১ যিহূদাকে য়ে দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তার পরিবারগোষ্ঠীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হল। দেশটি বিস্তৃত ছিল একদিকে ইদোমের সীমানা পর্য়ন্ত এবং অন্যদিকে দক্ষিণে তিম্নার ধার দিয়ে সিন মরুভূমি পর্য়ন্ত।
২ যিহূদা দেশের দক্ষিণের সীমা লবণ সাগরের দক্ষিণ দিক থেকে শুরু।
৩ সেই সীমা দক্ষিণে অক্রব্বীম গিরিপথ হয়ে সিন পর্য়ন্ত গেছে। তারপর আবার দক্ষিণে কাদেশ-বর্ণেয় পর্য়ন্ত। এই সীমা হিষ্রোণ থেকে অদ্দর পর্য়ন্ত দেশ ছাড়িযে ঘুরে গিয়ে কর্ক্কা পর্য়ন্ত গেছে।
৪ মিশরের নদী অসমোন এবং ভূমধ্যসাগর পর্য়ন্ত এই সীমা প্রসারিত। ঐ সমস্ত ভূমি তাদের দক্ষিণ সীমানার ওপর ছিল।
৫ তাদের পূর্বদিকে সীমানা ছিল লবণ নদীর তীর থেকে সেখান পর্য়ন্ত যেখানে যর্দন নদী সাগরে মিশেছে।উত্তরের সীমানা শুরু হয়েছে যেখানে যর্দন নদী মৃত সাগরে মিশেছে।
৬ তারপর উত্তরের সীমা বৈত্-হগ্লা হয়ে বৈত্-অরাবা পর্য়ন্ত গেছে। সীমা আরও গেছে বোহনের পাথরের দিকে। (বোহন হচ্ছে রূবেণের পুত্র।)
৭ উত্তরের সীমা আখোর উপত্যকা হয়ে দবীর পর্য়ন্ত গেছে। তারপর উত্তরে বাঁক নিয়ে গিল্গল পর্য়ন্ত গেছে। গিল্গল হচ্ছে সেই রাস্তার ওপারে য়ে রাস্তাটি অদুম্মীম পর্বতের মাঝখান দিয়ে গেছে। সেটা নদীর দক্ষিণে। ঐন্-শেমশ নদী পর্য়ন্ত সীমানা প্রসারিত। সীমার শেষ হচ্ছে ঐন্-রোগেলে।
৮ তারপর সেই সীমানা আরো এগিয়ে গেছে য়িবুষদের শহরের দক্ষিণ ঘেঁষে বেন হিন্নোম উপত্যকা পর্য়ন্ত। (ঐ শহরটি জেরুশালেম নামে পরিচিত ছিল।) সেখানে সীমানা গেছে হিন্নোম উপত্যকার পশ্চিমে পাহাড়ের চূড়া পর্য়ন্ত। সেটা রফাযীম উপত্যকার উত্তর দিকে।
৯ সেখান থেকে সীমানা আবার গেছে নিপ্তোহের ঝর্ণা পর্য়ন্ত। তারপর ইফ্রোণ পাহাড় চূড়ার কাছাকাছি শহরগুলো পর্য়ন্ত। সেখান থেকে ওটা বাঁক নিয়েছে এবং বালায গেছে। (বালার অপর নাম কিরিযত্ য়িযারীম)
১০ বালা থেকে সীমা পশ্চিমে বাঁক নিয়ে পাহাড়ী দেশ সেযীর পর্য়ন্ত গেছে। তারপর য়িযারীম পাহাড় চূড়ার উত্তর দিক ঘেঁষে নীচে বৈত্-শেমশে পর্য়ন্ত। সেখান থেকে সেটি তিম্নার পাশ দিয়ে গেছে।
১১ তারপর ইক্রোণের উত্তর দিকের পাহাড়। পাহাড় থেকে শিক্করোণ আর বালা পর্বতের পাশ দিয়ে যব্নিযেল হয়ে ভূমধ্যসাগরে শেষ হয়েছে।
১২ ভূমধ্যসাগর যিহূদার দেশের পশ্চিম দিকে এই চৌহদ্দির মধ্যেই যিহূদার দেশ। যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসবাস করত।
