সাঁকো

বাঁধতে পারিনি কোনো সাঁকো,
যখনি উদ্যমে থরোথরো আমি সাঁকো
বাঁধতে গিয়েছি ফাঁকা জায়গায় কখনো
সাজ-সরঞ্জামে টান প’ড়ে গেছে সকল সময়।
বানর অথবা কাঠবিড়ালির পাইনি মদদ
কোনোদিন। সাঁকো
নিপুণ বাঁধতে গিয়ে আমি শুধু ব্যর্থ হয়ে যাই,
বার বার ব্যর্থ হয়ে যাই।

বাঁধতে পারিনি কোনো সাঁকো
অথচ আমার আশেপাশে
সাঁকো নেই বলে আমি মূক হয়ে থাকি,
নিজেকেই প্রিয়-সম্ভাষণে করি প্রীত, নিজের হাতেই
হাত রাখি। কিন্তু শুধু অয়নায় নিজের মুখ দেখে,
নিজের সঙ্গেই মেতে কথোপকথনে
নিজেকে আদর করে চাদরে সর্বাঙ্গ ঢেকে সকল সময়
থাকা দায়। অন্য কারো হাত
ছোঁয়া চাই, শোনা চাই অন্য কারো স্বর-
মানে সাঁকো থাকা চাই।

অথচ বাঁধতে গিয়ে সাঁকো
আমি শুধু ব্যর্থ হয়ে যাই,
বার বার ব্যর্থ হয়ে যাই।
উদাস ডাকছি আমি বিপন্ন গলায় বারবার,
যদি কেউ ছুটে আসে, কথা বলে অন্তরঙ্গতার
প্রশস্ত সুচারু রোদে চেয়ারের মসৃণ হাতলে হাত রেখে
অথবা পা নেড়ে মৃদু হেসে।
বুঝব কি তার ভাষা?
সে আমার কথার গলির
পাবে কি হদিশ কোনো? দ্রুত খুলে যাবে কি জানালা সবদিকে?

কী করে বানাব সাঁকো শূন্যে
এক লহমায়?
আমি তো ম্যাজিকঅলা নই।
বর্ণমালা শব্দাবলি দিয়ে চমৎকার স্বপ্নময়তায় সাঁকো
বাঁধা যায় হাসতে হাসতে,
কুলকুচো করতে করতে।

নিপুণ বাঁধতে গিয়ে সাঁকো তবু আমি
ব্যর্থ হয়ে যাই,
বার বার ব্যর্থ হয়ে যাই…