১ ইলীহূ বলে চলল। সে বলল:
২ “আরো কিছুক্ষণ ধৈর্য়্য় ধরুন এবং আমি আপনাকে শিক্ষা দেব। ঈশ্বরের স্বপক্ষে বলবার মত আরো অনেক জিনিষ রযেছে।
৩ আমার জ্ঞান আমি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেবো। ঈশ্বর আমায় সৃষ্টি করেছেন এবং আমি প্রমাণ করব ঈশ্বর ন্যায়পরাযণ।
৪ ইয়োব, আমি সত্যি কথা বলছি। আমি জানি আমি কি বলছি।
৫ “ঈশ্বর প্রচণ্ড শক্তিমান, কিন্তু তিনি মানুষকে ঘৃণা করেন না। ঈশ্বর প্রচণ্ড শক্তিমান কিন্তু তিনি ভীষণ রকমের জ্ঞানীও বটে।
৬ ঈশ্বর মন্দ লোকদের বাঁচতে দেবেন না। ঈশ্বর গরীব লোকদের সঙ্গে সর্বদাই ভালো ব্যবহার করেন।
৭ যারা সত্পথে জীবনযাপন করে ঈশ্বর তাদের ওপর নজর রাখেন। তিনি সত্ লোকদেরই শাসক হতে দেন। সত্ লোকদেরই ঈশ্বর চির দিনের জন্য সম্মান দেন।
৮ তাই যদি মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে এবং যদি তাদের শিকল ও দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়ে থাকে, তাহলে তারা নিশ্চয় কিছু ভুল কাজ করেছে।
৯ তারা কি করেছিলো তা ঈশ্বর ওদের বলবেন। ওরা কি পাপ করেছিলো তা ঈশ্বর ওদের বলবেন। ঈশ্বর ওদের বলবেন য়ে ওরা ভীষণ অহঙ্কারী ছিলো।
১০ ঈশ্বর ওই লোকগুলিকে তাঁর সতর্কবাণী শুনতে বাধ্য করবেন। তিনি ওদের পাপ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেবেন।
১১ যদি তারা ঈশ্বরের কথা শোনে এবং তাঁকে মান্য করে, তাহলে তারা তাদের জীবনের বাকী দিনগুলো সুখে ও সমৃদ্ধিতে যাপন করবে।
১২ কিন্তু এই লোকগুলো যদি ঈশ্বরকে মানতে অস্বীকার করে তাহলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের নির্বোধের মত মৃত্যু হবে।
১৩ য়ে লোকরা ঈশ্বরের তোযাক্কা করে না তারা সর্বদাই তিক্ত স্বভাবের হয়। এমনকি ঈশ্বর যখন ওদের শাস্তি দেন তখনও ওরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে চায় না।
১৪ ঐ লোকগুলো পুরুষ দেহ-জীবীর মত অল্প বয়সেই মারা যাবে।
১৫ কিন্তু বিনীত লোকদের ঈশ্বর সংকট থেকে উদ্ধার করবেন। মানুষ জেগে উঠবে এবং ঈশ্বরের কথা শুনবে বলে ঈশ্বর মানুষকে সমস্যা দেন।
১৬ “ইয়োব, ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করতে চান। ঈশ্বর আপনাকে সমস্যা থেকে মুক্ত করতে চান। আপনার জীবনকে ঈশ্বর আরও সাবলীল করতে চান। ঈশ্বর আপনার সামনে প্রচুর খাদ্য দিতে চান।
১৭ কিন্তু ইয়োব, আপনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তাই এক জন মন্দ লোকের মত আপনি শাস্তি পেয়েছিলেন।
১৮ ইয়োব, সম্পদের দ্বারা আপনি নির্বোধ হয়ে যাবেন না। অর্থ য়েন আপনার মনের পরিবর্তন না করে।
১৯ আপনার অর্থ এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। এবং শক্তিশালী লোকরাও এখন কোন ভাবে সাহায্য করতে পারবে না!
২০ রাত্রির আগমনের প্রত্যাশা করবেন না। লোকে অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে য়েতে চায়। তারা ভাবে তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকবে।
২১ ইয়োব, আপনি প্রচুর কষ্টভোগ করেছেন। কিন্তু মন্দকে পছন্দ করবেন না। ভুল করবেন না, সতর্ক থাকবেন।
২২ “দেখুন, ঈশ্বরের শক্তি তাঁকে মহান করেছে। ঈশ্বর প্রত্যেকেরই মহানতম শিক্ষক।
২৩ কি করতে হবে তা কোন লোকই ঈশ্বরকে বলতে পারে না। কোন লোকই ঈশ্বরকে বলতে পারে না, ‘আপনি ভুল করেছেন।’
২৪ “ঈশ্বর যা করেছেন তার জন্য তাঁকে প্রশংসা করার কথা মনে রাখবেন। ঈশ্বরের প্রশংসা করে লোকে অনেক গান লিখেছে।
২৫ ঈশ্বর কি করেছেন তা প্রত্যেকেই দেখতে পায়। কিন্তু লোকরা ঈশ্বরের কাজ শুধু মাত্র দূর থেকে দেখে।
২৬ হ্যাঁ, আমাদের কল্পনার চেয়েও ঈশ্বর মহান। ঈশ্বর কতদিন ধরে বেঁচে আছেন, আমরা জানি না।
২৭ “ঈশ্বর পৃথিবী থেকে জল নিয়ে তাকে বৃষ্টিতে পরিণত করেন।
২৮ তাই মেঘ জল দেয় এবং বহু লোকের ওপর বৃষ্টি পড়ে।
২৯ কেমন করে ঈশ্বর মেঘকে ছড়িয়ে দেন, কেমন করে আকাশে বজ্র খেলে যায় তা কেউই জানে না, বুঝতে পারে না।
৩০ দেখুন, ঈশ্বর তাঁর বিদ্যুত্কে আকাশে পাঠিয়েছেন এবং সমুদ্রের গভীরতম অংশকে আবৃত করে দিয়েছেন।
৩১ জাতিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং তাদের প্রচুর খাবার দেওয়ার জন্য ঈশ্বর ওগুলিকে ব্যবহার করেন।
৩২ ঈশ্বর তাঁর হাতে বিদ্যুত্কে ধরে থাকেন এবং যেখানে তিনি চান, সেখানেই বিদ্যুত্কে আছড়ে ফেলেন।
৩৩ বজ্রপাত মানুষকে সতর্ক করে দেয় য়ে ঝড় আসছে। তাই গবাদি পশুরাও জানতে পারে ঝড় আসছে।