শুয়ে আছি
যেন অতিকায় এক সিংহের মতন রূপ,
তার পদতলে
কতদিন কতকাল আমি শুয়ে আছি
জ্বলে চোখ, জ্বলে স্নায়ু, ছেড়ে মাংস, পাশে এক নদী
তার জল ছলচ্ছলে
শোনা যায় নীল গান, কপিশ রঙের স্মৃতি–
এই ভাবে যতকাল বাঁচি ।
কিংবা যেন নারী, তার বিপুল শ্রেণীর ভার, স্তনের উদ্যত গর্ব।
মুক্ত মেখলায়
হঠাৎ সম্মুখে ঝুঁকে স্থিরচিত্র,
এই মূর্তিখানি বহুকাল
আমাকে পায়ের নিচে রেখে হাসে, দিগন্ত দোলায়
খড়্গের মতন ঊরু, নাকি মাটি? শুধুই মাটির ছাঁচ।
পলকে বিভ্রম হয়, চাঁদ কিংবা নাভি
ওপরে তাকাই, কোনো বাণী নেই, আকাশের শান্ত সাদা দাবি।
সব গ্রন্থ শেষ হলে, পুরোনো গ্রন্থের মতো নিসর্গের স্বাদ
জিভ দিয়ে ছোঁয়া যায়, স্পর্শ করে বোঝা যায় এমন বাতাস
মানুষের দিকে ফিরলে চোখে পড়ে মানুষেরই
ধ্ৰুব পরমাদ
আমিও মানুষ নয়? আয়নার ওপরে আছে আমার নিশ্বাস
আমিও জলের পাশে সিংহ কিংবা রমণীর
পায়ের তলায় শুয়ে আছি
শোনা যায় নীল গান, কপিশ রঙের স্মৃতি এই নিয়ে
যতকাল বাঁচি।