ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

রোমীয় ১২

১ ভাই ও বোনেরা আমার মিনতি এই, ঈশ্বর আমাদের প্রতি দয়া করেছেন বলে তোমাদের জীবন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত বলিরূপে উত্‌সর্গ কর, তা তাঁর কাছে পবিত্র প্রীতিজনক হোক। ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তোমাদের কাছে এ এক আত্মিক উপায়।
২ এই জগতের লোকদের মতো নিজেদের চলতে দিও না, বরং নতুন চিন্তাধারায় নিজেদের পরিবর্তন কর; য়েন বুঝতে পার ঈশ্বর কি চান, কোনটা ভাল,কোনটা তাঁকে খুশী করে ও কোনটা সিদ্ধ।
৩ ঈশ্বর আমাকে একটি বিশেষ বর দান করেছেন, তাই তোমাদের মধ্যে প্রত্যেককে আমার কিছু বলার আছে। নিজের সম্বন্ধে য়েমন ধারণা থাকা উচিত তার থেকে উঁচু ধারণা পোষণ কোরো না; কিন্তু ঈশ্বর যাকে য়ে পরিমাণ বিশ্বাস দিয়েছেন তোমরা সেইমতো নিজেদের সম্বন্ধে ধারণা পোষণ কর।
৪ আমাদের সকলের দেহ আছে আর সেই দেহে অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে, এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি একই কাজ করে না।
৫ ঠিক তেমনই আমরা অনেকে মিলে খ্রীষ্টেতে দেহ গঠন করি। আমরা সেই দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।
৬ আর ঈশ্বরের অনুগ্রহ অনুসারেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন বরদান পেয়েছি। কেউ যদি ভাববাণী বলার বরদান পেয়ে থাকে তবে সে তার বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলুক।
৭ যার সেবা করবার বরদান আছে সে তা সেবা কর্মেই প্রযোগ করুক। য়ে শিক্ষক, সে শিক্ষার দ্বারা লোকদের উত্‌সাহ দিক।
৮ য়ে উপদেষ্টা, সে উপদেশ দানের কাজ করুক। যার অপরকে সাহায্যদানের ক্ষমতা আছে, সে উদারভাবেই সাহায্য করুক। কর্ত্তৃত্ব যার হাতে সে সযত্নেই কর্ত্তৃত্ব করুক। য়ে দযা করে, সে আনন্দের সঙ্গেই তা করুক।
৯ তোমার ভালবাসা অকৃত্রিম হোক্। যা মন্দ তা ঘৃণা কর আর যা ভাল তাতে আসক্ত থাক।
১০ ভাই বোনের মধ্যে য়ে পবিত্র ভালোবাসা থাকে সেই ভালোবাসায় তোমরা পরস্পরকে ভালবাস। অপর ভাই বোনেদের নিজের থেকেও বেশী সম্মানের য়োগ্য বলে মনে কর।
১১ প্রভুর কাজে শিথিল হযো না। আত্মায় উদ্দীপ্ত হয়েই তোমরা প্রভুর সেবা কর।
১২ আনন্দ কর, কারণ তোমাদের প্রত্যাশা আছে। তোমরা দুঃখকষ্টে সহিষ্ণু হও; নিরন্তর প্রার্থনা কর।
১৩ তোমাদের যা আছে তা অভাবী ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে ভাগ করে নাও। তোমাদের গৃহে অতিথিদের স্বাগত জানাও।
১৪ তোমাদের যাঁরা নির্য়াতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, য়েন ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন। তাদের মঙ্গল কামনা কর, অভিশাপ দিও না।
১৫ তোমরা অপরের সুখে সুখী হও, যাঁরা দুঃখে কাঁদছে তাদের সঙ্গে কাঁদো।
১৬ তোমরা পরস্পর একপ্রাণ হয়ে শান্তিতে থাক, অহঙ্কারী হযো না। যাঁরা দীনহীন মানুষ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চল। নিজেকে জ্ঞানী মনে করে গর্ব করো না।
১৭ কেউ অপরাধ করলে অপকার করে প্রতিশোধ নিও না। সকলের চোখে যা ভাল তোমরা তা করতেই চেষ্টা কর।
১৮ যতদূর পার সকলের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করে যাও।
১৯ আমার বন্ধুরা, কেউ তোমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দিতে য়েও না, বরং ঈশ্বরকেই শাস্তি দিতে দাও। শাস্ত্রে প্রভু বলছেন, ‘প্রতিশোধ নেওয়া আমার কাজ, প্রতিদান যা দেবার আমিই দেব।’
২০ কিন্তু তোমরা এই কাজ কর, ‘তোমাদের শত্রুরা ক্ষুধার্ত হলে তাকে খেতে দাও, তোমাদের শত্রু তৃষ্ণার্ত হলে তাকে জল পান করাও। এই রকম করলে তোমরা তাকে লজ্জায় ফেলে দেবে।’আর তা হবে তার মাথায় একরাশি জ্বলন্ত কয়লা রাখার মতো।
২১ মন্দের কাছে পরাস্ত হযো না, বরং উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাস্ত করো।