সাইকেল ও সাঁতার
ওপাড়ার নটবর খুব নাকি গুণধর
সাইকেল চালিয়েই চলে গেল দেওঘর।
এপাড়ার সুবিনয় হাবাগোবা অতিশয়
সাইকেল দেখলেই, তার পেটে ব্যথা হয়!
নটবর থিয়েটারে রাম সাজতেও পারে
সুবিনয় চুপিচুপি আশেপাশে উঁকি মারে
একদিন দয়া করে তাকে ধরে আনা হল
এপাড়ায় কত ছেলে, সে-ই শুধু পার্ট পেল
চোখে মুখে রং মেখে হনুমান সাজল সে
রামরূপী নটবর ঘোরে ফেরে রাজবেশে
হনুমান ছোট পার্ট, তাতেই সে কুপোকাত
রামরূপী নটবর আগাগোড়া বাজিমাত
নটবর খালি-খালি পেল কত হাততালি
সুবিনয় ভুলোমন, পেল শুধু গালাগালি।
তবে খুব মজা হল এবারের বর্ষায়
মাঠঘাট ড়ুবে গেল যতদূর দেখা যায়
জল থইথই, আরও মেঘ গুড় গুড় করে
কন্যার জল বুঝি বাড়িতেও ঢুকে পড়ে।
কত লোক চলে এল রাস্তায় গাড়ি ফেলে
এ সময় নটবর ফিরছিল সাইকেলে
কী সাহস বলিহারি একা-একা দেয় পাড়ি
ঝুপ করে পড়ে গেল, পথ হয়ে গেছে খাঁড়ি
হায় হায় এ কী হল, নটবর যায় ভেসে
এত গুণধর তবু সাঁতারটা শেখেনি সে।
কলকল করে জল নটবর খাবি খায়
সাইকেল আগে গেল, সেও শেষে ড়ুবে যায়
আর ঠিক তক্ষুনি সুবিনয় সাঁতরিয়ে
চুল ভরা মাথা এক পেয়ে গেল হাতড়িয়ে!
ছাদে ছাদে কত লোক দেখল সে দৃশ্যটা
হাততালি শোনা গেল অন্তত পাঁচশোটা।
রাম ভয়ে নীল, তার বুক করে ধুকধুক
হনুমান লজ্জায় মুখ লাল টুকটুক!