১ যদি মনে কর য়ে তুমি ঐ লোকদের বিচার করতে পার, তাহলে ভুল করছ, কারণ তুমিও দোষী। তুমি অপরের বিচার কর; কিন্তু তুমিও সেই একইরকম মন্দ কাজ কর। কাজেই তুমি যখন অন্যের বিচার কর তখন নিজেকেই দোষী সাব্যস্ত কর।
২ যাঁরা মন্দ কাজ করে ঈশ্বর তাদের বিচার করেন; আর তাঁর বিচার ন্যায়সম্মত।
৩ তুমি তাদের বিচার করে থাক; কিন্তু তুমি নিজেও তাদের মত সেই সব মন্দ কাজ কর। তাই এ কথা তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ য়ে ঈশ্বর তোমার বিচার করবেন। তুমি তার বিচার এড়াতে পারবে না।
৪ ঈশ্বর তোমার প্রতি দয়া করেছেন ও সহিষ্ণু হয়েছেন। ঈশ্বর অপেক্ষা করছেন য়েন তোমার পরিবর্তন হয়; কিন্তু তুমি তাঁর দয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করছ। তুমি হয়তো বুঝতে পারছ না য়ে তোমাদের প্রতি ঈশ্বরের এত দয়ার উদ্দেশ্য হল যাতে তোমরা পাপ থেকে মন-ফিরাও।
৫ কিন্তু তুমি কঠিনমনা লোক ও অবাধ্য। তুমি পরিবর্তিত হতে চাও না, তাই তুমিই তোমার দণ্ডকে ঘোরতর করে তুলছ। ঈশ্বরের ক্রোধ প্রকাশের দিনে তুমি সেই দণ্ড পাবে, য়ে দিন লোকে ঈশ্বরের ন্যায়বিচার দেখতে পাবে।
৬ ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে তার কার্য় অনুসারে ফল দেবেন।
৭ যাঁরা অবিরাম তাদের সত্ক্রিয়া দ্বারা মহিমা, সম্মান এবং অমরত্বের অন্বেষণ করে, ঈশ্বর তাদের অনন্ত জীবনের অধিকারী করবেন।
৮ কিন্তু যাঁরা স্বার্থপর, সত্যের অবজ্ঞাকারী এবং মন্দ পথেই চলে, ঈশ্বর তাদের উপর তাঁর ক্রোধ ও শান্তি ঢেলে দেবেন।
৯ যাঁরা মন্দ কাজ করে তাদের প্রত্যেকের জীবনে ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্লেশ ও পীড়া আসবে। প্রথমে ইহুদীদের ও পরে অইহুদীদের উপরে।
১০ কিন্তু যাঁরা সত্কাজ করে তাদের তিনি মহিমা, সম্মান ও শান্তি দেবেন, প্রথমে ইহুদীদের ও পরে অইহুদীদের।
১১ ঈশ্বর সকল মানুষকে একইভাবে বিচার করেন।
১২ যাঁরা বিধি-ব্যবস্থা জানে আর যাঁরা তা কখনই শোনে নি, পাপ করলে তারা সকলে একই পর্য়ায়ে পড়ে। বিধি-ব্যবস্থা না জেনে যত লোক পাপ করেছে, তারা সকলেই বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই বিনষ্ট হবে। একইভাবে যাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তবু পাপ করে, তাদের বিধি-ব্যবস্থা দ্বারাই বিচার হবে।
১৩ বিধি-ব্যবস্থার কথা শোনার দ্বারা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় না বরং বিধি-ব্যবস্থা যা বলে তা সর্বদা পালন করলেই ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক হওয়া যায়।
১৪ অইহুদীরা কোন বিধি-ব্যবস্থা পায় নি, অথচ তারা যখন স্বভাবতঃ বিধি-ব্যবস্থা অনুযাযী কাজ করে তখন তারা নিজেরাই নিজেদের বিধি-ব্যবস্থা। যদিও তাদের অধিকারে কোন বিধি-ব্যবস্থা নেই তবুও এটাই সত্য।
