শব্দকে তার বাগানটি দাও, শব্দ একলা বন্দী ঘরে
যেমন ছিল বাগান সেই নদীর ধারে পোড়ো বাড়ির
যেমন ছিল পায়ের তলায় সর্ষে, শিশুর খেলনা গাড়ি!
এই বিকেলের সিংহ-মার্কা খাঁটি আলোয় ইচ্ছা করে
ভালোবাসার গায়ে লাগুক খ্যাপার মতন ঝোড়ো বাতাস-
টুকরো-টাক্রা কগজপত্র, মলিন ঘর, ছেঁড়া আঁধার
অনিশ্চিত চিঠির বাক্সে সাত মাইলের গন্ডি বাঁধা
এসব থেকে বেরিয়ে আসুক একটা হল্কা। সারা আকাশ
দু‘ভাগে চিরে একটি অংশ চোরাবাজোরে যে-খুশি-নিক-
আরেক দিকে বাগান, সব ছেলেবেলার স্বপ্নে ফেরা
শিমূল তুলোর ওড়াওড়ি, দিক-ভোলানো দিঙনাগেরা
শব্দ আমার জীবন, আমার এক জীবনের পরম ক্ষণিক!