ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যোব ২৩

১ তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:
২ “আমি আজ পর্য়ন্ত অভিয়োগ করে যাচ্ছি। কেন? কারণ আমি এখনও ভুগছি।
৩ আমার ইচ্ছা হয়, ঈশ্বরকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় তা যদি জানতাম, তাহলে আমি সেই জায়গায় য়েতাম।
৪ আমি আমার কাহিনী ঈশ্বরের কাছে বলতাম, আমি য়ে নির্দোষ এট প্রমাণ করার জন্য আমার মুখ যুক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকত।
৫ কেমন করে ঈশ্বর আমার প্রশ্নর জবাব দেবেন সেটাই আমি জানতে চাই। আমি ঈশ্বরের উত্তরকে বুঝতে চাই।
৬ ঈশ্বর কি আমার বিরুদ্ধে তাঁর শক্তিকে ব্যবহার করবেন? না, তিনি আমার কথা শুনবেন!
৭ সেখানে একটি ন্যায়পরাযণ লোক ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে পারে। তখন আমার বিচারক আমাকে মুক্তি দিতে পারেন।
৮ “কিন্তু আমি যদি পূর্ব দিকে যাই সেখানে ঈশ্বর নেই। আমি যদি পশ্চিমে যাই, তখনও আমি ঈশ্বরকে দেখতে পাই না।
৯ যখন ঈশ্বর উত্তরে কর্মরত থাকেন আমি তাঁকে দেখি না। যখন ঈশ্বর দক্ষিণে আসেন, তখনও তাঁকে দেখতে পাই না।
১০ কিন্তু ঈশ্বর জানেন আমি কেমন লোক। তিনি আমাকে পরীক্ষা করছেন এবং তিনি দেখবেন য়ে আমি সোনার মতোই পবিত্র।
১১ আমি সর্বদাই ঈশ্বরের চাওযা পথে জীবনধারণ করেছি। আমি কখনও ঈশ্বরকে অনুসরণ করা থেকে বিরত হইনি।
১২ আমি সর্বদাই ঈশ্বরের নির্দেশ মেনে এসেছি। আমি আমার খাবারকে যত না ভালোবাসি, তার থেকে বেশী ভালোবাসি ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত বাণী।
১৩ “কিন্তু ঈশ্বর কখনও পরিবর্তিত হন না। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে পারে না। ঈশ্বর যা চান তাই করতে পারেন।
১৪ আমার প্রতি ঈশ্বরের যা পরিকল্পনা আছে তিনি তাই করবেন। এবং আমার সম্পর্কে তাঁর অনেক পরিকল্পনা আছে।
১৫ সেই কারণেই আমি ঈশ্বরের দ্বারা আতঙ্কিত। আমি এই জিনিসগুলো বুঝতে পারি। সেই কারণেই আমি ঈশ্বরের সম্পর্কে ভীত।
১৬ ঈশ্বর আমার হৃদয়কে দুর্বল করে দেন এবং আমি সাহস হারিয়ে ফেলি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাকে ভীত করেন।
১৭ য়ে মন্দ ঘটনাগুলো আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে তা আমার মুখে কালো মেঘের মত ছেযে আছে। সেই অন্ধকার আমাকে চুপ করে থাকতে দেবে না।”