যাচ্ছিলাম ডলফিন চ্যালেঞ্জার কোচে
ভোরবেলা চট্রগ্রামে। আবীরের পোচে
উদ্ভাসিত চতুর্দিক। ‘বেশ তো মজার লোক তুমি,
আমাকে ফেলেই যাচ্ছ চলে চুপিসারে? মনোভূমি
ঈষৎ চমকে ওঠে চেনা কণ্ঠস্বর শুনে। পার্শ্ববর্তী সিটে
বসে আছ, গায়ে ফিরোজা রঙের শাড়ি, মিটমিটে
নক্ষত্রপ্রতিম হাসি পাতলা ঠোঁটে। কী করে বিশ্বাস করি, বলো,
প্রকৃত তুমিই ঝলোমলো
সত্তা নিয়ে অসহায় এ কবির যাত্রাসঙ্গী? তোমার সোনালি
হাতে হাত রখি, এক ফালি
আপেল বাড়িয়ে দিলে আমার উদ্দেশে।
হঠাৎ একটি পাখি এসে
তোমাকেই ছুঁতে চায় চঞ্চু কিংবা পাখা
দিয়ে, বুঝি অজ্ঞাত আক্রোশে ছিন্ন করবে আমাদের বসে থাকা।
চলেছি আমরা কোচে পাশাপাশি বসে কী নিবিড়;
যেন নেই ভিড়,
নেই অন্য কোনো প্রাণী সমুখে, পিছনে,
প্রখর আবেগে করি চুম্বন তোমার মুখ অবিশ্বাস্য, কোমল নির্জনে।
সীতাকুণ্ডে প্রবশ করেই দেখি, হায়,
তুমি নেই, হাওয়ায় মিলিয়ে গ্যাছো, তুমিহীনতায়
বসে থাকি; শুধু চেনা পারফিউমের ঘ্রাণ ভাসে;
ভাবি, এই পর্যটন নজিরবিহীন ভ্রমণের ইতিহাসে।
১৫.৬.৯৪