১ তখন প্রভু আবার য়োনার সঙ্গে কথা বললেন,
২ “ঐ বৃহত শহর নীনবীতে যাও এবং আমি তোম৪াকে যা বলি তাই প্রচার কর।”
৩ তাই য়োনা প্রভুর আজ্ঞাপালন করলেন এবং নীবনীতে গেলেন। নীহনী ছিল বেশ বড় শহর। শহরটাতে ঘুরতে এক জন লোকের তিন দিন সময় লাগত।
৪ য়োনা শহরটির কেন্দ্র স্থলে গিয়ে জনসাধারণকে দর্মোপদেশ দিতে আরম্ভ করলেন। য়োনা বললেন, “আর ৪০ দিন পর, নীবনী ধ্বংস হয়ে যাবে!”
৫ নীবনীবাসীরা ঈশ্বরের কাছ থেকে এই বার্তা পেয়ে বিশ্বাস করল। লোকরা কিছু সময়ের জন্যে খাওয়া দেওয়া বন্ধ করে তাদের পাপ কাজ সম্বন্ধে চিন্তা করল। লোকরা তাদের দুঃখ প্রকাশ করার জন্য বিশেষ ধরণের জামা কাপোড় পরল। শহরের সব লোকরাই তা করল-মহান থেকে সাধারণ সকলেই।
৬ নীবনীর রাজা এই কথাগুলো শুনলেন এবং তিনি নিজেও তার নিজের খারাপ কাজের জন্য দুঃখিত হলেন। সেজন্য রাজা তাঁর সিংহাসন ছেড়ে দিলেন। তার বিশেষ পোশাকও ছেড়ে ফেললেন এবং তিনি য়ে দুঃখিত তা দেখাবার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক পরলেন। তারপর রাজা ছাইযের মধ্যে বসলেন।
৭ রাজা একটি বিশ্ষ বার্তা লিথে বার্তাটি শহরে প্রেরন করলেন:কিছু সময়ের জন্য লোকরা পালকে মাঠে চরতে দেওয়া হবে না। নীবনীতে জীবিত কিছুই কোন খাদ্য বে পানীয় খাবে না।
৮ কিন্তু প্রত্যেক লোক এবং প্রত্যেক পশু তার দুঃখ প্রকাশ করার জন্য একটি বিশেষ পোশাক পরবে। লোককে ঈশ্বরের কাছে উচ্চস্বরে কাঁদতে হবে। প্রত্যেক লোকের জীবনযাত্রার পদ্ধতি পরিহর্তন করতে হবে এবং তারা খরাপ কাজ করা বন্ধ করবে।
৯ তখন ইশ্বরও হয়তো পরিবর্তিত হবেন এবং তিনি য়ে কাজ করার কথা ভেবেছিলেন তা করবেন না। হয়তো ঈশ্বও বদলে যাবেন এবং ক্রুদ্ধ হবেন না। তাহলে আমরা ক্ষযপ্রাপ্ত হব না।
১০ লোকে য়ে সব কাজ করেছে তা ঈশ্বর দেখেছিলেন। ঈশ্ব দেখলেন য়ে, লোকে খারাপ কাজ করা বন্ধ করেছে। কাজেই ঈশ্ব বদলে গিয়েছিলেন এবং যা ভেবেছিলেন তা করলেন না। লোককে ঈশ্বর শাস্তিও দিলেন না।