সময়
বিষণ্ণ সন্ধ্যার জাল তোলে এক নীরব শিকারী
চেয়ে দেখে সব পাখি হয়েছে উধাও
দু একটি বৃন্তকরা আলোর পালক থাকে, তাও
হাত পেতে চেয়ে নেয় রাত্রির ভিখারী ।
শূন্য মনে ফিরে যায়। ব্যর্থতার, দু’ চোখের কালো
বন্যার শব্দের মতো দিগন্তে ছড়ায়
নিঃসঙ্গ অরণ্য থাকে যন্ত্রণায় স্তব্ধ প্রতীক্ষায়
কখন হৃদয়ে বেঁধে বর্ণচোরা আলো ।
শুকনো পাতায় ভাঙে ঘুমহীন পাণ্ডু নীরবতা
জোনাকিরা মগ্ন হতে চায় ভিজে ঘাসে
মৃগ শিশু বুকে নিয়ে জেগে থাকে রাত্রির দেবতা
ধূসর রুগ্ণ জ্যোৎস্না মেলায় আকাশে ।
নিশ্চিত ভোরের সূর্য অকরুণ, ক্লান্তিহীন মুখে
ছড়ায় জটিল জাল জীবনের মতো
অনেক বাতাস কাঁপে ঘুমভাঙা শুন্যতার বুকে
আবার সকাল, দিন, সব ক্ৰমাগত ।
আবার সন্ধ্যার জাল তোলে এক নীরব শিকারী
জানা আছে সব পাখি হবেই উধাও ।
যা কিছু আলোক থাকে ক্লান্তি দিয়ে তাও
হারায়, জানে না ক্রমে নিজেও সে হয়েছে। ভিখারী ।