মেঘমল্লার
ভীমসেন যোশীর মেঘমল্লার শুনতে-শুনতে বৃষ্টি নেমে এল। অবশ্য
এ কথা আকাশও জানে, এখন বৃষ্টি না-দিলে মেঘেরা হাঙ্গার-স্ট্রাইক করে বসবে।
কোমল শুদ্ধের মধ্যে খেলা করছে দুর্জয় নিখাদ, এখনো নামেনি সন্ধে, কদম্বের
ডালে বসে আছে অতি একলা মাছরাঙা। শাহজাদির ওড়নার মতন
ঝিলমিলে বাতাস
খুশির ছলে ছুঁয়ে যাচ্ছে পুরনো লোহার দরজার বুক, ক্ষুধার্ত নদীটি এবং
একলা নদীটি আজ সহসা এমন ভাগ্যে সাজপোশাক সব খুলে নৃত্যে মেতে উঠল
ভীমসেন যোশী কি কিছু জানলেন, না বুঝলেন? ক’ টাকা পেলেন এই
রেকর্ডিং-এর জন্য?
কোনো-কোনো জলসা হয় সারারাত, ভীমসেন ঘুমোবার সময় পান
না। এখন অন্যের গান, ভীমসেন বসে আছেন, রাত তিনটে, ফেরার ব্যবস্থা
ঠিক নেই। মদ্যপান ছেড়েছেন শোনা যায়। স্থির দৃষ্টি, হাঁটুর ওপর ধুতি
শুন্য করতল। হঠাৎ নবৃষ্টি, প্রতিটি ফোঁটার শব্দ তবলার বোল কিনা,
তিনি ছাড়া আর কে বুঝবেন? লয় ঠিক নেই, সমে ভুল, ভীমসেন মাথা
দোলাচ্ছেন আর কুঁচকে যাচ্ছে ভুরু তারপর তিনি অদৃশ্য। দরজায় কেউ যেন লাথি
মেরে গেল। এখন মাঝারি মাপের মানুষেরা পরিবেশন করে যাচ্ছে মাঝারি
সঙ্গীত। বিরাট বজ্রপাতের শব্দে স্পষ্ট হলকতান। আকাশে
আহমদ জান থেরাকুয়া আর তার সঙ্গে টক্কর দিচ্ছেন পাগলা ভীমসেন!