শূন্য ট্রেন
ট্রেনের জানলায় মুখ, ঐ মুখ হলুদ আলোর মতো ফিরে আসে
মধ্যরাতে একা
এখন সন্ধ্যার রোদ ফসলের ক্ষেতের ওপাশে
বিষয় বাদামী :
প্রান্তর ফুরিয়ে গেলে ট্রেন থামে, তবু আরও আছে
মহাশূন্যে সদ্যালব্ধ বিষম এলাকা। –
ধানের বুকের কাঁচা দুধ দেখে প্রীত মনে আমি
ধরিত্রীকে সুস্থ জেনে চলে যাব প্রাণহািন্ত্রী নীলিমার কাছে,
প্রচণ্ড হুইস্ল্ শুনি বারবার মধ্যরাতে একা।
বাগানের ফলুগুলি ঝরে যায় বিনম্র জ্যোৎস্নায় শোকহীন
প্রতিদিন সন্ধ্যার বাগানে,
তবুও আমায় কেন চোর বলে প্রত্যেক শরিক!
এ পৃথিবী ভরে গেছে ক্লান্তিকর মনীষায়, সাফল্যের গানে
বিশাল গর্জনে ভেঙে জানলার শিক
সভ্যতার জয়ধ্বনি কৰ্ণে পাশে, কে হে তোমরা ধৃষ্ট চোখে
দেখাও তর্জনী
প্রত্যহ সঙ্গম বিনা ঘুম আসে না, শোনো সু-শরীর, পীনস্তনী
রমণী দুর্লভ বড়, শিয়রের অন্ধকারে কয়েকটি রঙিন
ফুল রেখে দিতে চাই, সামান্য শৌখিন, ওরা মুছে নিতে জানে
শরীরের দুৰ্গন্ধ, কুরূপ, ওরা ঝরে থাকে সন্ধ্যার বাগানে
বিনম্র জ্যোৎস্নায় শোকহীন।
বুকের ভিতরে শুয়ে বুক দেখি না, এত আলো, চোখ ভেসে যায়
চক্ষু অন্ধ করে দিলে ধন্য হয়। অন্ধকার দেখা
নগরীর সব লোক ছুটেছে অগণ্য শোকসভায়;
শুধু আমি ফুলচোর-নীলিমায় কৌমাৰ্য হরণ রক্ত মেখে শুয়ে আছি
শীতের অত্যন্ত কাছাকাছি—
শূন্য, ভয়ংকর ট্রেন ফিরে আসে মধ্যরাতে একা।