2 of 2

যাকোবের পত্র ০৫

১ ধনী ব্যক্তিরা শোন, তোমাদের জীবনে য়ে ঘোর দুর্দশা আসছে, তার জন্য তোমরা কাঁদ ও হাহাকার কর।
২ তোমাদের ধন পচে যাবে, তার কোন মূল্যই থাকবে না। তোমাদের পোশাক পোকায় কাটবে, তোমাদের সোনা ও রূপোয় মরচে ধরবে। সেই মরচে প্রমাণ করবে য়ে তোমরা অন্যায় করেছ।
৩ আর সেই মরচে আগুনের মতো তোমাদের দেহের মাংস খেয়ে ফেলবে। তোমরা শেষের দিনের জন্য সম্পদ জমা করেছ।
৪ দেখ! য়ে মজুররা তোমাদের ক্ষেতে কাজ করেছিল তাদের তোমরা মজুরি দাও নি। তার জন্য তারা তোমাদের বিরুদ্ধে চিত্‌কার করছে। তারা তোমাদের ক্ষেতের ফসল কেটেছে, এখন তাদের সেই আর্তনাদ স্বর্গীয় বাহিনীর প্রভু ঈশ্বরের কানে পৌঁছেছে।
৫ এই পৃথিবীতে তোমরা ভোগ বিলাসে দিন কাটিয়ে প্রাণের লালসা মিটিয়েছ। বলি হবার দিনের জন্য তোমরা নিজেদের পশুর মতো মোটা করছ।
৬ ভাল লোকদের প্রতি তোমরা কোন দয়া দেখাও নি। তোমরা নির্দোষ লোকদের দোষী সাব্যস্ত করেছ এবং বধ করেছ, যদিও তারা তোমাদের বিরোধিতা করে নি।
৭ ভাই ও বোনেরা ধৈর্য্য ধর। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ফিরে আসবেন, তাঁর না আসা পর্যন্ত ধৈর্য্য ধর। মনে রেখো একজন চাযী তার ক্ষেতের মূল্যবান ফসলের জন্য অপেক্ষা করে; আর যতদিন তা প্রথম ও শেষ বর্ষণ না পায়, ততদিন সে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে।
৮ তোমাদের ধৈর্য্য ধরা দরকার, আশা ছেড়ে দিও না। প্রভু যীশু শীঘ্রই আসছেন।
৯ ভাই ও বোনেরা, তোমরা একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করো না। তোমরা যদি নালিশ করা থেকে বিরত না হও, তাহলে তোমরা দোষী সাব্যস্ত হবে। দেখ, বিচারক দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন।
১০ ভাই ও বোনেরা, দুঃখ ও কষ্টে কিভাবে ধৈর্য্য ধরতে হয় তার দৃষ্টান্তস্বরূপ সেই ভাববাদীদের অনুসরণ কর যাঁরা প্রভুর পক্ষে কথা বলেছিলেন।
১১ আমরা বলি যাঁরা জীবনে দুঃখ কষ্ট সহিষ্ণুতার সঙ্গে মেনে নেয় তারা ধন্য। তোমরা ইযোবের সহিষ্ণুতার কথা শুনেছ। তোমরা জান য়ে ইযোবের সমস্ত দুঃখ কষ্টের পর প্রভু তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। এতে জানা যায় য়ে প্রভু করুণা ও দয়ায় পরিপূর্ণ।
১২ আমার ভাই ও বোনেরা, বিশেষ করে মনে রেখো, কোন প্রতিশ্রুতি করার সময়ে স্বর্গ, পৃথিবী বা অন্য কোন নাম ব্যবহার করে তোমার কথার সত্যতা প্রমাণ করতে দিব্যি করো না। তোমাদের ‘হাঁ,’ য়েন হাঁ-ই হয় আর ‘না’ য়েন ‘না’ থাকে। এটা কর যাতে তোমাদের বিচারের দায়ে পড়তে না হয়।
১৩ তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্ট পাচ্ছে? তবে সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি সুখী? তবে সে ঈশ্বরের গুণকীর্তন করুক।
১৪ তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ হয়েছে? তবে সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের ডাকুক। তারা প্রভুর নামে তার মাথায় একটু তেল দিয়ে তার জন্য প্রার্থনা করুক।
১৫ বিশ্বাসপূর্ণ প্রার্থনা সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে, প্রভুই তাকে সুস্থতা দেবেন; আর সে যদি পাপ করে থাকে তবে প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন।
১৬ তাই তোমরা পরস্পরের কাছে পাপ স্বীকার কর, পরস্পরের জন্য প্রার্থনা কর, য়েন সুস্থতা লাভ কর, কারণ ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির প্রার্থনা খুবই শক্তিশালী ও কার্য়করী।
১৭ এলীয় আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি প্রার্থনা করলেন য়েন বৃষ্টি না হয়, আর সাড়ে তিন বছর ধরে দেশে বৃষ্টি হল না।
১৮ পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন; আর আকাশ থেকে বৃষ্টি নামল এবং ক্ষেতে ফসল হল।
১৯ আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সত্য থেকে দূরে সরে যায় আর যদি কেউ তাকে সত্যে ফিরে আসতে সাহায্য করে তবে
২০ একথা মনে রেখো, য়ে পাপীকে মন্দ থেকে ফিরিয়ে আনে সে সেই ব্যক্তিকে অনন্ত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে এবং এই কাজের দ্বারা তার অনেক পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে।