১ সমস্ত ইস্রায়েলবাসী শীলোতে জড়ো হল। সেখানে তারা একটা সমাগম তাঁবু প্রতিষ্ঠা করল। ইস্রায়েলীয়রাই সেই দেশটা চালাত। সে দেশে সমস্ত শত্রুকে তারা হারিযেছিল।
২ কিন্তু সেই সময় সাতটা ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠী তখনও ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি মতো জমিজায়গা পায় নি।
৩ তাই যিহোশূয় তাদের বললেন, “জমির জন্য তোমরা এতদিন অপেক্ষা করে বসে আছ কেন? তোমাদের প্রভু তোমাদের পিতৃপুরুষের ঈশ্বর তোমাদের তা দিয়েই দিয়েছেন।”
৪ তাই বলছি প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে তিনজন করে লোক বেছে নাও। আমি তাদের জায়গাটা ভালো করে দেখার জন্য পাঠাব। তারা সেখানকার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে।
৫ তারা জায়গাটা সাত ভাগে ভাগ করবে। যিহূদার লোকরা পাবে দক্ষিনাংশ, য়োষেফের লোকরা পাবে উত্তর অংশ।
৬ তোমরা অবশ্যই জায়গাটার বর্ণনা করে সেটাকে সাত ভাগে ভাগ করবে। মানচিত্রটা আমার কাছে আনবে। তারপর আমরা প্রভু, আমাদের ঈশ্বরকেই তা ঠিক করতে বলব কে কোন জমি পাবে।
৭ লেবীয় যাজকরা জমির কোন অংশ পাবে না। যাজক হিসাবে তাদের কাজ হচ্ছে প্রভুর সেবা করা। এই তাদের অংশ। গাদ, রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুত জমিজায়গা পেয়ে গিয়েছে। তারা বাস করে যর্দন নদীর পূর্বদিকে। প্রভুর দাস মোশি ইতিমধ্যেই তাদের জমিজায়গা দিয়ে দিয়েছেন।”
৮ জায়গা দেখার জন্য মনোনীত লোকরা বের হয়ে গেল যাতে তারা জমির বর্ণনা দিতে পারে। যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা সেই জায়গায় যাও, ভালো করে দেখ আর সেখানকার একটা বর্ণনা লিখে নিয়ে এসো। তারপর শীলোতে আমার সঙ্গে দেখা করো। আমি তখন ঘুঁটি চালার ব্যবস্থা করব। য়েন প্রভুই তোমাদের মধ্যে জমি ভাগ করে দেন।”
৯ তাই লোকরা সেই দেশে গেল, জায়গাটা ঘুরে ফিরে তারা দেখল এবং যিহোশূয়র জন্য একটা বর্ণনা তারা লিখল। তারা ঐ সমস্ত শহরগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করল এবং তারপর ভূখণ্ডটিকে সাত ভাগে ভাগ করল। মানচিত্র এঁকে নিয়ে তারা শীলোতে যিহোশূয়র কাছে ফিরে গেল।
১০ যিহোশূয় সেখানে শীলোতে প্রভুর সামনে তাদের জন্য ঘুঁটি চাললেন। এই ভাবেই তিনি জমি ভাগাভাগি করে প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীকে তাদের অংশ দিলেন।
১১ বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল যিহূদা এবং য়োষেফের জায়গার মাঝখানের জমি। বিন্যামীনের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীই নিজের নিজের জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। বিন্যামীনের জন্য মনোনীত জায়গাগুলো হল:
১২ যর্দন নদী থেকে শুরু করে উত্তরের সীমানা, যা য়িরীহোর উত্তর দিক ঘেঁষে গিয়ে পশ্চিমে পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে চলে গেছে। সীমানাটি বৈত্-আবনের ঠিক পূর্বদিক পর্য়ন্ত এগিয়ে গেছে।
১৩ দক্ষিণে লূস (বৈথেল) পর্য়ন্ত সীমানা গেছে। তারপর সীমা গেছে অষ্টারোত্-অদ্দরের দিকে। অষ্টারোত্-অদ্দর হচ্ছে নিম্ন বৈত্-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ী জায়গায়।
১৪ বৈত্-হোরোণের দক্ষিণে পাহাড়ে এসে সীমানা দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পাহাড়ের পশ্চিমদিকে চলে গেছে। সীমানা গিয়েছে কিরিযত্-বালে (কিরিযত্ য়িযারীম)। এই শহরটা যিহূদার লোকদের এটা পশ্চিম সীমা।
১৫ কিরিযত্-য়িযারীম থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ সীমা, গেছে নিপ্তোহ নদীর দিকে।
১৬ তারপর রফাযীম উপত্যকার উত্তরে বেন-হিন্নোম উপত্যকার কাছে পাহাড়ের নীচে চলে গেছে এই সীমা। সীমানাটি য়িবুষীযদের শহরের ঠিক দক্ষিণদিকে হিন্নোম উপত্যকা পর্য়ন্তও বিস্তৃত হয়েছে। তারপর সেটি গেছে ঐন্-রোগেল পর্য়ন্ত।
১৭ সেখান থেকে সীমা ঘুরে উত্তরদিকে গেছে ঐন্-শেমশে, গলীলোত (অদুম্মীম গিরিজর্থের কাছে) পর্য়ন্ত। সেখান থেকে মহাশিলার দিকে; রূবেণের পুত্র রোহনের জন্যই এর নাম রাখা হয়েছে।
১৮ এই সীমা বৈত্-অরাবার উত্তরদিকে খাড়ি পর্য়ন্ত এসে যর্দন উপত্যকায নেমে গেছে।
১৯ তারপর বৈত্-হগ্লার উত্তরে আর শেষ হয়েছে মৃত সাগরের উত্তর উপকূলে। এখানেই যর্দন নদী সাগরে পড়েছে। আর এটাই হচ্ছে দক্ষিণ সীমা।
২০ যর্দন নদী হচ্ছে পূর্ব সীমা। সুতরাং এটাই হচ্ছে বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য বিলি করা জমিজায়গা। এইসব হচ্ছে এদের জমি-জায়গার সব দিকের সীমানা।
২১ প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল। এই সব হচ্ছে তাদের শহর: য়িরীহো, বৈত্-হগ্লা, এমক-কশিশ,
২২ বৈত্-অরাবা, সমারযিম, বৈথেল,
২৩ অব্বীম, পারা, অফ্রা,
২৪ কফর-আম্মোনী, অফ্নি এবং গেবা। সেখানে ১২ টি শহর এবং তাদের ঘিরে সব মাঠঘাট ছিল।
২৫ বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী আরো পেয়েছিল গিবিযোন, রামা, বেরোত্,
২৬ মিস্পী, কফীরা, মোত্সা,
২৭ রেকম, য়ির্পেল, তরলা,
২৮ সেলা, এলফ, য়িবুষদের শহর (জেরুশালেম) গিবিযোত্ এবং কিরিযাত্। মাঠঘাট নিয়ে ১৪টি শহর। বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী এই সমস্ত জায়গা পেল।