শুরু

জানালার বাইরে দৃষ্টি চালান করে
সে ভাবলো, একী কাণ্ড, বেলা তো কম হলো না,
এখনো তার শুরু করাই হয় নি
মাথায় জোর তুষার ঝড়, দাঁতে ক্ষয়,
হাতের শিরাগুলো মুখ ভ্যাংচায় লাগাতার,
অথচ সে আজো শুরুই করতে পারে নি।
হতাশা বাদুড় হয়ে ঝুলতে থাকে, খুঁজে নেয়
অন্ধকার; চুল ছিঁড়ে, হাত কামড়ে
কোনো সমস্যারই কূলকিনারা করতে না পেরে
সে ভীষণ একলা। ফলাফলের কোঠায়
শূন্য তাকিয়ে আছে
নিঝুম উদাসীনতায়। এবার কী করে
ঠিকঠাক শুরু করা যায়, এই ভাবনা
তাকে বসিয়ে রাখে
অনেকক্ষণ। কোত্থেকে কালবোশেখির
ঝড় হঠাৎ সব কিছু
ওলট পালট করে ফেলে, তরী তীরে এসে
পৌছুনোর আগেই হলো ভরাডুবি।

কোথাকার এক পাখি ঘরের কোণেই ছড়ায়
স্বর্গীয় সুর, অনেকদিন
অপেক্ষা করা হলো। কপাল ঠুকে শেষবারের মতো
চেষ্টা করা যাক, হয়তো পাখির গান শুনে
অথবা খাটে লুটিয়ে-পড়া
জ্যোৎস্নালতা দেখে সে এতদিনে পারবে
শুরু করতে। এখন তার স্বপ্ন আর বাস্তবের
টুকরো টাকরা সম্বল করে শুদ্ধতা-মোড়া
পাখি ওড়ানো; আজ গেল, কালও গেল,
কিন্তু শুরু করাটাই এখন বাকি।