানবের
কীর্তির মতোই যাকে কখনো যাবে না মোছা, কেননা তারাও
মুক্তিযুদ্ধে শক্রকে তাড়িয়ে মাতৃভূমির কাঙ্ক্ষিত
স্বাধীনতা জ্বলজ্বলে রাখার জন্যেই দিয়েছে নিজ প্রাণ।
১-৯-২০০৩