১ তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ কোথা থেকে আসে তা কি তোমরা জান? তোমাদের দেহের মধ্যে য়ে সব স্বার্থপর লালসা যুদ্ধ করছে, সেই সবের মধ্য থেকেই আসে।
২ তোমরা কিছু চাও কিন্তু তা পাও না, তখন খুন কর ও অপরকে হিংসা কর। কিন্তু তবুও তা পেতে পারো না, তাই তোমরা ঝগড়া কর, মারামারি কর। তোমরা যা চাও, তা পাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের কাছে চাও না।
৩ অথবা চাইলেও পাও না কারণ তোমরা অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে চাও। তোমরা কেবল নিজেদের ভোগ বিলাসে ব্যবহারের জন্য জিনিস চাও।
৪ সুতরাং তোমরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত নও। তোমাদের জানা উচিত য়ে জাগতিক বস্তুগুলিকে ভালবাসার অর্থ হল ঈশ্বরকে ঘৃণা করা। তাই য়ে কেউ জগতের বন্ধু হতে চায় সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে।
৫ তোমরা কি মনে কর য়ে শাস্ত্রের এইসব কথা অর্থহীন? শাস্ত্র বলে, ‘ঈশ্বর য়ে আত্মাকে আমাদের অন্তরে বাস করতে দিয়েছেন, তা চায় য়েন আমরা শুধু তাঁরই হই।’
৬ কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহদান তার থেকেও বড় বিষয়। তাই শাস্ত্রে লেখা আছে: ‘ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু যাঁরা নম্র তিনি তাদের অনুগ্রহ প্রদান করেন।’
৭ তাই তোমরা নিজেদের ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও। দিয়াবলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, তাহলে সে তোমাদের ছেড়ে পালিয়ে যাবে।
৮ তোমরা ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন। পাপীরা, তোমাদের জীবন থেকে পাপ দূর করো। তোমরা একই সাথে ঈশ্বরের ও জগতের সেবা করতে চেষ্টা করছ। তোমাদের অন্তঃকরণ পবিত্র কর।
৯ তোমরা শোক কর, দুঃখে ভেঙ্গে পড় ও কাঁদ, তোমাদের হাসি কান্নায় পরিণত হোক্, আর আনন্দ, বিষাদে পরিণত হোক্।
১০ তোমরা প্রভুর সামনে নত হও, তাহলে তিনি তোমাদের উন্নীত করবেন।
১১ ভাই ও বোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নিন্দা করা বন্ধ কর। যদি কেউ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে অথবা তার ভাইয়ের বিচার করে, সে বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই কথা বলে এবং ব্যবস্থার বিচার করে। যদি তুমি বিধি-ব্যবস্থার বিচার কর, তাহলে তুমি আর তার পালনকারী হলে না বরং বিধি-ব্যবস্থার বিচারক হলে।
১২ একমাত্র ঈশ্বরই বিধি-ব্যবস্থা দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন। একমাত্র তিনিই বিচারকর্তা, কেবল তিনিই আমাদের রক্ষা করতে বা বিনষ্ট করতে পারেন। তাই অন্য কারুরই বিচার করা তোমার অধিকারে নেই।
১৩ তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, ‘আজ বা কাল আমরা এমন শহরে যাব, য়েখানে গিয়ে এক বছর থাকব আর ব্যবসা করে লাভ করব।’
১৪ একটু ভেবে দেখ, কাল কি হবে তা তুমি জান না। তোমাদের প্রাণ তো কুয়াশার মতো, ক্ষণকালের জন্য তা দৃষ্টিগোচর হয়, তারপর উবে যায়।
১৫ তাই তোমাদের বলা উচিত, ‘প্রভুর ইচ্ছা হলে, আমরা বেঁচে থাকব আর এটা ওটা করব।’
১৬ কিন্তু এখন তোমরা নিজেদের বিষয়ে নিজেরাই অহঙ্কার ও দর্প করছ; আর এই প্রকারের সব অহঙ্কার অন্যায়।
১৭ মনে রেখো, য়ে সত্ কর্ম করতে জানে অথচ তা না করে, সে পাপ করে।