সত্যি কি রবি ঘোষ আকাশটা চেটেছে?
সীতানাথ বন্দ্যো’র এক মাসতুতো ভাই
মনে ভাবে আকাশটা চেটে দেখা চাই
বলে গেছে সীতানাথ, হলে পরে বৃষ্টি
টকটক থাকে নাকো, আকাশটা মিষ্টি
কাল রাত ভরে এত বৃষ্টির ঝমঝম
আজ তবে দেখা যাক স্বাদখানা কী রকম
ফটফটে নীল রং কিছু ঢাকা কুয়াশায়
যে ছেলেটা চেয়ে থাকে বুক ভরা দুরাশায়।
তার নাম রবি ঘোষ, নাম শুনে চেনা যায়?
তখনো সে বেশ ছোট, নামেনি তো সিনেমায়।
মোটে বারো, ছোটখাটো, ইশকুলে ফাঁকিবাজ
লেখাপড়া ছাড়া তার আছে আরও কত কাজ
এক পরি তার চেনা, ভূত টুত মানে না
পরি কত কথা বলে, অনেকেই জানে না
সেই পরিটির নাম মিনিমিশু মানতা
এরকম নাম কেন পরিরাই জানে তা!
রবি বলে, মিনিমিশু আজ তুমি একবার
মেঘ আর নীল রং যেখানেতে একাকার
সেইখানে নিয়ে চলো, লক্ষ্মীটি, সোনামন
মিনিমিশু বলে, আহু, সিটিকোনা সাটুবোন!
এরকমই ওর ভাষা, আরও সব পরিহুরি
বাংলা পড়ে না, বলে ইংলিশ তবু পড়ি!
যাইহোক, শেষমেশ মিনিমিশু রবিকে
বাতাসের সাথে ওড়া মন্ত্রটা দিল লিখে
টুবি আর নট টুবি টুং টাং কিংকিনা
এটুকুই জানি শুধু, জানি না তা ঠিক কিনা।
অতি ভোরবেলা রবি উড়ে গেল আকাশে
আর কেউ দেখল না, কেননা যে একা সে।
সত্যি কি রবি ঘোষ আকাশটা চেটেছে
মেঘ আর নীল রং ঠোঁটে জিভে মেখেছে?
আমরা সবাই জানি, আকাশটা কিছু না
শুধু চোখে ধাঁধা লাগে, শূন্যের বিছানা
কিছু নেই তাই নীল, এটাই তো বিজ্ঞান
রবি কি জানে না তাও, এতই সে অজ্ঞান?
পরি টরি সব ভালো আরও কম বয়েসে
বয়েস দ্বাদশ হলে রূপকথা হয় সে!
এরপর দুটি মাস রবি হয়ে গেল হাওয়া
ইশকুলে দেখা নেই, পথে নেই আসা-যাওয়া
বাড়িতেও খোঁজ নেই, নেই কোনো শব্দ
রবি বুঝি সবাইকে করে গেল জব্দ!