যোগব্রত
সে চেনা রাস্তা পছন্দ করতো না
সে প্রায়ই আলোকিত পথ ছেড়ে
ছুটে যেত ঘুটঘুটে অন্ধকারের দিকে
রক্ষাকালীর পুজোর রাত্রে মুলুটিতে সে এমনভাবেই দৌড়েছিল
যে সে শিখেছে তিরস্কারিণী বিদ্যে
অদৃশ্য হয়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে
দু’ পাশে নিচু ধান ক্ষেত
সাপের ভয়ে চমকানো আমাদের মুখ
মাথার ওপরের আকাশ মুছে নিয়েছে পৃথিবীকে
কেউ কেউ তার নাম ধরে ডাকলো, কেউ কেউ নিজের নাম ধরে
তারপর কেউ একজন মহাদেব কিংবা চণ্ডালের মতন
ভিজে মাটি থেকে তুলে এনেছিল
তার নিথর উষ্ণ শরীর
একবার সে এক দুর্দান্ত বৃষ্টিভরা রাতে
অমনোনীত করলো সঙ্গী সাথী পথ
শহরকে গ্রাম ভেবে সে চলে গেল নদীর দিকে
খালি রিশার ওপর পড়ে রইলো এক জোড়া চটি
শহরের দক্ষিণে সে পেয়েছিল বাল্যকাল
শহরের উত্তরে স্বর্গ
একবার চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে সে ছুটে গিয়েছিল
পাহাড়ের দিকে
আর একবার সে ভাঙা প্রাসাদ দেখার জন্য গিয়েছিল সমুদ্রে
অরণ্য ছিল তার খুব প্রিয়, মানুষজন ছেড়ে
বিকেলের দিকে প্রায়ই সে চলে যেত বনে জঙ্গলে
স্নেহ মমতার কাঙাল হয়ে বারবার সে নিজের কাছে ফিরে এসেছে
আমরা জানতাম সে ফিরে আসবে
ফিরে এসে সে ভালোবাসার জন্য গর্জন করবে
হঠাৎ কি সে তিরস্কারিণী বিদ্যে ভুলে গেল
অদৃশ্য থেকে আর দৃশ্যমান হলো না!