ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

রোমীয় ১৪

১ বিশ্বাসে য়ে দুর্বল, এমন কোন ভাইকে তোমাদের মধ্যে গ্রহণ করতে অস্বীকার করো না। তার ভিন্ন ধারণা নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক করো না।
২ এক এক জন বিশ্বাস করে য়ে তার যা ইচ্ছা হয় এমন সব কিছুই সে খেতে পারে; কিন্তু য়ে বিশ্বাসে দুর্বল সে মনে করে য়ে সে কেবল শাকসব্জী খেতে পারে।
৩ য়ে ব্যক্তি সব খাবারই খায় সে য়েন য়ে কেবল সব্জীই খায়, তাকে হেয় জ্ঞান না করে। আর য়ে মানুষ কেবল সব্জী খায়, তারও উচিত সব খাবার খায় এমন লোককে ঘৃণা না করা, কারণ ঈশ্বর তাকেও গ্রহণ করেছেন।
৪ তুমি অন্য়ের ভৃত্যের দোষ ধরবে না। সে ঠিক করছে না ভুল করছে তা তার মনিবই ঠিক করবেন; বরং প্রভুর দাস নির্দোষই হবে কারণ প্রভু তাকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করতে পারেন।
৫ কেউ হয়তো মনে করে এই দিনটি ঐ দিনটির থেকে ভাল, আবার কেউ মনে করে সব দিনই সমান ভাল। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ মনে তার বিশ্বাস সম্বন্ধে স্থির নিশ্চয় হোক্।
৬ য়ে কোন দিনকে বিশেষ মর্য়াদা দিয়ে থাকে সে প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে। তেমনি য়ে মানুষ সবরকম খাবারই খায়, সেও প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে কারণ সে ওই খাবারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। এদিকে য়ে ব্যক্তি কিছু খাদ্য় গ্রহণে বিরত থাকে সেও তো প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে।
৭ হ্যাঁ, আমরা সকলেই প্রভুর জন্য বেঁচে থাকি। আমরা কেউ নিজের জন্য বেঁচে থাকি না, কেউ নিজের জন্য মরেও যাই না।
৮ আমাদের বেঁচে থাকা তো প্রভুরই উদ্দেশ্যে বেঁচে থাকা, আমরা যদি মরি তবে তো প্রভুর জন্যই মরি। তাই আমরা বাঁচি বা মরি, য়ে ভাবেই থাকি না কেন, আমরা প্রভুরই।
৯ এইজন্যই খ্রীষ্ট মৃত্যু বরণ করলেন ও পুনরায় বেঁচে উঠলেন, যাতে তিনি মৃত ও জীবিত সকলেরই প্রভু হতে পারেন।
১০ তাহলে তোমরা কেন খ্রীষ্টেতে তোমার এক ভাইয়ের দোষ ধর? তোমার ভাইয়ের থেকে তুমি ভাল, এমন কথাই বা ভাব কি করে? আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে। আর ঈশ্বর আমাদের বিচার করবেন।
১১ হ্যাঁ, শাস্ত্রে লেখা আছে:‘প্রত্যেক ব্যক্তি আমার সাক্ষাতে নতজানু হবে। প্রত্যেক ওষ্ঠাধর স্বীকার করবে য়ে আমি ঈশ্বর, প্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য, এসব হবেই।’যিশাইয় ৪৫:২৩
১২ আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের কাছে আমাদের জীবনের হিসাব দিতে হবে।
১৩ তাই এস, আমরা অন্য়ের বিচার করা থেকে বিরত হই, বরং আমরা সিদ্ধান্ত নেব য়ে আমরা এমন কিছু করব না যাতে আমাদের কোন ভাই বা বোন হোঁচট খায় ও প্রলোভনে পড়ে পাপ করে।
১৪ আমি প্রভু যীশুতে নিশ্চিতভাবে বুঝেছি য়ে কোন খাবার আসলে অশুচি নয়, তা খাওয়া অন্যায় নয়। তবে কেউ যদি সেই খাবার অশুচি ভাবে, তাহলে তার কাছে তা অশুচি।
১৫ তোমার খাদ্য়ে যদি তোমার ভাই আত্মিকভাবে আহত হয় তাহলে বুঝতে হবে য়ে তুমি আর ভালোবাসার পথে চলছ না। তুমি এমন কিছু খেও না যা অন্য়ের কাছে গ্রহণয়োগ্য নয়। এতে তার বিশ্বাস আঘাত পেতে পারে, কারণ খ্রীষ্ট সেই ব্যক্তির জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।
১৬ তাহলে তোমার কাছে যা ভাল, তা য়েন অপরের কাছে নিন্দিত না হয়।
১৭ ঈশ্বরের রাজ্য খাদ্য পানীয় নয়, কিন্তু তা ধার্মিকতা, শান্তি ও পবিত্র আত্মাতে আনন্দ।
১৮ য়ে এ বিষয়ে খ্রীষ্টের দাসত্ব করে, সে ঈশ্বরের প্রীতিপাত্র এবং মানুষের কাছেও পরীক্ষাসিদ্ধ।
১৯ তাই সেই সব কাজ যা শান্তির পথ প্রশস্ত করে এবং পরস্পরকে শক্তিশালী করে, এস, আমরা তাই করি।
২০ নিছক খাদ্য়বস্তু নিয়ে ঈশ্বরের কাজ পণ্ড করো না, কারণ সব খাদ্য়ই শুচি ও খাওয়া যায়, কিন্তু কারো কিছু খাওয়া নিয়ে যদি অন্য়ের পতন ঘটে তাহলে তেমন কিছু খাওয়া অবশ্যই অন্যায়।
২১ তোমার ভাই যদি হোঁচট খায় ও পাপে পতিত হয়, তাহলে মাংস আহার বা দ্রাক্ষারস পান না করাই শ্রেয়। তেমন কোন কাজও না করা ভাল যার ফলে তোমার কোন ভাই বা বোনের পতন ঘটতে পারে ও সে পাপ করে।
২২ তোমরা যা ভাল বলে বিশ্বাস কর তা তুমি ও তোমার ঈশ্বরের মধ্যেই রাখ; কারণ কেউ যখন ভাল মনে করে কোন কাজ করে এবং সে যা করছে সেই ব্যাপারে যদি তার বিবেক তাকে দোষী না করে, তবে সেই ব্যক্তি ধন্য।
২৩ কিন্তু কোন কিছু খাবার ব্যাপারে যার অন্তরে দ্বিধা থাকে সে যদি তবুও তা খায় তাহলে সে অবশ্যই দোষী, কারণ সে তো নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করল। কেউ যদি বিশ্বাস করতে না পারে য়ে এটা ঠিক তবে সেই কাজ করা পাপ।