লেখা শেষ হয়নি, লেখা হবে
আমিও লিখেছি তার একইসঙ্গে পবিত্র ও লোভনীয় ওই—
দুই শুভ্র স্তনের মাধুরী নিয়ে,
তবু লেখা শেষ হয়নি, আরো অনেকেই লিখে যাবে,
‘ফেরা’ এই শব্দটিকে
ঘুরে ফিরে আর কেউ কেউ দেবে
নতুন ঝঙ্কার,
এখনো জন্মায়নি, সেই নতুন কবিতা তার
কোমরের বাঁক দেখে
পেয়ে যাবে নদীর উপমা,
অসম্ভব শব্দটিকে, নেপোলিয়ানের মতো
অনেকেই
বারবার কেটে কুটে
তিনমাত্রা করে নেবে শেষে,
নিভৃত গোলাপ তার পাপড়ি মেলে দাবি করবে
আর একটি কবির,
উঁচু নিচু মানুষেরা সাম্য পাবে গদ্য কবিতায়,
কবরখানার ফুল-চোর অকস্মাৎ দেখতে পাবে
সেও বন্দী
ছন্দ মিলে কঠিন বন্ধনে।
ভালোবাসা আর ঈর্ষা একই মন্দিরের মধ্যে
ঘেঁষাঘেঁষি করে
থেকে যাবে,
বুদ্ধ পূর্ণিমার রাত্রে
নাস্তিকেরা বসে থাকবে
আকাশ ভাসানো ঠাণ্ডা নরম আলোয় মাথা পেতে,
উল্লাস শব্দটি বড় নীল
ও কি ভ্রমে কোনোদিন হয়েছে ধূসর?
এমনকি অন্ধকারে বাদামী মেঘেরা জানে
উল্লসিত হৃদয় বদলাতে
এরই মধ্যে হাহাকার বাতাসকে করে দেয় কালো।
সে কথাও লেখা হবে, কেউ লিখে যাবে,
মানুষের দুঃখ দূর হতে হতে
ততদিনে, আশা করা যাক
হারাবে না সমস্ত সুন্দর।