শিল্পের বন্দিনী
সেই দিনটিতে ছিল বর্ষার ঘোর
সব রাস্তাই ঠনঠনে ঊরু-ডোবা
তিনটি শরীর, উনিশ কিংবা কুড়ি
পেঁজা শার্ট আর চিরুনি-না-ছোঁয়া চুল।
বাড়ি ঘর সব চকখড়ি টানা রেখা
পাখির তীক্ষ্ণ চোখের মতন মা
কলেজ পালানো দুপুরে নদীর ধার
সন্ধে গড়িয়ে শরীরে অন্ধকার।
ঝড়ে উত্তাল নদীর ঝাপসা ঢেউ
বিদেশি জাহাজ হেলে আছে আধখানা
কেউ স্নানে নেমে সমুদ্রে পাড়ি দিল
বজ্র হানায় মন্দির চৌচির।
তিনটি বক্ষে একই মানবীর ছবি
জল রং, তেল এবং অ্যাক্রিলিক
সময় ছুটছে তুচ্ছ কথার ছলে
হাসির হররা আসলে গোপন খেলা।
বন্ধুরা আজ কোথায় নিরুদ্দেশ
সেই মানবীটি তিনটি হৃদয় ছিঁড়ে
পরবাসে গিয়ে সাজিয়েছে ফুলদানি
তার ছবিখানি শিল্পের বন্দিনী!