১৩ প্রভু যিহোশূয়কে বলেছিলেন, য়িফুন্নির পুত্র কালেবকে যিহূদার দেশের একটা অংশ য়েন তিনি দিয়ে দেন। তাই যিহোশূয় ঈশ্বরের আদেশমত তাকে সেই জায়গা দিয়ে দিলেন। যিহোশূয় তাকে কিরিযত্-অর্ব (হিব্রোণ) শহর দান করলেন। (অর্ব হচ্ছে অনাকের পিতা।)
১৪ হিব্রোণে বসবাসকারী তিনটি অনাক পরিবারকে কালেব তাড়িয়ে দিলেন। ঐ তিনটি পরিবার হচ্ছে শেশয, অহীমান আর তল্ময। এরা সবাই অনাকীয় লোক।
১৫ তারপর কালেব দবীরে বসবাসকারী লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল। (আগে দবীরকে কিরিযত্-সেফরও বলা হত।)
১৬ কালেব বলল, “আমি কিরিযত্-সেফর আক্রমণ করতে চাই। আমি আমার কন্যা অক্ষার বিয়ে তারই সঙ্গে দেব য়ে যুদ্ধে জয়লাভ করে আসবে।”
১৭ কালেবের ভাই কনষের পুত্র অত্নীয়েল শহর জয় করল। কালেব অত্নীয়েলের সঙ্গে কন্যা অক্ষার বিয়ে দিলেন।
১৮ অক্ষা অত্নীয়েলের সঙ্গে ঘর করতে লাগল। অত্নীয়েল অক্ষাকে বলল তার পিতা কালেবের কাছ থেকে আরও কিছু জায়গা চাইতে। অক্ষা পিতার কাছে গেল। গাধার পিঠ থেকে নেমে সে পিতার কাছে গেলে কালেব জিজ্ঞাসা করল, “তোমার কি চাই?”
১৯ অক্ষা বলল, “আমাকে আশীর্বাদ করো। তুমি আমাকে নেগেভের শুকনো মরুভূমি দিয়েছ। দযা করে এমন কিছু জায়গা দাও যেখানে জল পাওয়া যায়।” সেই মতো কালেব সেরকম জায়গাই অর্থাত্ সেই দেশের উপর ও নীচের দিকের জলাভূমিগুলি মেয়েকে দিল।
২০ প্রভু য়েমন কথা দিয়েছিলেন সেই মতো যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী জমি-জায়গা পেয়েছিল।
২১ এই শহরগুলি হচ্ছে যিহূদার সেই অংশে যেখানে যিহূদার দক্ষিণের সীমা বরাবর এদোমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: কব্সেল, এদর, যাগুর,
২২ কীনা, দীমোনা, অদাদা,
২৩ কেদশ, হাত্সোর, য়িত্নন,
২৪ সীফ, টেলম, বালোত্,
২৫ হাত্সোর, হদত্তা, কিরিযোত্ হিষ্রোণ (হাত্সোর),
২৬ অমাম, শমা, মোলদা,
২৭ হত্সর-গদ্দা, হিষ্মোন, বৈত্-পেলট,
২৮ হত্সয-শূযাল, বের্-শেবা, বিষিযোথিযা,
২৯ বালা, ইযীম, এত্সম,
৩০ ইল্তোলদ, কসীল, হর্মা,
৩১ সিক্লগ, মদ্মন্না, সন্সন্না,
৩২ লবাযোত্, শিল্হীম, ঐন এবং রিম্মোণ। মোট ২৯টি শহর এবং সেখানকার সব মাঠঘাট।
৩৩ যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীরা পশ্চিমের পাহাড়ী অঞ্চলের শহরগুলি পেয়েছিল। ইষ্টাযোল, সরা, অশ্না,
৩৪ সানোহ, ঐন্-গন্নীম, তপূহ, ঐনম,
৩৫ য়র্মুত্, অদুল্লম, সোখো, অসেকা,
