শিল্পীর আত্মহত্যা

শিল্পীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বিমলকুমার মুখোপাধ্যায়কে গতরাত্রে তার স্টুডিওতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশের মতে, বিমলকুমার আত্মহত্যা করেছেন। একটা চিরকুটে তিনি লিখে গেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। একটি, ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার পাওয়া গেছে। কয়টি কার্তুজের একটি ফায়ার করা, বাকিগুলি আস্ত আছে। মুখের ভেতর নল পুরে ট্রিগার টেনেছেন বলে পুলিশের ধারণা। রিভলবারটির নল মুখের ভিতর আটকে ছিল এবং ট্রিগারে আঙুল ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী এপ্রিল মাসে প্যারিসে তার ছবির প্রদর্শনী হওয়ার কথা।…

এরপর বিমলকুমারের জীবনী সংযোজিত হয়েছে। কর্নেল দীর্ঘ দুমিনিট চুপচাপ বসে রইলেন। একটা ছবি হারিয়ে তাহলে চিত্রকর শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করে বসলেন!

হাত বাড়িয়ে ফোন তুলে ডায়াল করলেন। সাড়া পেয়ে বললেন, অরিজিৎ, ঘুম ভাঙানোর জন্য দুঃখিত।

দুঃখিত হওয়ার কারণ নেই। আমি উত্থিত। 

কিছু খবর পেয়েছ কি?

কিসের? আপনার তপেশ বসাকের কোনো নতুন খবর হয়নি। আপনি এবার দেখছি সত্যিই না–

অরিজিৎ! এইমাত্র কাগজে চিত্রশিল্পী বিমলকুমারের আত্মহত্যার খবর পড়ে– তোমাকে রিং করছি।

কী অবাক!

সত্যিই অবাক হবার কেস। তুমি কি দফতরের সূত্রে রাত্রে এ সম্পর্কে কোনো খবর পাওনি?

পেয়েছিলুম। হি ইজ দা ফেমাস পেইন্টার। কিন্তু এ নিয়ে আপনার উত্তেজনার কারণ কী?

প্লিজ, চলে এস। এক মিনিট! একটা কথা।

বলুন!

সঙ্গে এই সুইসাইড কেসের তথ্য যতটা পারো, নিয়ে এস!

 টালিগঞ্জ থানা হয়ে আসছি। অপেক্ষা করুন। কেসটা ওরা ডিল করছে।

 কর্নেল ফোন রেখে উঠে দাঁড়ালেন। গার্ডেনিং জোব্বা এবং দস্তানা খুলতে গেলেন। আবার মনে হলো, একটা ছবি হারিয়ে মাথার ঠিক রাখলেন না বিমলকুমার?

কিন্তু

একটু চমকে উঠলেন। ঠিক একইভাবে তপেশ বসাক’ নামধারী বাসুদেব রায় আত্মহত্যা করেছে! মুখের ভেতর আগ্নেয়াস্ত্রের নল ঢুকিয়ে ট্রিগারে চাপ। চাপা শব্দ। তবে বাসুদেব কষ্ট পেয়েছিল। পিস্তলের গুলি মগজ ভেদ করে গিয়েছিল। সোজা তা গতি। রিভলবারের গুলি ক্রুর মতো পেঁচিয়ে মগজটাকে ছিন্নভিন্ন করেছে। মৃত্যুযন্ত্রণা হয়তো টেরই পাননি বিমলকুমার।..