১৫ তারা দেখায় য়ে, বিধি-ব্যবস্থার নির্দেশ কোনটা ভাল কোনটা মন্দ, তা তারা তাদের হৃদয় দিয়েই জানে। তাদের বিবেকও এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়। অনেক সময় তাদের চিন্তাধারাই ব্যক্ত করে য়ে তারা অন্যায় কাজ করছে আর তাতে তারা দোষী হয়। কোন কোন সময় তাদের চিন্তাধারা ব্যক্ত করে য়ে তারা ঠিকই করছে, আর তাই তারা দোষী হয় না।
১৬ এসব তখনই ঘটবে যখন ঈশ্বর, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মানুষের সকল গুপ্ত বিষয়ের বিচার করবেন। য়ে সুসমাচার আমি লোকদের কাছে প্রচার করি তা এই কথাই বলছে।
১৭ তোমার অবস্থা কেমন? তুমি নিজেকে ইহুদী বলে পরিচয় দাও এবং বিধি-ব্যবস্থার উপর নির্ভর কর ও গর্ব কর য়ে তুমি ঈশ্বরের কাছাকাছি রয়েছ।
১৮ তুমি জান য়ে ঈশ্বর তোমার কাছ থেকে কোন্ কাজ আশা করেন; আর কোন্টা গুরুত্বপূর্ণ তাও তুমি জান, কারণ তুমি বিধি-ব্যবস্থা শিক্ষা করেছ।
১৯ যাঁরা ঠিক পথ চেনে না তুমি মনে কর এমন লোকদের তুমি একজন পথ প্রদর্শক। তুমি মনে কর যাঁরা অন্ধকারে আছে তুমি তাদের কাছে জ্যোতিস্বরূপ।
২০ তুমি মনে কর য়ে, যাদের মৌলিক শিক্ষার প্রযোজন তুমি তাদের শিক্ষক হতে পার। তোমার কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তাই তুমি মনে কর য়ে তুমি সবই জান ও সব সত্য তোমার কাছেই রয়েছে।
২১ তুমি অপরকে শিক্ষা দিয়ে থাক; কিন্তু তুমি কি নিজেকেও শিক্ষা দাও? চুরি করো না বলে তুমি অপরকে শিক্ষা দাও। কিন্তু তুমি নিজে চুরি কর।
২২ তুমি বল লোকে য়েন য়ৌন পাপে লিপ্ত না হয়; কিন্তু তুমি নিজে সেই পাপে পাপী। তুমি প্রতিমা ঘৃণা কর; কিন্তু মন্দির থেকে চুরি কর।
২৩ তুমি ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব কর আবার সেই একই বিধি-ব্যবস্থা লঙঘন করে ঈশ্বরেরই অবমাননা কর।
২৪ শাস্ত্রে য়েমন লেখা আছে: ‘ইহুদীরা, তোমাদের জন্যই অইহুদীরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।’
২৫ সুন্নতের মূল্য আছে যদি তুমি বিধি-ব্যবস্থা মান; কিন্তু যদি বিধি-ব্যবস্থা লঙঘন কর তাহলে তা সুন্নত না হওয়ার সমান।
২৬ অইহুদীরা সুন্নত করায় না; কিন্তু সুন্নত ছাড়াই যদি তারা বিধি-ব্যবস্থার নির্দেশ মেনে চলে তাহলে কি তারা সুন্নতের মতই হবে না?
২৭ ইহুদীরা, তোমাদের লিখিত বিধি-ব্যবস্থা ও সুন্নত প্রথা আছে; কিন্তু তোমরা বিধি-ব্যবস্থা লঙঘন কর। তাই যাদের দৈহিকভাবে সুন্নত হয়নি অথচ বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলে, তারা দেখিয়ে দেবে য়ে তোমরা ইহুদীরা দোষী।
২৮ বাহ্যিকভাবে ইহুদী হলেই প্রকৃত ইহুদী হওয়া যায় না, এবং পূর্ণ অর্থে বাহ্যিক সুন্নত প্রকৃত সুন্নত নয়।
২৯ য়ে অন্তরে ইহুদী সেই প্রকৃত ইহুদী। প্রকৃত সুন্নত সম্পন্ন হয় অন্তরে; বিধি-ব্যবস্থায় লিখিত অক্ষরের মাধ্যমে তা হয় না কিন্তু অন্তরে আত্মা দ্বারা সাধিত হয়। আত্মার দ্বারা য়ে ব্যক্তির হৃদয়ের সুন্নত হয় সে মানুষের প্রশংসা নয়, ঈশ্বরের প্রশংসা পায়।