১ তখন শূহীর বিল্দদ উত্তর দিলেন,
২ “আর কতক্ষণ তুমি ঐ ভাবে কথা বলবে? তোমার কথা ঝোড়ো বাতাসের মতই বয়ে চলেছে।
৩ ঈশ্বর সর্বদাই সত্ পথে থাকেন। যা সঠিক, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তা কখনই পরিবর্তিত করেন না।
৪ যদি তোমার সন্তানরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করে থাকে, তাহলে ঈশ্বর তাদের পাপের জন্য শাস্তি দিয়েছেন।
৫ কিন্তু এখন ইয়োব, তুমি যদি ঈশ্বরের এবং সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর,
৬ যদি তুমি সত্ ও শুচি থাকো, তিনি শীঘ্রই এসে তোমাকে সাহায্য করবেন। তোমার য়েমন গৃহটি প্রাপ্য তেমনটিই তিনি তোমাকে ফিরিযে দেবেন।
৭ তোমার য়ে বিপুল উন্নতি হবে, তার কাছে, আগে তোমার যা ছিল, তা সামান্য মনে হবে।
৮ “বয়স্ক লোকদের জিজ্ঞাসা করে দেখ। খুঁজে দেখ তাদের পূর্বপুরুষরা কি শিক্ষা পেয়েছে?
৯ মনে হচ্ছে য়েন আমরা গতকাল জন্মেছি। জানার পক্ষে আমরা একেবারেই অপক্ক। এই পৃথিবীতে আমাদের জীবন ছায়ার মতোই ক্ষণস্থায়ী।”
১০ হয়তো বয়স্ক লোকরা তোমায় শিক্ষা দিতে পারেন। হয়তো বা, তাঁরা যা শিখেছেন তা তোমাকে শেখাতে পারেন।”
১১ বিল্দদ বললেন, “শুকনো জমিতে কি ভূর্জগাছ বড় হতে পারে?” জল ছাড়া কি এরস গাছ বাড়তে পারে?
১২ না, যদি জল শুকিয়ে যায়, তাহলে তারাও শুকিয়ে যাবে। তারা এত ছোট হয়ে যাবে য়ে তাদের কেটে ব্যবহার করাই মুস্কিল হবে।
১৩ যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তারাও ঐ নল-খাগড়ার মতোই। ঈশ্বরহীন মানুষের আশা বিনষ্ট হয়।
১৪ ওই লোকের নির্ভর করার কোন জায়গা নেই। তার নিরাপত্তা মাকড়সার জালের মতোই দুর্বল।
১৫ যদি কোন লোক মাকড়সার জালের ওপর নির্ভর করে তাহলে তা ভেঙে যায়। সে মাকড়সার জাল ধরে, কিন্তু সেই জাল তাকে আশ্রয় দেয় না।
১৬ সেই লোকটি সূর্য়ালোকের মধ্যে একটি ভেজা গাছের মত। তার ডালপালা সারা বাগানে ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ পাথরের চাঁইযের মধ্যে সে তার শিকড় ছড়িয়ে রাখে, পাথরের মধ্যেই সে তার শিকড় গজায।
১৮ কিন্তু যদি গাছটি তার জায়গা থেকে সরে যায়, গাছটি মরে যাবে এবং কেউ জানবে না য়ে গাছটি কোন দিন ঐখানে ছিলো।
১৯ কিন্তু গাছটি যতদিন বেঁচে ছিল তত দিন জীবন উপভোগ করছিল এবং অন্যান্য গাছগুলো এর জায়গায় জন্মাবে।
২০ ভালো লোকদের ঈশ্বর কখনই পরিত্যাগ করেন না। তিনি দুষ্ট লোকদের সাহায্য করেন না।
২১ ঈশ্বর তোমার মুখ হাসিতে ভরিয়ে দেবেন এবং তোমার ঠোঁট আনন্দ ধ্বনিতে পূর্ণ করবেন।
২২ কিন্তু তোমার শএুদের মুখ লজ্জায় আচ্ছন্ন হয়ে যাবে। এবং দুষ্ট লোকদের ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়ে যাবে।”