বিশ্বজোড়া অন্ধকারে ধুঁকছে কারা?
কান পাতিনা খবরে।
আলো ছাড়াই দিব্যি জানি দিন চলে যায়,
আমরা থাকি কবরে।
এই যে এখন আমরা যাকে খাচ্ছি কুরে
ছিলেন তিনি সুন্দরী।
মজ্জা মেদের স্বাদের ঘোরে কবর তলায়
অলীক গানের সুর ধরি।
তারই নামে ঊর্ধ্বশ্বাসে লিখেছে কেউ
আধুনিক গীত-গোবিন্দ।
নানা ঢঙের সুবেশ যুবার গুঞ্জরণে
ভরতো মনের অলিন্দ।
বাইরে বটে ঝল্সে ওঠে রোদের জরি,
পাখির গানে গাছ মাতাল।
জীবিতদের বাঁচার ছটায় পাচ্ছে মানে
সপ্ত স্বর্গ, পাঁচ পাতাল।
রোদের জরির ধার ধারি না, পক্ষীকুলের
সুমিষ্ট সুর যাক চুলোয়।
যে রূপসী রোদ পোহাতো, শুনতো যে গান,
এখন সেতো চুপ ধুলোয়।
ভালো তাকে বাসতো যারা, জুটতো যারা
তারই রূপের উৎসবে,
প্রশংসাতেই অষ্টপ্রহর মুখর হতো,
ধরতো তারা খুঁত কবে?
কেউবা তাদের জুয়োয় মাতে, কেউবা এখন
অন্য নারীর শয্যায়।
আশা শুধু তৃপ্তি ভরে মুখ রাখি আজ
এই রূপসীর মজ্জায়।
কবরে তার কেউ নীরবে ফুল রেখে যায়,
মাটি মাতে সৌরভে।
আমরা শুধু বেড়াই নেচে কবর তলায়
শবাহারের গৌরবে।