১ আমার প্রিয় সন্তানরা, আমি তোমাদের একথা লিখছি যাতে তোমরা পাপ না কর। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে ফেলে, তবে পিতার কাছে আমাদের পক্ষে কথা বলার একজন আছেন, তিনি সেই ধার্মিক ব্যক্তি, যীশু খ্রীষ্ট।
২ তিনিই সেই প্রায়শ্চিত্ত বলিগুলি, যার ফলে আমাদের সব পাপ দূর হয়। কেবল আমাদের সব পাপ নয়, জগতের সমস্ত মানুষেরও পাপ দূর হয়।
৩ যদি আমরা ঈশ্বরের আদেশ পালন করি, তবেই বুঝতে পারব য়ে আমরা তাঁকে জানি।
৪ কেউ যদি বলে য়ে, ‘আমি ঈশ্বরকে জানি,’ অথচ ঈশ্বরের আদেশ পালন না করে তবে সে মিথ্যাবাদী, আর তাঁর সত্য তার অন্তরে নেই।
৫ কিন্তু য়ে তাঁর শিক্ষা পালন করে, ঈশ্বরের ভালবাসা সত্যি তার মধ্যে পূর্ণতালাভ করেছে। এইভাবে আমরা সুনিশ্চিত হতে পারি য়ে আমরা তাঁর মধ্যেই অবস্থান করছি।
৬ কেউ যদি বলে য়ে আমি ঈশ্বরে আছি তাহলে তাকে অবশ্যই তাঁর মতো জীবনযাপন করতে হবে।
৭ প্রিয় বন্ধুরা, আমি তোমাদের কাছে কোন নতুন আদেশ লিখছি না, এ এমন এক পুরানো আদেশ, যা তোমরা আদি থেকেই পেয়েছ। তোমরা য়ে বার্তা শুনেছ তা হল পুরানো আদেশ.
৮ কিন্তু আমি এই পুরানো আদেশই তোমাদের কাছে এক নতুন আদেশরূপে লিখছি। এই আদেশ সত্য এবং এর সত্যতা তোমরা যীশু খ্রীষ্টে ও তোমাদের জীবনে দেখেছ, কারণ অন্ধকার কেটে যাচ্ছে আর প্রকৃত জ্যোতি ইতিমধ্যেই উজ্জ্বল।
৯ য়ে বলে আমি জ্যোতিতে আছি কিন্তু তার নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারেই আছে।
১০ য়ে তার ভাইকে ভালবাসে, সে জ্যোতিতে রয়েছে। তার জীবনে এমন কিছুই নেই যা তাকে পাপী করে।
১১ কিন্তু য়ে তার ভাইকে ঘৃণা করে সে এখনও অন্ধকারেই আছে। সে অন্ধকারেই বাস করে আর জানে না সে কোথায় চলেছে, কারণ অন্ধকার তাকে অন্ধ করে দিয়েছে।
১২ প্রিয় সন্তানগণ, আমি তোমাদের লিখছি কারণ খ্রীষ্টের মাধ্যমে তোমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে।
১৩ পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, আমি তোমাদের লিখছি কারণ তোমরা সেই পাপাত্মার ওপর জয়লাভ করেছ।
১৪ শিশুরা, আমি তোমাদের নিকট লিখছি কারণ যিনি শুরু থেকে আছেন তোমরা তাঁকে জান। যুবকরা, আমি তোমাদের লিখছি কারণ তোমরা শক্তিশালী, ঈশ্বরের বার্তা তোমাদের অন্তরে আছে; আর তোমরা সেই পাপাত্মার ওপর জয়লাভ করেছ।
১৫ তোমরা কেউ এই সংসার বা এই সংসারের কোন কিছু ভালবেসো না। কেউ যদি এই সংসারটাকে ভালবাসে তবে পিতা ঈশ্বরের ভালবাসা তার অন্তরে নেই।
১৬ কারণ এই সংসারে যা কিছু আছে,যা আমাদের পাপ প্রকৃতি পেতে ইচ্ছা করে,যা আমাদের চক্ষু পেতে ইচ্ছা করে,আর পৃথিবীর যা কিছুতে লোকে গর্ব করে।সে সবই পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে না, আসে জগত থেকে।
