যখন ওরা আপিশে যায় কিংবা চালায়
তুমুল দোকানদারি,
তখন আমি ঢেউ সাজানো নদীর বুকে
দিব্যি জমাই পাড়ি।
যখন ওরা মন্ত্রী পাড়ায় চেয়ার নিয়ে
করে কাড়াকাড়ি,
তখন পাখির মন্ত্র শুনে দূর আকাশে
রঙিন সুতো ছাড়ি।
যখন ওরা রাজা উজির মারে বসে,
হাঁকায় মোটর গাড়ি,
তখন আমি তারার গানে, হাওয়ার কথায়
আস্তে পাতি আড়ি।
যখন ওরা একনায়কের সঙ্গে পড়ে
পদ্য গোটা চারি,
তখন ওহো হিজড়েগুলো দোলায় পাছা,
মাতে পুলিশ ফাঁড়ি।
যখন ওরা রেখে মেগে হাওয়ায় ঘোরায়
তীক্ষ্ম তরবারি,
তখন আমার ওষ্ঠে গোলাপ-কুঁড়ি
মনের মতো নারী।
যখন ওরা ধড়াচূড়ো পরে ওড়ায়
টাকা কাঁড়ি-কাঁড়ি,
তখন মেঘের জামা গায়ে গহন ছন্দে
দুলতে আমি পারি।
যখন ওরা দাঁতাল শুয়োর, নেকড়ে নিয়ে
আসর জমায় ভারি,
তখন আমি প্রবাল সিঁড়ির হীরের বাড়ির
স্বর্ণ কড়া নাড়ি।