শিল্প প্রদর্শনীতে
একটি বিমূর্ত মূর্তি, পাথরের, সুবৃহৎ চৌকো চোখ
গালে যেন পচা মাংস, অদ্ভুত বীভৎস ওষ্ঠাধর
শিল্পী এরকম গড়েছেন
আর ঠিক তারর সামনে শাড়ী-মোড়া জীবন্ত সুন্দর।
টেবিলের পাশ থেকে শিল্পীটি এগিয়ে এসে
স্মিত হাসলেন
তৃতীয় ব্যক্তির দৌত্যে পরিচয় সাঙ্গ হলো চোখে চোখ রেখে
রমণীর বাঁ স্তনের ওপরে ব্যাগের স্ট্র্যাপ,
কটিতটে নদীর জোয়ার
আঁচলে সুগন্ধ, চিবুকের মসৃণতা রেশমের ঈর্ষা আনে
এইসব নারীদের অপর পুরুষে নিয়ে যায়।
দু’একটি কথার পর পুনরায় দ্রষ্টব্যের দিকে মনোযোগ।
‘দারুণ’ এ হেন শব্দে প্রশংসা ছটফট করে
‘সভ্যতার খাঁটি রূপ শিল্পীর বলিষ্ঠ হাতে
যেরকম জীবন্ত হয়েছে…’
‘বিশেষত চোখে ঐ যে অসহায় আর্তনাদ’
বিনয়ে শিল্পীর ঘাড় নিচু, মুখখানি দুঃখী দুঃখী
কেন দীর্ঘশ্বাস পড়ে এ সময়?
নারীর ভুরুতে দুটি মুক্তবিন্দুসম ঘাম
এইমাত্র মুছেছে রুমাল
যেন দেবদূতী তার বিস্ময়ের উপহার দিয়েছে দ্রষ্টাকে
‘চলুন চা খাওয়া যাক’, এই বলে এর পরে
সকলেই টিনের দিকে…