১ তারপর যিহোশূয় শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে জমি-জায়গা দিলেন। সে সব জমি ছিল যিহূদার এলাকার ভেতরে।
২ তারা পেয়েছিল বের্-শেবা (শেবাও বলা য়েতে পারে), মোলাদা,
৩ হত্সর-শূযাল, বালা, এত্সম,
৪ ইল্তোলদ, বথূল, হর্মা,
৫ সিক্লগ, বৈত্-মর্কাবোত্, হত্সর-সূষা,
৬ বৈত্-লবাযোত্ এবং শারূহণ। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে ১৩টি শহর।
৭ তারা আরও য়ে সব শহর পেয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: ঐন, রিম্মোণ, এখর এবং আশন। চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে চারটে শহর। এছাড়া তারা বালত্-বের (নেগেভের রামো) পর্য়ন্ত সমস্ত শহরের চারপাশের মাঠ-ঘাট পেল।
৮ তাছাড়াও বালত্-বের পর্য়ন্ত সমস্ত শহরের চতুর্দিকের মাঠ। তাহলে এই হচ্ছে শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর এলাকা। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল।
৯ শিমিযোনের জমির অংশ যিহূদার এলাকার মধ্যেই ছিল। যিহূদার লোকরা দরকারের চেয়ে অনেক বেশী জমি পেয়েছিল। তাই তাদের জমির কিছু অংশ শিমিযোনের লোকরা পেয়েছিল।
১০ এরপর জমি-জায়গা পেয়েছিল সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারই পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো জমি-জায়গা পেয়েছিল। সবূলূনের সীমানা ছিল সুদূর সারীদ অবধি।
১১ তারপর সীমানাটি পশ্চিম মুখে মারালার দিকে গেছে এবং দব্বেশত্ ছুঁযেছে। তারপর সীমা চলে গেছে য়ক্লিযামের উপত্যকা বরাবর।
১২ তারপর সীমানা গেছে পূর্বদিকে বেঁকে সারীদ থেকে কিশ্লোত্-তাবোর পর্য়ন্ত, সেখান থেকে দাবরত্ আর যাফিযে।
১৩ আরও পূর্বদিকে গাত্-হেফর এবং এত্-কাত্সীনে, শেষ হয়েছে রিম্মোণে। তারপর সীমানা ঘুরে গেছে নেযের দিকে।
১৪ নেযে থেকে আবার বেঁকে গিয়ে উত্তরে হন্নাখোন হয়ে য়িপ্তহেল উপত্যকার দিকে চলে গেছে।
১৫ এই চৌহদ্দির মধ্যে য়েসব শহর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে কটত্, নহলাল, শিম্রোণ, য়িদালা এবং বৈত্লেহম। মাঠঘাট নিয়ে মোট ১২ টি শহর।
১৬ এই হল সবূলূনের শহরসমূহ আর মাঠঘাট। এই পরিবারের প্রত্যেকেই এই সব জায়গার ভাগ পেয়েছিল।
১৭ দেশের চতুর্থ অংশ দেওয়া হয়েছিল ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীর। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল।
১৮ এদের দেওয়া হয়েছিল য়িষ্রিযেল, কনুল্লোত্, শূনেন,
১৯ হফারযিম, শীযোন, অনহরত্,
২০ রব্বীত্, কিশিযোন, এবস,
২১ রেমত্, ঐন্-গন্নীম, ঐন্-হদ্দা এবং বৈত্-পত্সেস।
২২ জমির সীমানা হচ্ছে তাবর, শহত্সূমা এবং বৈত্শেমশ। শেষ হয়েছে যর্দন নদীতে। মোট ১৬টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট।
২৩ এই সব শহর ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল।
২৪ দেশের পঞ্চম ভাগ আশের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। সকলেই জমির অংশ পেয়েছিল।
২৫ তাদের দেওয়া হয়েছিল হিল্কত্, হলী, বেটন, অক্ষক,
২৬ অলম্মেলক, অমাদ আর মিশাল।পশ্চিম সীমা গেছে কর্মিল পর্বত এবং শীহোর-লিব্নত্ পর্য়ন্ত।
২৭ তারপর সীমানা মোড় নিয়েছে পূর্ব মুখে। এটি গেছে বৈত্-দাগোন পর্য়ন্ত। এটি সবূলূন এবং য়িপ্তহেল উপত্যকা ছুঁযেছে। তারপর এটি বৈত্-এমক এবং নীযেলের উত্তরদিকে চলে গেছে। সীমানাটি কাবুলের উত্তরদিকে বিস্তৃত হয়েছে।
২৮ সীমানা গেছে এব্রোণ, রহোব, হম্মোন এবং কান্না। এই ভাবে বৃহত্তর সীদোন অঞ্চল পর্য়ন্ত বিস্তৃত।