৩৬ শারযিম, অদীথযিম এবং গদেরা (গদেরোথযিম)। মোট ১৪টি শহর এবং সেখানকার সব মাঠঘাট।
৩৭ যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী আবার এই সব শহরও পেয়েছিল: সনান, হদাশা, মিগ্দল-গাদ,
৩৮ দিলিযন, মিস্পী, য়ক্তেল,
৩৯ লাখীশ, বস্কত্, ইগ্লোন,
৪০ কব্বোন, লহমম, কিত্লীশ,
৪১ গদেরোত্, বৈত্-দাগোন, নয়মা এবং মক্কেদা। মোট ১৬টি শহর আর তার চারপাশের মাঠঘাট।
৪২ যিহূদার লোকরা এই সব শহরও পেয়েছিল: লিব্না, এথর, আশন,
৪৩ য়িপ্তহ, অশ্না, নত্সীব,
৪৪ কিযিলা, অক্ষীব এবং মারেশা। মোট ৯টি শহর এবং তাদের চারপাশের মাঠঘাট।
৪৫ যিহূদার লোকরা ইক্রোণ এবং অন্যান্য ছোটখাট শহর এবং তাদের চারপাশের মাঠঘাটও পেয়েছিল।
৪৬ তারা ইক্রোণের পশ্চিমদিকের জায়গা এবং অস্দোদের কাছাকাছি শহর আর মাঠঘাটও পেয়েছিল।
৪৭ অস্দোদের চারদিকের সমস্ত জায়গা এবং ছোটখাট শহরগুলো যিহূদার অন্তর্গত ছিল। যিহূদার অধিবাসীরা ঘসার চারপাশের জায়গা, মাঠ ও কাছাকাছি সমস্ত শহরও পেয়েছিল। তাদের দেশ মিশরের নদী এবং ভূমধ্যসাগরের উপকূল পর্য়ন্ত ছড়ানো।
৪৮ পাহাড়ি দেশের শহরগুলোও যিহূদার অধিবাসীরা পেয়েছিল, শহরগুলো হচ্ছে: শামীর, য়ত্তীর সোখো,
৪৯ দন্না, কিরিযত্-সন্না (দবীর),
৫০ অনাব, ইষ্টিমোয, আনীম,
৫১ গোশন, হোলোন এবং গীলো। মোট ১১টি শহর ও তাদের চারিদিকের মাঠঘাট।
৫২ যিহূদার বাসিন্দারা এই সব শহরও পেয়েছিল: অরাব, দূমা, ইশিযন,
৫৩ যানীম, বৈত্-তপূহ, অফেকা
৫৪ হুমটা, কিরিযত্-অর্ব (হিব্রোণ) এবং সীযোর। ৯টি শহর এবং চারপাশের মাঠসমূহ।
৫৫ যিহূদার লোকরা এই সব শহরও পেয়েছিল: মাযোন, কর্মিল, সীফ, যুটা
৫৬ য়িষ্রিযেল, য়ক্দিযাম, সানোহ্,
৫৭ কযিন, গিবিয়া এবং তিম্না। মোট ১০টি শহর এবং তাদের চারিদিকের মাঠগুলি।
৫৮ যিহূদার অধিবাসীরা এই শহরগুলোও পেয়েছিল: হলহূল, বৈত্-সূর, গদোর,
৫৯ মারত্, বৈত্-অনোত্ এবং ইল্তকোন, মোট ৬টি শহর এবং তাদের চারিদিকের মাঠগুলো।
৬০ যিহূদার লোকদের রব্বা এবং কিরিযত্-বাল (কিরিযত্-য়িযারীম) এই শহর দুটি দেওয়া হয়েছিল।
৬১ মরুভূমির শহরগুলোও যিহূদার বাসিন্দারা পেয়েছিল। সেগুলো হচ্ছে: বৈত্-অরাবা, মিদ্দীন, সকাখা,
৬২ নিব্শন, লবন শহর এবং ঐন্-গদী। মোট ৬টি শহর এবং তাদের চারপাশের মাঠগুলো।
৬৩ যিহূদার সৈন্যবাহিনী জেরুশালেমে বসবাসকারী য়িবূষ লোকদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় নি। তাই আজ জেরুশালেমে যিহূদাবাসীদের সঙ্গে য়িবূষরাও বাস করছে।