১ প্রিয় বন্ধুরা, সংসারে অনেক ভণ্ড ভাববাদী দেখা দিয়েছে, তাই তোমরা সব আত্মাকে বিশ্বাস করো না। কিন্তু সেই সব আত্মাদের যাচাই করে দেখ য়ে তারা ঈশ্বর হতে এসেছে কিনা।
২ এইভাবে তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে চিনতে পারবে। য়ে কোন আত্মা যীশু খ্রীষ্ট য়ে রক্ত মাংসের দেহ ধারণ করে এসেছেন বলে স্বীকার করে, সে ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে।
৩ কিন্তু য়ে আত্মা, যীশুকে স্বীকার করে না, সে ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে নি। এ সেই খ্রীষ্টারির আত্মা, খ্রীষ্টের শত্রু য়ে আসছে তা তোমরা শুনেছ, আর এখন সে তো সংসারে এসেই গেছে।
৪ আমার স্নেহের সন্তানগণ, তোমরা ঈশ্বরের লোক, তাই তোমরা ওদের ওপর জযী হয়েছ; কারণ তোমাদের মধ্যে যিনি (ঈশ্বর) বাস করেন তিনি জগতের মধ্যে বাসকারী দিয়াবলের থেকে অনেক মহান।
৫ এই ভণ্ড শিক্ষকরা হল জগতের, তাই তারা যা বলে তা সব জাগতিক কথাবার্তা, আর জগত তাদের কথা শোনে।
৬ কিন্তু আমরা ঈশ্বরের লোক, ঈশ্বরকে য়ে জানে সে আমাদের কথা শোনে, য়ে ঈশ্বরের লোক নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এইভাবেই আমরা সত্যের আত্মাকে ও ছলনার আত্মাকে চিনতে পারি।
৭ প্রিয় বন্ধুরা, এস আমরা পরস্পরকে ভালবাসি, কারণ ঈশ্বরই ভালবাসার উত্স আর য়ে কেউ ভালবাসতে জানে সে ঈশ্বরের সন্তান, সে ঈশ্বরকে জানে।
৮ য়ে ভালবাসতে জানে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বর স্বয়ং হলেন ভালবাসা।
৯ ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা এইভাবেই দেখিয়েছেন, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এ জগতে পাঠালেন য়েন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন লাভ করি।
১০ ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালবাসা নয়, বরং আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসাই হল প্রকৃত ভালবাসা। ঈশ্বর আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ করেছেন।
১১ প্রিয় বন্ধুরা, এইভাবে ঈশ্বর আমাদের ভালবেসেছেন, সুতরাং আমরাও অবশ্যই পরস্পরকে ভালবাসব।
১২ ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি। যদি আমরা পরস্পরকে ভালবাসি, তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেন; আর তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করেছে।
১৩ আমরা জানি য়ে তিনি আমাদের মধ্যে আছেন; আর আমরা তাঁর মধ্যে অবস্থান করছি। এ বিষয় আমরা জানি, কারণ ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে আমাদের দান করেছেন।
১৪ আমরা দেখেছি পিতা তাঁর পুত্রকে জগতের ত্রাণকর্তারূপে পাঠিয়েছেন। সেই বার্তাই আমরা লোকদের কাছে বলছি।
১৫ কেউ যদি স্বীকার করে য়ে, ‘যীশু ঈশ্বরের পুত্র,’ তবে ঈশ্বর তাঁর অন্তরে বাস করেন, আর সে ঈশ্বরেতে থাকে।
১৬ আমাদের জন্য ঈশ্বরের ভালবাসা আছে আমরা তা জানি ও বিশ্বাস করি।ঈশ্বরই স্বয়ং ভালবাসা, আর য়ে কেউ ভালবাসায় থাকে সে ঈশ্বরের মধ্যে থাকে ও ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন।
১৭ যদি আমাদের ক্ষেত্রে ভালবাসা এই ভাবেই পূর্ণতা পায়, তবে শেষ বিচারের দিনে আমরা নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারব, কারণ এ জগতে আমরা খ্রীষ্টেরই মতো।
১৮ য়েখানে ঈশ্বরের ভালবাসা সেখানে ভয় থাকে না, পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে দূর করে দেয়, কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির চিন্তা জড়িত থাকে। য়ে ভয় পায় সে ভালবাসায় পূর্ণতা লাভ করে নি।
১৯ তিনিই (ঈশ্বর) আগে আমাদের ভালবেসেছেন, আর তার ফলে আমরা ভালবাসতে পারি।
২০ যদি কেউ বলে, ‘সে ঈশ্বরকে ভালবাসে’ অথচ সে তার খ্রীষ্টেতে কোন ভাই ও বোনকে ঘৃণা করে তবে সে মিথ্যাবাদী। য়ে ভাইকে দেখতে পাচ্ছে, সে যদি তাকে ঘৃণা করে তবে য়াঁকে সে কোনও দিন চোখে দেখে নি, সেই ঈশ্বরকে সে ভালবাসতে পারে না।
২১ কারণ ঈশ্বরের কাছ থেকে আমরা এই আদেশ পেয়েছি, ঈশ্বরকে য়ে ভালবাসে সে য়েন তার নিজের ভাইকেও ভালবাসে।