১৭ এই সংসার ও তাঁর অভিলাষ সব বিলীন হতে চলেছে, কিন্তু য়ে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে চিরজীবি হবে।
১৮ প্রিয় সন্তানরা, জগতের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। আর তোমরা শুনেছ য়ে খ্রীষ্টারিরা আসছে। এখনই সেই খ্রীষ্টারিরা এসে গেছে, এর ফলেই আমরা বুঝতে পারছি য়ে এই শেষ সময়।
১৯ সেই খ্রীষ্টারিরা আমাদের দলের মধ্যেই ছিল। তারা আমাদের মধ্য থেকে বাইরে চলে গেছে। বাস্তবে তারা কোন দিনই আমাদের লোক ছিল না, কারণ তারা যদি আমাদের দলের লোক হত, তবে আমাদের সঙ্গেই থাকত। তারা আমাদের ছেড়ে চলে গেল; এর দ্বারাই প্রমাণ হল য়ে তারা কেউই আদৌ আমাদের নয়।
২০ তোমরা সেই পবিত্রতমের (খ্রীষ্টের) কাছে অভিষিক্ত হয়েছ, তাই তোমরা সকলে সত্য কি তা জান। তবে তোমাদের কাছে কেন আমি লিখি?
২১ এটা বলার জন্য আমি লিখছি না য়ে তোমরা সত্য জান না। আমি তোমাদের লিখছি কারণ তোমরা সত্য জান; আর এও জান য়ে সত্য থেকে কখনও কোন মিথ্যার উত্পত্তি হতে পারে না।
২২ তবে সেই মিথ্যাবাদী কে? সে-ই, য়ে ব্যক্তি বলে য়ে যীশুই সেই খ্রীষ্ট নন, সে-ই খ্রীষ্টের শত্রু, য়ে বলে যীশু সেই খ্রীষ্ট নয়, সেই ব্যক্তি পিতাকে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে না তাঁর পুত্র খ্রীষ্টকে।
২৩ য়ে পুত্রকে অস্বীকার করে, সে পিতা ঈশ্বরকেও পায় না। কিন্তু য়ে পুত্রকে গ্রহণ করে, সে পিতা ঈশ্বরকেও পেয়েছে।
২৪ শুরু থেকে তোমরা যা শুনে আসছ, সেই সব বিষয় অবশ্যই তোমাদের অন্তরে রেখো। শুরু থেকে তোমরা যা শুনেছ তা যদি তোমাদের অন্তরে থাকে তবে তোমরা পিতা ঈশ্বর ও তাঁর পুত্রের সাহচর্য়ে থাকবে।
২৫ আর ঈশ্বর এটাই আমাদের দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা হল অনন্ত জীবন।
২৬ যাঁরা তোমাদের ভুল পথে নিয়ে য়েতে চায় তাদের বিষয়ে তোমাদের এইসব কথা লিখলাম।
২৭ খ্রীষ্ট তোমাদের এক বিশেষ বরদান দিয়েছেন এবং তা তোমাদের মধ্যে রয়েছে। তাই তোমাদের অন্য কারোর শিক্ষার দরকার নেই। য়ে বরদান তোমরা পেয়েছ তা তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেয়। এ বরদান সত্য, এর মধ্যে মিথ্যার লেশমাত্র নেই। তাই এই বরদান য়েমন শিক্ষা দিয়েছে, সেইমত তোমরা খ্রীষ্টে থাক।
২৮ এখন আমার স্নেহের সন্তানরা, খ্রীষ্টেতে থাক। তা করলে খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হবেন তখন আমাদের আর ভয়ের কিছু থাকবে না। তিনি এলে তাঁর সামনে দাঁড়াতে ভয় বা লজ্জা পেতে হবে না।
২৯ যদি তোমরা জান য়ে খ্রীষ্ট ধার্মিক তাহলে তোমরা এও জান য়ে যাঁরা ধর্মাচরণ কাজ করে তারা ঈশ্বরের সন্তান।