১ “ইয়োব, তুমি যদি চাও তো চিত্কার কর, কিন্তু কেউ তোমার ডাকে সাড়া দেবে না! তুমি কোন পবিত্র সত্তার দিকে ফিরবে?
২ এক জন বোকা লোকের ক্রোধই তাকে হত্যা করবে। এক জন বোকা লোকের প্রচণ্ড আবেগই তাকে হত্যা করবে।
৩ আমি এক জন বোকা লোককে দেখেছিলাম য়ে ভেবেছিল সে নিরাপদে আছে। কিন্তু সে হঠাত্ মারা গেল।
৪ তার ছেলেদের সাহায্য করার জন্য কেউই ছিল না। নগরদ্বারেকেউ তাদের লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করে নি।
৫ ক্ষুধিত লোকরা তার সব শস্য খেয়ে নিয়েছিল। কাঁটাঝোপের মধ্যে য়ে শস্য গজিযে উঠেছিলো, এই ক্ষুধিত লোকরা তাও খেয়ে নিয়েছিল। তাদের যা কিছু ছিল, লোভী লোকরা সবই নিয়ে গিয়েছিল।
৬ শুধুমাত্র ধূলো থেকে খারাপ সময় উঠে আসে না। সমস্যা হঠাত্ করে ভূমি ফুঁড়ে জন্মায় না।
৭ কিন্তু মানুষ সমস্যার সম্মুখিন হতে বাধ্য।ঠিক য়েমন আগুন থেকে স্ফুলিঙ্গ ওড়ে।
৮ “কিন্তু ইয়োব, আমি যদি তুমি হতাম, আমি ঈশ্বরকে খুঁজতাম এবং ঈশ্বরকে সম্বোধন করে আমার কথা বলতাম।
৯ ঈশ্বর মহান কাজগুলি করেন যা কেউ পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তিনি এত বিস্মযকর কাজ করেন য়ে তাদের গোনা যায় না।
১০ ঈশ্বর পৃথিবীতে বৃষ্টি পাঠান। তিনি জমির জন্য জল পাঠান।
১১ ঈশ্বর এক জন বিনযী লোককে উন্নীত করেন। অতএব যারা বিলাপরত তারা বিজয়প্রাপ্তহয়।
১২ ঈশ্বর চালাক ও মন্দ লোকদের ফন্দি বানচাল করে দেন যাতে তাদের পরিকল্পনা সফল না হয়।
১৩ ঈশ্বর, চালাক লোকদেরও তাদের নিজেদের ফাঁদেই ধরেন। তাই, সেই সব চালাকিও সফল হয় না।
১৪ ওরা দিনের বেলায রাতের সম্মুখীন হয় এবং দিনের বেলাতেই এমন করে হাতড়ে বেড়ায়, য়েন রাত হয়ে গেছে।
১৫ ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন। দুর্জন লোকদের শক্তি থেকে তিনি দরিদ্র লোকদের রক্ষা করেন।
১৬ তাই দরিদ্র লোকদের আশা আছে। অধর্ম তার মুখ বন্ধ করে।
১৭ “যার দোষ ঈশ্বর সংশোধন করে দেন সে তো ঈশ্বরের আশীর্বাদপুত! তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যখন তোমায় শাস্তি দেন তখন কোন অভিয়োগ করো না।
১৮ ঈশ্বর য়ে আঘাত দেন, তিনি নিজেই সে আঘাতের শুশ্রূষা করেন। হয়তো তিনি কাউকে আঘাত করেন কিন্তু তাঁর হাত আরোগ্যও দান করে।
১৯ ঈশ্বর তোমাকে সব সময়ই উদ্ধার করবেন, যতবারই সংকট আসুক না কেন, সেটা তোমাকে আঘাত করবে না।
২০ যখন দুর্ভিক্ষ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন। যখন যুদ্ধ হবে তখন ঈশ্বর তোমায় মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন।
২১ ঈশ্বর তোমাকে অপবাদ থেকে রক্ষা করবেন। বিপর্য়য এলে তুমি ভয় পাবে না। যখন মন্দ কিছু ঘটবে তখন তোমার ভয়ের কোন কারণ নেই।
২২ দুর্ভিক্ষ ও ধ্বংসের দিনগুলোকে তুমি উপহাস করবে। তুমি বন্য জন্তুদের ভয় পাবে না।
২৩ মনে হচ্ছে য়েন বন্য জন্তু ও মাঠের পাথরের সঙ্গে তোমার একটি শান্তি চুক্তি রযেছে। এমনকি বন্য পশুরাও তোমার সঙ্গে শান্তিতে থাকবে।
২৪ তুমি জানবে য়ে তোমার বাড়ি শান্তিতে আছে। তোমার সম্পত্তির হিসাব করে দেখবে কোন কিছুই খোযা যায় নি।
২৫ তুমি জানবে য়ে তোমার প্রচুর সন্তানাদি হবে। পৃথিবীতে যত ঘাস আছে তোমার উত্তরপুরুষদের সংখ্যাও ততগুলোই হবে।
২৬ তুমি সেই গমের মত হবে য়ে গম ফসল কাটা পর্য়ন্ত বাড়তে থাকে। হ্যাঁ, বৃদ্ধ বয়স পর্য়ন্ত তুমি পূর্ণ শক্তিতে বেঁচে থাকবে।
২৭ “ইয়োব, এই বিষয়গুলো আমরা অনুধাবন করেছি এবং আমরা জানি সেগুলি সত্যি। তাই ইয়োব, আমাদের কথা শোন, এবং তোমার নিজের জন্য সেগুলো শেখো।”