২৯ এরপর সীমানা রামার দক্ষিণদিকে ফিরে গেছে। সীমানাটি এগিয়ে গেছে শক্তিশালী সোর শহর পর্য়ন্ত। তারপর ঘুরে গেছে পশ্চিম দিকে হোষায, শেষ হয়েছে অকষীবের কাছে সমুদ্রে।
৩০ তাছাড়া উম্মা, অফেক এবং রহোব এইসব অঞ্চল। মোট ২২টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট।
৩১ এই সব শহর আর মাঠঘাট ছিল আশের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির অংশ পেয়েছিল।
৩২ দেশের ষষ্ঠ অংশ পেল নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী। প্রত্যেক পরিবারই জমির অংশ পেয়েছিল।
৩৩ তাদের জায়গার সীমানা শুরু হয়েছে সানন্নীমের কাছে একটা বিরাট গাছ থেকে। গাছটা হেলফের কাছে অদামী-নেকব এবং য়কনিয়েলের ভেতর দিয়ে সীমানা লক্কুম হয়ে যর্দন নদীতে শেষ হয়েছে।
৩৪ সীমাটি অস্ নোত্-তাবোরে এসে আবার পশ্চিমদিকে ফেরত্ গেছে। এটি হুক্কোকের কাছে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। সবূলূন ছিল সীমাটির উত্তর দিকে, আশন ছিল পশ্চিমে। যিহূদাতে যর্দন নদী ছিল সীমাটির পূর্ব সীমা।
৩৫ এই সব সীমানার মধ্যে কয়েকটা শক্তিশালী শহর রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: সিদ্দীম, সের, হম্মত্, রক্কত্, কিন্নেরত্,
৩৬ অদামা, রামা, হাত্সোর,
৩৭ কেদশ, ইদ্রিযী, ঐন্-হাত্সোর,
৩৮ য়িরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বৈত্-অনাত্ এবং বৈত্-শেমশ মোট ১৯টি শহর এবং চারপাশের মাঠঘাট।
৩৯ এইসব শহর আর মাঠঘাট নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির ভাগ পেয়েছিল।
৪০ এরপর জমি-জায়গা দেওয়া হল দান পরিবারগোষ্ঠীকে। প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমি পেয়েছিল।
৪১ তাদের দেওয়া হয়েছিল এই সব জায়গা: সরা, ইষ্টায়োল, ঈর্-শেমশ,
৪২ শালবীন, অযালোন, য়িত্লা,
৪৩ এলোন, তিম্না, ইক্রোণ,
৪৪ ইল্তকী, গিব্বথোন, বালত্,
৪৫ য়িহূদ, বনে-বরক, গাত্-রিম্মোণ,
৪৬ মেযর্কোণ, রক্কোন এবং যাফোর নিকটবর্তী জায়গাগুলো।
৪৭ কিন্তু দানের লোকদের জায়গা পেতে ঝামেলায পড়তে হয়েছিল। শত্রুরা ছিল শক্তিশালী। তাদের তারা সহজে হারাতে পারে নি। সেই জন্য দানের লোকরা লেশমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল। লেশম জয় করে তারা সেখানকার লোকদের হত্যা করে। এই ভাবে তারা লেশম শহরে বাস করেছিল। জায়গাটার নাম পাল্টে রাখলো দান। কারণ তাদের পরিবারগোষ্ঠীর পিতৃপুরুষের নাম ছিল দান।
৪৮ এই সব শহর ও মাঠঘাট দান পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গার ভাগ পেয়েছিল।
৪৯ এই ভাবে দলপতিরা জমি-জায়গা ভাগ বাঁটোযারা করে বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীকে দিয়েছিল। ভাগাভাগির কাজ শেষ হলে সমস্ত ইস্রায়েলবাসী নূনের পুত্র যিহোশূয়কে কিছু জমি দেবে বলে ঠিক করলো।
৫০ প্রভু আদেশ দিয়েছিলেন তিনি য়েন এই জমি-জায়গা পান। তাই ইস্রায়েলবাসীরা যিহোশূয়কে দিল পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের তিম্নত্-সেরহ নামক শহর। এই শহরটা ছিল যিহোশূয়র পছন্দ। তাই শহরটাকে বেশ ভালো করে মজবুত করে তৈরী করে, তিনি সেখানে বাস করতে থাকলেন।
৫১ এই ভাবে ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে এই সব জায়গা ভাগাভাগি করে দেওয়া হল। যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানরা জমিজায়গা ভাগাভাগি করার জন্য শীলোতে একত্র হয়েছিলেন। সমাগম তাঁবুর দরজায প্রভুর সামনে তাঁরা সকলে সমবেত হয়েছিল। এই ভাবে তাঁরা জমি-জায়গা ভাগাভাগির কাজ শেষ করেছিলেন।