১ প্রত্যেক মানুষের উচিত দেশের শাসকদের অনুগত থাকা, কারণ দেশ শাসনের জন্য ঈশ্বরই তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন। যাঁরা এমন শাসন কার্য় নিযুক্ত, ঈশ্বরই তাদের সেই কাজের ক্ষমতা দিয়েছেন।
২ তাই তো কর্ত্তৃপক্ষের বিরোধিতা য়ে করে, সে ঈশ্বর যা স্থির করেছেন তারই বিরোধিতা করে। তেমন বিরোধিতা যাঁরা করে তারা নিজেরাই নিজেদের শাস্তি ডেকে আনবে।
৩ তোমরা ভাল কাজ করো, শাসকবৃন্দ তোমাদের প্রশংসা করবে। ভয় পাবার কারণ থাকে তাদেরই যাঁরা মন্দ কাজ করে; যদি তোমরা কর্ত্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভয় পেতে না চাও, তবে যা ভাল তাই কর।
৪ শাসনকর্তারা আসলে তোমাদের ভালোর জন্য ঈশ্বর নিযোজিত দাস; কিন্তু তোমরা যদি অন্যায় কর তাহলে ভীত হবার কারণ নিশ্চয় থাকে। শাস্তি দেবার মতো ক্ষমতা শাসকের ওপর ন্যস্ত আছে, তিনি তো ঈশ্বরের দাস; তাই যাঁরা অন্যায় করে, তাদের তিনি ঈশ্বরের হয়ে শাস্তি দেন।
৫ তাই তোমরা শাসনকর্তাদের অনুগত থেকো। ঈশ্বরের ক্রোধের ভয়েই য়ে কেবল তাদের অধীনতা স্বীকার করবে তা নয়; কিন্তু তোমাদের বিবেক পরিষ্কার রাখার জন্যও করবে।
৬ এই জন্য পরস্পরকে তোমরা প্রাপ্য় কর দাও, কারণ শাসনকার্য় পরিচালনা করার জন্যই তারা ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত আছেন; আর সেই কার্য়্য়ে তাঁরা ব্যস্তভাবে সময় ব্যয় করেন।
৭ তোমাদের কাছে যার যা প্রাপ্য় তাকে তা দিয়ে দাও। য়ে কর আদায় করে তাকে কর দাও; যাদের শ্রদ্ধা করা উচিত তাদের শ্রদ্ধা কর; যাদের সম্মান পাওয়া উচিত তাদের সম্মান কর।
৮ শুধু পরস্পরের প্রতি ভালবাসার ঋণ ছাড়া কারো কাছে ঋণী থেকো না, কারণ যাঁরা প্রতিবেশীকে ভালবাসে, তারাই ঠিকভাবে বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলছে।
৯ আমি একথা বলছি কারণ ঈশ্বরের এই আজ্ঞাগুলি অর্থাত্, ‘ব্যভিচার করবে না, নরহত্যা করবে না, চুরি করবে না, অপরের জিনিস আত্মসাত্ করবে না।’আর অন্য যা কিছু আদেশ তিনি দিয়েছেন সে সবগুলি সংক্ষেপে এই একটি আদেশের মধ্যেই চলে আসে, ‘নিজের মতো তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো।’
১০ ভালবাসা কখনও কারোর ক্ষতি করে না, তাই দেখা যাচ্ছে ভালবাসাতেই বিধি-ব্যবস্থা পালন করা হয়।
১১ এখন কোন্ সময় তা তো তোমাদের জানাই আছে। হ্যাঁ, এখন তো ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময়, কারণ যখন আমরা খ্রীষ্টে প্রথম বিশ্বাস করেছিলাম তখন অপেক্ষা এখন পরিত্রাণ আমাদের আরো সন্নিকট।
১২ ‘দিন’ শুরু হতে আর দেরী নেই। ‘রাত’ প্রায় শেষ হল তাই জীবন থেকে অন্ধকারের ক্রিয়াসকল পরিত্যাগ করে এস এখন পরিধান করি আলোকের রণসজ্জা।
১৩ লোকরা দিনের আলোয় য়েমন চলে আসে আমরাও তাদের মত সত্ পথে চলি। আমরা য়েন হৈ-হল্লা পূর্ণ ভোজে য়োগ না দিই, মাতলামি না করি, য়ৌন দুরাচার উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে দূরে থাকি; বিবাদ, ঈর্ষা ও তর্কের মধ্যে না যাই।
১৪ কিন্তু য়েন নব বেশে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান করি ও দৈহিক কামনা বাসনা চরিতার্থ করার চিন্তায় আর মন না দিই।