রাত্রির কবিতা
বেশ রাত ছাড়া কবিতা লেখা যায় না, কেন না
সব সকালগুলোই বড় কর্কশ
ভোরবেলা খবরের কাগজ ছুঁলেই হাতে রক্ত লেগে যায়
মানুষের রক্ত
তার আগে চিল-চিৎকার কিংবা কাকের ডাকে ঘুম ভাঙে
শহরে দোয়েল কিংবা টুনটুনি থাকে না
আমার চোখেও লাল আভা
একজন সংসার-লোভী আর একজন সংস্যার-ত্যাগী
দরজায় এসে দাঁড়ায়
তারা কথা বলে চাঁচাছোলা গদ্য ভাষায়
একজন সাপুড়ে আর একজন বাঁদরওয়ালা বসে থাকে রাস্তায়
দু’পা এগোলেই হাঁ করে আছে একশোটা দোকান
ট্রাম ও বাসের শব্দে কণামাত্র সুর নেই
দুনিয়ার কোথাও নেই কণামাত্র কবিতা
আমি অপেক্ষা করি রাত্রির জন্য
গভীর রাত, কোনও সঙ্গিনী না থাকলেও
সেই রাত্রিই হয়ে ওঠে নারীর মতন
আমাকে তার খোলা বুক দেখিয়ে আদর করতে ডাকে
প্রতিটি চুম্বনে জমে ওঠে বিন্দু বিন্দু কবিতা…