ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যেরেমিয়া ২৮

১ যিহূদার রাজা সিদিকিযের রাজত্ব কালের চতুর্থ বছরের পঞ্চম মাসে ভাব্বাদী হনানিয আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হনানিয ছিলেন অসূরের পুত্র। হনানিয ছিলেন গিবিয়োন শহরের বাসিন্দা। প্রভুর মন্দিরে যাজকগণ ও আরো অনেকের উপস্থিতিতে হনানিয আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হনানিয যা বলেছিলেন তা হল:
২ “ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান প্রভু বলেছেন: ‘বাবিলের রাজা যিহূদার লোকদের কাঁধে দাসত্বের য়ে জোযাল চাপিয়েছেন তা আমি ভেঙে দেব।
৩ বাবিলের রাজার দ্বারা প্রভুর মন্দির থেকে য়ে সমস্ত জিনিষ লুঠ হয়ে গিয়েছিল তার প্রত্যেকটি জিনিষ আমি দুবছরের মধ্যে তাদের জায়গায় ফেরত্‌ নিয়ে আসব। নবূখদ্রিত্‌সর বাবিলে যা কিছু নিয়ে গিয়েছে আমি সেগুলো জেরুশালেম দেশে ফেরত্‌ নিয়ে আসব।
৪ যিহূদার রাজা যিহোয়াকীণকে, য়ে যিহোয়াকীমের পুত্র, তাকেও এখানে ফিরিয়ে আনব। বাবিলের রাজা যিহূদার য়ে সমস্ত মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাদের সবাইকে আমি আবার যিহূদায় ফিরিয়ে আনব। আমি যিহূদার লোকদের বাবিলের রাজার দাসত্ব থেকে মুক্তি দেব।”‘
৫ প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে যাজক ও অন্যান্য লোকদের উপস্থিতিতে ভাব্বাদী যিরমিয়, ভাব্বাদী হনানিযকে উত্তর দিল।
৬ যিরমিয় হনানিযকে বলল, “আমেন! আমি আশা করি তুমি প্রভুর নামে য়ে বার্তা প্রচার করেছো তা প্রভু সত্যি করে তুলবেন। আমি আশা করি প্রভু সব কিছু আবার ফিরিয়ে আনবেন। আশা করি তিনি ফিরিয়ে আনবেন উপাসনাগৃহের লুণ্ঠিত জিনিসপত্র এবং বাবিলে দাসত্ব করা যিহূদার সমস্ত লোকদের।
৭ “কিন্তু আমাকে যা বলতেই হবে তা শোন, হনানিয শোন, শোন উপস্থিত লোকরা।
৮ হনানিয তোমার অনেক আগে আরও অনেক ভাব্বাদী ছিলেন এবং আমি ভাব্বাদী হতে পারতাম। তারা প্রচার করেছিল অনেক দেশগুলিকে যুদ্ধ, অনাহার, মহামারী গ্রাস করবে। অনেক মহত্‌ রাজ্যের বিরুদ্ধেও তারা এধরণের ভাব্বাণী দিয়েছিল।
৯ কিন্তু য়ে ভাব্বাদীরা শান্তির ভাব্বাণী প্রচার করে, সেই ভাব্বাণীগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে য়ে সত্যিই সেগুলি প্রভুর পাঠানো কিনা। সত্যি হলেই বোঝা যাবে য়ে সেই ভাব্বাদী সত্যি সত্যিই প্রভুর দ্বারা প্রেরিত। যদি কোন ভাব্বাদীর বাণী সঠিক হয় তাহলে মানুষকে বুঝতে হবে ঐ ভাব্বাদী প্রভুর দ্বারা প্রেরিত।”
১০ যিরমিয় একটি জোযাল তার নিজের কাঁধে চাপাচ্ছিল। আর তখন সেই জোযাল ভাব্বাদী হনানিয যিরমিয়র কাঁধ থেকে সরিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলল।
১১ হনানিয চিত্কার করে সবাইকে শুনিয়ে বলে উঠেছিলেন, “প্রভু বলেছেন: ‘এই ভাবে ঠিক আমি বাবিলের রাজা নবূখদ্রিত্‌সরের দাসত্বের জোযাল ভেঙে ফেলব। সমস্ত পৃথিবীর কাঁধে সে য়ে দাসত্বের জোযাল চাপিয়েছে আমি তা দু বছরের মধ্যেই ভেঙে ফেলব।”‘হনানিযর এই কথা শেষ হওয়ার পর যিরমিয় উপাসনাগৃহ ত্যাগ করে চলে গেল।
১২ হনানিয যিরমিয়র কাঁধ থেকে জোযালটি তুলে নেওয়ার পর এবং সেটি ভাঙ্গবার পর প্রভু যিরমিয়র সঙ্গে কথা বললেন।
১৩ প্রভু যিরমিয়কে বললেন, “যাও হনানিযকে গিয়ে বলো প্রভু বলেছেন: ‘তুমি একটি কাঠের জোযাল ভেঙেছ। এবার আমি লোহার জোযাল তৈরী করব।’
১৪ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সর্বশক্তিমান প্রভু বললেন, ‘আমি প্রত্যেকটি দেশকে লোহার জোযালে বাঁধ্ব। তারপর আমি এই সব জাতিগুলিকে দিয়ে বাবিলের রাজা নবূখদ্রিত্‌সরকে সেবা করাব। আমি নবূখদ্রিত্‌সরকে বন্য পশুদেরও শাসন করার ক্ষমতা দেব।”‘
১৫ ভাব্বাদী যিরমিয় তখন ভাব্বাদী হনানিযকে বলেছিল, “শোন হনানিয! তোমাকে প্রভু পাঠান নি। কিন্তু তুমি যিহূদার লোকদের মিথ্যাকে বিশ্বাস করতে শিখিযেছো।
১৬ তাই প্রভু বলেছেন, ‘শীঘ্রই আমি তোমাকে এই পৃথিবীর বাইরে সরিয়ে দেব হনানিয। তোমার এবছরেই মৃত্যু হবে। কেন? কারণ তুমি লোকদের প্রভুর বিরুদ্ধে যাবার শিক্ষা দিয়েছো।”‘
১৭ হনানীয সেই বছরেই সপ্তম মাসে মারা গিয়েছিলেন।